Connect with us

বাংলাদেশ

কাশ্মিরে হয়ে গেল শীতকালীন উৎসব

Published

on

নৈসর্গিক দৃশ্যের আকর্ষণে চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ভূ-স্বর্গ কাশ্মির। ফিরছে ভূস্বর্গ। করোনা মহামারির আতঙ্ক ফিকে হতেই দলে দলে উপত্যকায় ভিড় করছে পর্যটকরা। করোনা মহামারীর তান্ডব কিছুটা কমতেই গুলমার্গে হয়ে গেলে শীতকালীন উৎসব। দুইদিনের উইন্টার ফেস্টিভালে অংশ নেয় বলিউড তারকা বিদ্যা বালান, আরবাজ খানসহ অনেকে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, উত্তর কাশ্মিরের বারামুলার যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করেছে ভারতের সেনাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মিরের পর্যটন বিভাগ। কাশ্মিরের নামী শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হাতের কাজের প্রদর্শনীর পাশাপাশি উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। উৎসবে অংশ নেয় বলিউড তারকা বিদ্যা বালান ছাড়াও চলচ্চিত্র প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুর।

গুলমার্গের উইন্টার ফেস্টিভালে গিয়েই আশার কথা শুনিয়েছেন বলিউড তারকা বিদ্যা বালান, আরবাজ খানরা। তারা বলেন, কাশ্মিরে পুরোদমে শ্যুটিং চলছে। বরফে নানা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের টানে গুলমার্গের হোটেলগুলিতে স্থান পাওয়া দুষ্কর। শ্যুটিংয়ের জন্য আগামী দিনে উপত্যকায় আরও বেশি করে ভিড় করবে বলিউড।

উৎসব নিয়ে জেনারেল অফিসার কমান্ডার ড্রেগার ডিভিশন ভিরেন্দর ভাট বলেন, পর্যটকদের কাশ্মিরে টানতে এবং স্থানীয় শিল্পীদের কীর্তি দেখাতে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে স্থানীয় খাবার ও হস্তশিল্প সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

ভিরেন্দর ভাট আরো বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ দিয়েছে চলচ্চিত্র জগতের আরবাজ খান, বিদ্যা বালান এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সিদ্ধার্থ রায় কাপুর। এর মাধ্যমে সবাই জানতে পারবে কাশ্মির মহামারী থেকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে এসেছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পৃথিবীর এই ভূ-স্বর্গ'।

Advertisement

উৎসবে স্কিইং, স্নোমোবাইল, এটিভি রেস, স্নো সাইক্লিংসহ আরো অনেক আয়োজন রাখা হয়। কাশ্মির উপত্যকার মানুষের আতিথেয়তা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ উৎসবের বিশেষ অতিথিরাও। 

 

এসএন

Advertisement

জাতীয়

দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়? বিএনপির কাছে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

Published

on

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সংগৃহীত ছবি

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে দেশে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে, আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন চীন থেকে আসার পর তারা বলে কি না, চীনের কাছেও দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। যেখানেই যাই তারা বলছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিএনপির কাছে আমার আমার প্রশ্ন, দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়?’

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব এসব কথা বলেন। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতিটাই অনুসরণ করে চলেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখে বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে। সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেছে।’

‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং আমরা অত্যন্ত সফলভাবে সেটি করে চলেছি’ মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে কিছুদিনের বিরতিতে তিনি এখন চীন সফরে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত চমৎকার ও ভালো সম্পর্ক।’

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিকট প্রতিবেশী ভারত যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের পাশে ছিল না তারাও আমাদেরকে সহায়তা করছে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে, আমাদের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির এই সফলতা। এটি বিএনপিসহ অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করে।’

