Connect with us

অপরাধ

চাঁদপুরে ব্যবসায়ীকে পেট্টোলের আগুনে হত্যার ঘটনায় ৩ আসামি গ্রেপ্তার

Published

on

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামে ইকবাল মাহমুদ খোকন নামে ব্যবসায়ীকে পেট্টোলের আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৩ আসামিকে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। তারা হলেন- পশ্চিম সকদী গ্রামের খাঁ বাড়ীর এবং মামলার এক নম্বর আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলুর ছেলে মো. মোরছালিন (২১), দেলুর স্ত্রী জোসনা বেগম (৪১) ও মৃত আমির খাঁর ছেলে মো. শহীদ উল্লাহ (৬৫)।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার ২১ জুন দিবাগত রাতে চাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উল্লেখিত ৩ আসামিকে নারায়নগঞ্জ জেলাধীন ফতুল্লা থানা এলাকার দেলপাড়া নামক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেন।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার(ওসি) মোহম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, নিহত খোকন ও আসামীরা একই বাড়ির বাসিন্দা। খোকনের সাথে আসামিদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মে সন্ধ্যায় আসামীরা খোকনকে একা পেয়ে মারধর এবং ধারালো অস্ত্রের দ্বারা জখম করেন।

এ সময় অন্য আসামিরা খোকনকে ধরে রাখলে অপরাপর আসামীরা খোকনের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য এক নম্বর আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলু পূর্ব হতে রাস্তার পাশে এনে রাখা পেট্রোল এর বোতল নিয়ে ভিকটিমের গায়ের মধ্যে ঢেলে দিলে গ্রেফতার হওয়া আসামি মোরছালিন দিয়াশলাই দিয়ে খোকনের গায়ে আগুন দেয়। ভিকটিম আগুনে ছট ফট করতে থাকলে তারা খোকনের দোকানের সার্টার লাগিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। খোকনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দোকানের ঝাপ খুলে তাকে উদ্ধার করে।

Advertisement

তিনি আরো বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় খোকনকে প্রথম চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে। স্বজনরা তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল হাসিপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ জুন সকালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মঞ্জুর বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।

 

Advertisement

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২   

Published

on

মাদকবিরোধী

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ১৫৩৫ পিস ইয়াবা, ৬২.৫ গ্রাম হেরোইন, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ছাদ ফুটো করে কারাগার থেকে পালালো ৪ ফাঁসির আসামি

Published

on

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে দেয়াল পার হয়ে পালিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি। তবে সকালে তাদের কারাগারের আশপাশের এলাকা থেকে আবারও ধরা হয় বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৪ আসামি হলেন- কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মো. আমির হামজা (৩৮), বগুড়ার ফরিদ শেখ (২৮) ও মো. জাকারিয়া (৩১)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

Advertisement

তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে খবর আসে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে চারজন মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। এই খবর পাওয়া মাত্র বগুড়া সদর থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্নস্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

অভিযানের এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সদরবাড়ীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে চাষি বাজার থেকে চারজনকে আটক করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যায় এই চারজনই কারাগার থেকে পালানো সেই চার আসামি। এরপর তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।

সকালে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, পৃথক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি একই কনডেম সেলে ছিলেন। সেখানে থেকেই তারা পালানোর পরিকল্পনা করেন। ঘটনার রাতে তারা নিজেদের বিছানার চাদর ছিড়ে দড়ি বানান। এরপর কৌশলে কারাগারের ছাদ ফুটো করে সেলের বাইরে বের হন। আগে থেকে বানানো বিছানার চাদরের দড়ি দিয়ে কারাগারের বিল্ডিং থেকে নিচে নামেন। এরপর কারাগারের পূর্ব পাশে করতোয়া নদীর ব্রিজের নিচে দিয়ে ওই চারজন পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানা মাত্রই খুব দ্রুততম সময়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চার আসামিকে আটক করতে সক্ষম হন। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মতিউর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক-বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ

Published

on

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের আটটি ব্যাংক হিসাব ও বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শেয়ার বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।

চিঠিতে যাদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা, প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর রহমান ইরফান।

এতে, আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এলে তাকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের প‌রিচালক পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত