চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ জন।
শুক্রবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া দুর্ঘটনায় ৫ জনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৩ টায় শিকলবাহায় দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ১০ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে, ইপিজেড থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানিয়েছেন, পতেঙ্গার স্টিল মিল এলাকায় একটি বাস একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওযার সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের চাপা দেয়। এতে নারী ও শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এছাড়া বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
মুনিয়া
চট্টগ্রাম
কক্সবাজারে থামছেই না ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চরম বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে কক্সবাজারে। বেলা ১১টার পর থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে সাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রসৈকত ও উপকূলে।
সোমবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ আবহাওয়াবিদ জানান, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগরে গভীর নিম্নচাপ বিরাজ করছে। এ মুহূর্তে সমুদ্রে জোয়ার চলছে।
তিনি বলেন, এ কারণে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আরও দু-একদিন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করবে কক্সবাজারে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়া বেশি হলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, এখন পর্যন্ত জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোথাও কোথাও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়া, মাতারবাড়ি, ধলঘাটসহ জেলার অন্তত ২০ গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। যার ফলে জোয়ারের পানিতে গ্রামীণ সড়ক ও বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃদ্ধি পেয়েছে বাতাসের গতিবেগ। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপটির কিছু কিছু বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
আই/এ
চট্টগ্রাম
কক্সবাজারে ১০ গ্রাম প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ
ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া এবং মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়াসহ জেলার অন্তত ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। জোয়ারের পানিতে গ্রামীণ সড়ক ও বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) রাতে উপকূল এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃদ্ধি পেয়েছে বাতাসের গতিবেগ। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপটির কিছু কিছু এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কক্সবাজারে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আই/এ
আবহাওয়া
আশ্রয়ে কেন্দ্রে যেতে জোয়ারের পানিতে প্রাণ গেলো যুবকের
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই যুবকের নাম মো. শরীফুল ইসলাম (২৪)।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরীফুল কলাপাড়া উপজেলার অনন্তপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই সাগর উত্তাল। দমকা হাওয়ার সঙ্গে সাগরসহ নদ-নদীর পানি বেড়েছে। কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন কাউয়ার চর এলাকায় শরীফুল ইসলামের ফুফু মাতোয়ারা বেগম বসবাস করেন। ওই বাড়িতে তার বোনও ছিলেন। জোয়ারের সময় পানি বেড়ে যাওয়ায় বেলা একটার দিকে শরীফুল লোকজন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য ফুফুর বাড়িতে রওনা দেন। এ সময় সাগরের জোয়ার পানিতে কাউয়ারচর এলাকা চার–ছয় ফুট পানিতে তলিয়ে ছিল। ওই এলাকা দিয়ে সাঁতার কেটে ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার সময় সাগরে পানির ঢেউয়ের তোড়ে শরীফুল ভেসে যান। পরে এক ঘণ্টা পর ওই স্থান থেকে শরীফুলের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শরীফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এএম/
- অপরাধ5 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- অপরাধ2 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- বাংলাদেশ4 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
- টুকিটাকি4 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- জাতীয়3 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ4 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
- ঢাকা6 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- শিক্ষা6 days ago
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি যেদিন