Advertisement

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার সরকার মাথা উঁচু করে চলে। শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নোয়াবার নয়, এটি মনে রাখতে হবে। খেপাটে মেজাজের রিজভী সাহেব কী বলল, ঢুলঢুলে মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বলল, শিক্ষিত হয়েও মীর্জা ফখরুল সাহেব অশিক্ষিতের মতো কথা বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সেটিই করে চলেছেন।’

‘গণমাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নতি প্রতিফলিত হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি, প্রতিটি মানুষের জীবন মানের উন্নতি, সেটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। সেটি অনেক সময় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। সমাজের অসংগতি কিংবা দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা যতটুকু প্রতিফলিত হয়, সমাজের উন্নতি, রাষ্ট্রের উন্নতি কিংবা দায়িত্বশীলদের সফলতা সেটি অনেক সময় ততটুকু প্রতিফলিত হয় না, সেটি হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।’

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে’র মহাসচিব দীপ আজাদ।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু হচ্ছে

Published

on

মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকরীদের সুবিধার্থে ৯৫টির পরিবর্তে ডাটা প্যাকেজ ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমতে থাকে। ইন্টারনেট প্যাকেজ থেকে যে আয় হয়, তাতেও ধস নামে মোবাইল অপারেটরগুলোরও।

তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাটা প্যাকেজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। গেলো বছরের অক্টোবরে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

অপারেটরগুলো জানায়, গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল ৩ দিনের। এটা বন্ধ করায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমে যায়। এতে তাদের আয়ে ভাটা পড়ে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ চালুর দাবি জানাতে থাকেন মোবাইল অপারেটরগুলো।

অপারেটর ও গ্রাহক—উভয়পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশের পর এক জরিপ দেখা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তিনদিনের ডাটা প্যাকেজ ব্যবহার করেন। তারা পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের এ প্যাকেজ চালুর দাবিও জানান।

বিটিআরসির এক বৈঠকে সম্প্রতি এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রাহকদের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে প্যাকেজ সাজানোর পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।

Advertisement

সম্প্রতি বিটিআরসিতে কলড্রপ সংক্রান্ত সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমে বলেন, গণশুনানিতে দেখেছি, গ্রাহকদের কাছে ছোট প্যাকেজগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। জনপ্রিয় প্যাকেজগুলো যেন আমরা পুনরায় চালু করি, সেই নির্দেশনা আছে।

তিনি আরও বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অপারেটরগুলোকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে। আশা করি দ্রুত ছোট প্যাকেজগুলো আবারও ফিরে পাবেন গ্রাহকরা।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

নাফ নদীতে ট্রলার ডুবি, ১ বিজিপি সদস্য টেকনাফে

Published

on

মিয়ানমারের মংডু শহরে ফেরার সময় নাফ নদীর ওপারে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে বিজিপির এক সদস্য সাঁতরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের তীরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে কিছু গোলাবারুদ ছিল। বিজিবি সদস্যরা গোলাবারুদসহ তাকে হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ট্রলারটি মংডু শহরের দিকে যাচ্ছিল। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেটি ডুবে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে কিছু গোলাবরুদ নিয়ে বিজিপির এক সদস্য শাহপরীর দ্বীপের তীরে ওঠে। পরে অস্ত্রসহ বিজিবি তাকে হেফাজতে নেয়।

জানা গেছে, ট্রলারটিতে বিজিপির পাঁচজন সদস্য ছিলেন। তাৎক্ষণিক অপর চারজনের খবর জানাতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিয়ানমারের বিজিপির ওই সদস্যকে সকাল ৯টার দিকে বিজিবির গাড়িতে করে টেকনাফের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। এ সময় আশেপাশে কোনো লোকজনকে ভিড়তে দেয়নি বিজিবি সদস্যরা।

Advertisement

এদিকে, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ওপার শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।

বাসিন্দারা বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ পাওয়া যায়। রাতভর শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের ওপারে কখনও শান্ত আবার কখনও থেকে থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাতভর শান্ত ছিল। শনিবার সকাল থেকে আবারও শোনা যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত হতে বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত