Connect with us

ফুটবল

ওয়েলসকে হারিয়ে কোয়ার্টারে ডেনমার্ক

Published

on

অর্ধ শতাব্দি আগেও ডেনমার্কের জাতীয় দলে খেলতেন না কোনও পেশাদার ফুটবলার। ঐ সময়টাতে ড্যানিশদের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেশাদার ফুটবলারদের খেলানোর কোনো প্রয়োজনই মনে করেনি। সৌখিন কিছু ফুটবলারদের নিয়েই ১৯৬৬-এর বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে ডেনমার্ক। এরপর ১৯৭১ সালে প্রথম পেশাদার ফুটবলার খেলানো শুরু করে দলটাতে। এরপর ১৯৮৬-তে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেই স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়। পরের ম্যাচে সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটায় তার দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়েকে হারিয়ে। বিশ্বকাপে ডেনমার্কের প্রথম ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন প্রেবেন এলকায়ের।

ডেনমার্কের ইতিহাসে স্বর্ণালী সময় ১৯৯২। সেবার ইউরোতে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ডেনমার্ক। কিন্তু গৃহযুদ্ধের কারণে উয়েফা যুগোশ্লাভিয়াকে নির্বাসিত করায় ডেনমার্ককে সুযোগ দেওয়া হয়। গ্রুপ পর্যায়ে ফ্রান্সকে হারানোর পর কোয়ার্টার ফাইনালে রুড খুলিট, ডেনিস বার্গক্যাম্প, ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেয়। এরপর বিশ্বকে স্তম্ভিত করে ফাইনালে হারায় জার্মানিকে।

সেই ৯২-এর ডেনমার্ক ২০২০ এর ইউরোতে কি পারবে নিজেদের শোকেসে দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরার মুকুট তুলতে। তবে সবকিছুকে সামনে রেখে শেষ ষোলোর ম্যাচে ওয়েলসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডেনমার্ক। ইউরোর ইতিহাসে প্রথম কোনো দল হিসেবে পর পর দুই ম্যাচে চারটি করে গোল করার অনন্য এক রেকর্ড গড়েছে ড্যানিশরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে তারা হারিয়েছিল ৪-১ গোলে।

অথচ গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়া কিংবা এরিকসনের পড়ে যাওয়া সবকিছু ছাপিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা প্রথম দল এখন ডেনমার্ক। দীর্ঘ ১৭ বছর পর শেষ আটে উঠলো ডেনমার্ক। সবশেষ ২০০৪ সালে তারা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। ঠিক ২৯ বছর আগে আজকের এই দিনে (২৬ জুন) জার্মানিকে হারিয়ে ইউরো-৯২ জিতেছিল ডেনমার্ক। সেই একই দিনে ওয়েলসকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো তারা। 

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের জন ক্রুইফ স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে এমন জয়ে ডেনমার্কের দুটি গোলই ২৩ বছর বয়সী ডোলবার্গের। ২৭ মিনিটে ও ৪৮ মিনিটে গোল দুটি করেছেন ইউসুফ পুলসেনের চোটে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া ডোলবার্গ। বাকি দুটি গোল করেছেন জোয়াকিম মায়েহলে ও মার্টিন ব্রেথওয়েট।

Advertisement

এএ

Advertisement

ফুটবল

পিএসজিকে হারিয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে ডর্টমুন্ড

Published

on

পিএসজিকে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে পিএসজিকে ডর্টমুন্ড হারিয়েছিলো ১-০ গোলে। দ্বিতীয় লেগে পিএসজির মাঠেও প্যারিসের ক্লাবটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান ক্লাবটি।

সব শেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে ফাইনাল খেলেছিলো ডর্টমুন্ড। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্বদেশি ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা হাত ছাড়া হয়েছিলো ডর্টমুন্ডের।

এবারও ফাইনাল ওয়েম্বলিতেই এবং মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা আছে সেই বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষেই। অন্য সেমিফাইনালে আজ বুধবার রাতে মাঠে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ-রিয়াল মাদ্রিদ! মিউনিখে ২-২ সমতার পর বুধবার বার্নাব্যুতে রিয়ালকে যদি হারিয়ে দেয় বায়ার্ন, তাহলে ২০১২-১৩ মৌসুমের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

ব্রাজিলিয়ান ‘বাঘ’কে নিয়ে জাভির অবহেলা

Published

on

গেল বছর অনেক হাঁকডাক দিয়ে ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে ব্রাজিলিয়ান বাঘ হিসেবে পরিচিত ফরোয়ার্ড, ভিটর রককে দলে ভেড়ায় বার্সেলোনা।  পরিকল্পনা ছিলো অ্যাথলেটিকো প্যারানেইন্স থেকে ২০২৪ এর জুলাইয়ে বার্সায় যোগ দেবেন তিনি।  কিন্তু গাভি চোটে থাকায় ছয় মাস আগেই বার্সা তাঁদের ডেরায় নিয়ে আসে ১৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে।

কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাবটিতে যোগ দিয়েই যেন মুদ্রার উলটো পিঠ দেখতে হচ্ছে এই তরুণ ব্রাজিলিয়ানকে।  এই ছয় মাসে মাত্র ১৩ ম্যাচে রককে মাঠে নামিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হারনান্দেজ।  এই ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে শুরু থেকে ছিলেন।  সব মিলিয়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩১০ মিনিট।  এই টুকু সময়ের মধ্যে দুই গোলও করেছেন রক।  রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে খেলাননি জাভি।

এর মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রকের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না জাভি। তাকে অন্য ক্লাবে লোনে পাঠাতে চাইছে বার্সেলোনা।

এদিকে ভিটর রককে খেলাতে না দেওয়া এবং অন্য ক্লাবে লোনে পাঠানো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন রকের এজেন্ট আন্দ্রে কিউরি।  কাতালান রেডিও RAC1 এর সাথে কথা বলার সময়, কিউরি জানিয়েছেন রকের সাথে বার্সা কোচ জাভি ঠিক মতো কথাও বলেন না।  বার্সেলোনার কিছু সংবাদপত্র রকের পারফর্ম নিয়ে সমালোচনা করেছে।  এ প্রসঙ্গে কিউরি ভিনিসিয়াসের উদাহরণ টেনেছেন।  রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়াস প্রথম দুই মৌসুম ঠিক মতো পারফর্ম করতে না পারলেও ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন রিয়ালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।

কিউরি আরও জানিয়েছেন বার্সার থেকেও বেশি অর্থে রকের জায়গায় যাওয়ার সুযোগ ছিলো। তবে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের স্বপ্ন ছিলো বার্সেলোনায় খেলা।  কিন্তু জাভি তার মন ভেঙ্গে দিয়েছে। এমন অবস্থায় রককে যদি বার্সেলোনা লোনে পাঠায় তাহলে সেটি তার ভবিষ্যতের জন্য আরও বিপজ্জনক হবে।  কারণ অন্য দল তাকে নিজেদের মনে করবে না এবং তার ঠিক মতো যত্নও হবে না।

Advertisement

এমন অবস্থায় রকের ভবিষ্যৎ নিয়ে  কিউরি বলেছেন সবচেয়ে ভালো হয় রক বার্সায় থাকুক এবং তাকে নিয়মিত খেলার সময় দেওয়া হোক।  আর বার্সা তা না করে যদি রককে লোনে অন্য ক্লাবে পাঠাতে চায় তাহলে স্থায়ী ভাবে রককে বার্সা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো প্রথম কোচ

Published

on

১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন করা কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!’

রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে মেনোত্তির জন্ম। খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলা মেনোত্তি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেন।

খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে।

 

Advertisement

এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত