Connect with us

চট্টগ্রাম

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাস ফেরত প্রেমিকার অনশন

Published

on

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন ওমান প্রবাস ফেরত সায়মা নামের এক প্রেমিকা (৩৩) । তবে এ ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ওই প্রেমিক নববিবাহিত মোঃ মানিক (৩০)।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ওই যুবতি তার প্রেমিক মানিকের বাড়িতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

সোমবার রাতে ওই মেয়েটি বাদি হয়ে মানিকসহ তার বাবা, মা বিরুদ্ধে প্রতারণা, টাকা আত্নসাত ও হামলা হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছেন।

অনশন করা যুবতি সায়মা ঢাকার পশ্চিম জুরাইন তুলা বাগিচা গ্রামের মোঃ রতনের মেয়ে।  অভিযুক্ত মানিক রায়পুর উপজেলার কেরোয়ার ইউপির দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের আব্বাস আলী মাজি বাড়ীর হাকিম মোঃ আবদুল মান্নানের ছেলে।

অনশন করা যুবতি সায়মা বলেন, ২০১৫ সালে জানুয়ারীতে তিনি ওমানে পার্লারের কাজে যান। তার তিন মাস পর ওমানেই মোবাইলের মাধ্যমে মানিকের সাথে কথা হয়। এক বছর পর সরাসরি সাক্ষাত হয় তাদের। মানিক সায়মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মানিকের কোন বৈধ কাগজ না থাকায় তাদের বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু কোরআন শপথ করে তাদের বিয়ে হয়েছে। এ সুত্র ধরেই মানিক তার কাগজপত্র ও ব্যবসার কথা বলে মেয়েটির কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে তার অভিযোগ। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী মানিক ওমান থেকে দেশে চলে আসলেও ফোনে তাদের যোগাযোগ থাকে।

Advertisement

পরবর্তীতে মানিক আরোও ২ লক্ষ টাকা দাবি করে মেয়েটি কাছে। পরে অনেক চেষ্টা করে মানিককে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয় বাকি টাকা ঈদ উল আযহার পর দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় ওই যুবতি।

এদিকে- মেয়েটির বাবাও যোগাযোগ রাখেন মানিকের পরিবারের সাথে। কিন্তু মানিক কয়েকদিন আগে তার এলাকার অন্য এক মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেন।

এ সংবাদ জানার পর সায়মা গত শনিবার ওমান থেকে রায়পুর এসে মানিকের বাড়িতে যান। এ সময় মানিক তার প্রেমিক সায়মার সাথে সকল সম্পর্ক অস্বীকার ও মারধরের চেষ্টা করেন। পরে এঘটনায় নিরুপায় হয়ে সায়মা সোমবার রাতে মানিকসহ তার পিতা-মাতাকে আসামী রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন।

এ কারণেই প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন ওই নারী। মঙ্গলবার তিনি মানিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন।

অভিযুক্ত প্রেমিকের বাড়ীতে গেলে তাকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তবে মানিকের মা রানী বেগম বলেন, মানিক কোন অবৈধ সম্পর্ক করেনি। মেয়েটির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। মেয়েটির সাথে বসে বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুর থেকেই মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।

মুনিয়া

Advertisement

অপরাধ

আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।

রোববার ( ১৯ মে) দিবাগত রাতে উখিয়ার ক্যাম্প -২০ এলাকার পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে এপিবিএন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইচ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ( অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার লক্ষ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ( আরসার) শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও হ্যান্ড গ্রেনেডসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএনের একটি টিম আজ দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকস কাটা তারের বাইরের সংলগ্ন গোয়াম বাগান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরসার চার শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, দুইটি লম্বা কিরিচ, চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, ছয় রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক রাউন্ড কার্তুজ, এগারোটি গুলির খোসা ও দুইটি কার্তুজের খোসা, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল, দুইটি ওয়াকি-টকি চার্জার। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

Published

on

বন্দুকযুদ্ধে

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্র, বেতার যন্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী।

বিস্তারিত আসছে…

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

নাফ নদী থেকে দুই জনকে অপহরণ করলো আরসা

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি চাকমা যুবককে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) সদস্যরা।

শনিবার (১৮ মে) টেকনাফ মডেল থানায় এক ভুক্তভোগীর মা ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।

ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা জানান,  তাঁর ছেলে ক্যমংখো এ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) ও মং চাকমা গেলো ১৬ মে সকালে নাফ নদীতে কাঁকড়া ধরতে যায়। সন্ধায় বাড়িতে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তিনি জানতে পারেন, আরসার  সদস্যরা তাঁর ছেলে ও সঙ্গে থাকে আর একজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।  তিনদিন ধরে তারা আরসার সদস্যদের কাছে জিম্মি রয়েছে।

অপহৃত ছৈলা মং চাকমার বড় ভাই সালাও মং চাকমা জানান, হোয়াইক্যংয়ের ৫ নাম্বার সুইচ গেট পয়েন্ট থেকে তাঁর ছোটভাইসহ দুইজনকে তুলে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসী। পরে তারা জানতে পারেন আরসার সন্ত্রাসীরা তাঁদের অপহরণ করেছে । আজ বিকেল পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি বা কেউ যোগাযোগ করেনি।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা খোঁজ-খবর রাখছেন। দুই বাংলাদেশিকে কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত