লাইফস্টাইল
ওজন কমালে, কমবে আর্থরাইটিসের ব্যথা…
পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের লক্ষ করলে দেখা যাবে, অনেকেই একবার বসলে উঠতে পারেন না। আবার বসতে গেলেও সহজে উঠতে পারেন না। বয়স বাড়লে হাঁটুতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই হাঁটুর ব্যথা অনেকেই বাতের ব্যথা হিসাবে চেনেন। তবে চিকিৎসার বিজ্ঞানের ভাষায় এরই নাম ‘আর্থরাইটিস’।
পরিসংখ্যান বলছে, আর্থরাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক কোটি। তবে পুরুষদের তুলনায় ৬০ বছর এবং তার বেশি বয়সি মহিলারা আর্থরাইটিসে বেশি আক্রান্ত হন। আর্থরাইটিসের যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। যে বয়সেই ধরা পড়ুক এই রোগ, নিজের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাঁটুর আর্থ্রাইটিস অনেক বড় একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে একবার এই আর্থ্রাইটিস দেখা দিলে সমস্যাকে সহজে হারানো যায় না। জীবনযাত্রার পরিবর্তনই পারে এ সমস্যাকে দূর করতে। কয়েকটি সাবধানতা মেনে চললে ব্যথায় কাতর হয়ে আর গৃহবন্দী থাকতে হয় না। ব্যথা কমানোর অন্যতম উপায় হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর্থরাইটিসের সবচেয়ে বড় ওষুধ হল ওজন কমানো। চলুন জেনে নেয়া যাক ওজন ঝরানো আর্থরাইটিসের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ-
বেশি নয়, মাত্র ১০ শতাংশ ওজন কমালেই আর্থরাইটিসের ব্যথা হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব। হাঁটুর উপর দাঁড়িয়ে থাকে শরীর। ফলে শরীরের ওজন যদি বেশি হয়, বাড়তি ভার সইতে হয় হাঁটুকেই। বেড়ে যায় আর্থরাইটিসের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে ওষুধ খেয়েও কমতে চায় না ব্যথা। তাই আর্থরাইটিস ধরা পড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
পেশি সচল রাখতেও ওজন কমানো প্রয়োজন। বেশি ওজন হলে শরীরে পেশি তার নিজস্ব স্থিতিস্থাপকতা হারায়। ফলে ব্যথা বেশি হয়। আর্থরাইটিসের ক্ষেত্রে পেশি সচল রাখা জরুরি।
ওজন যদি বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে আর্থরাইটিসের হাত ধরেই জন্ম নিতে আরও অনেক রোগ। হাড় ক্ষয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যাওয়া— নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ওজন।
আর্থরাইটিসের ক্ষেত্রে অনেক সময় হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের দরকার হয়। তা করতেও কিন্তু ওজন রাখতে হবে হাতের মুঠোয়।
লাইফস্টাইল
সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক এক সময়ে ক্লান্তির ছাপ পড়ে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কেও। একে অপরের প্রতি উত্তেজনা, আবেগে মরচে পড়তে শুরু করে। তখন সম্পর্কে উদাসীনতা আসে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, প্রেম যেন কোথাও হারিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের প্রতি অহংবোধ তৈরি হওয়া, আকর্ষণ কমে যাওয়া- এই সব সমস্যার সঙ্গেই চোরাপথে হাজির হয় অশান্তি। মতের অমিল থেকে ছোটখাটো কথাতেও যেন জোর করে অশান্তি ডেকে আনা।
যতই ভিতরে ভিতরে ভালবাসা থাক, প্রকাশের অভাবটাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ আর টের পাওয়া যায় না তখন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে কিন্তু সম্পর্ককে টেনে আনতেই হবে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ভাল আছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ভাল থাকতে হলে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকেও। অশান্তি এড়াতে ও আগের মতো সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে মেনে চলুন কিছু বিষয়-
সময়
এখন আমরা সঙ্গীর থেকে ফোনের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও হাতে সেই ফোন! সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন, আর ফোনটাকে সেই সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
রোম্যান্স
একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ দেয়া, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি এনেই দেখুন না!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাই না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
মিলেমিশে কাজ
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজে নিন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।
পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া
পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। একসঙ্গে থাকতে গেলে কথা কাটাকাটি হবেই। কিন্তু সেই জের সঙ্গে নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন না। যাকে ভালবাসছেন, তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য জীবন।
এসি//
লাইফস্টাইল
শরীর হিমশীতল রাখতে ৫ মশলার বাজিমাত
গ্রীষ্মের সময় খাবারে তেল মশলা এড়িয়ে চলা উচিত। বেশিরভাগ মানুষই তেমনটাই বিশ্বাস করেন। তবে জানেন কী, রান্নাঘরের বেশ কয়েকটি মশলাই হয়ে উঠতে পারে গরমের বিরুদ্ধে অস্ত্র। প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া এই সাধারণ মশলাগুলি শরীরের একাধিক উপকারের পাশপাশি শরীরে ঠান্ডা রাখে।
ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রায় প্রত্যেকেরই। প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগের প্রকোপ। ফলে এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরী। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি মশলায়।
জিরা
জিরা প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই থাকে। রান্নার অপরিহার্য এই মশলা শরীরের জন্যেই অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়।
মৌরি
গরমের মৌসুমে মৌরি খুবই উপকারী। মৌরির একটি শীতল প্রভাব আছে। শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এটি শরীরকে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো উপাদানও মৌরিতে পাওয়া যায়।
ধনে
একাধিক গুণে সমৃদ্ধ ধনেও। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি, ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে এটি শরীরকে ডি-হাইড্রেশন থেকেও রক্ষা করে। ধনে বীজের নির্যাসটিতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক। এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এলাচ
শরীর ঠান্ডা রাখতে এলাচেরও জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে ডিটক্সিফাইও করে এলাচ। এলাচের আরও অনেক গুণ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
পুদিনা
পুদিনা শুধুমাত্র মশলা হিসেবেই নয়, আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি গরমে খাওয়া খুবই ভাল। কারণ পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
লাইফস্টাইল
চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে এই ১০টি কারণ
অত্যধিক চুল পড়া কেবল চেহারা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মনে করা হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে চুল পড়তে থাকে, কিন্তু তার আগেই অত্যধিক মাত্রায় চুল পড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী কী কারণে অত্যাধিক চুল পড়তে পারে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
মানসিক চাপ: স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে। টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের জন্য চুল পড়ে। চুল ব্যাপকভাবে পাতলা হয়ে যায়।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি হরমোনগুলি কোনও কারণে ভারসাম্য হারায় তবে চুল অত্যধিক মাত্রায় ঝরে যেতে পারে। এছাড়া, অ্যান্ড্রোজেন, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। উপরন্তু, মেনোপজের সময় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের কারণেও হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, যা এন্ড্রোজেনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে চুল পড়তে পারে।
থাইরয়েড: স্কিনলজিক্স ও কসমেটোলজিস্ট রিতু খারিয়ানের মতে, ‘ থাইরয়েড হরমোন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এইসব হরমোন চুলের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।”
পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন ও খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে বা চরম ডায়েটের ফলেও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
শারীরিক আঘাত: গুরুতর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, পোড়া বা গুরুতর অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর ফলে হঠাৎই চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: শারীরিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এইসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়তে পারে। যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধ, গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট, এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট থেকেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যেতে পারে।
প্রসবোত্তর, অসুস্থতা ও মানসিক চাপ: প্রসবের পর নানা রকম অসুস্থতা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে একজন মহিলাকে যেতে হয়। এর ফলেও অত্যধিক হারে চুল পড়তে পারে। প্রসব পরবর্তী সময়ে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চুল পড়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।
চুলের অযত্ন: চুলে রং করা, অতিরিক্ত হিট দিয়ে স্টাইলিং চুলের নানান ক্ষতি করতে পারে। এর ফলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝড়ে যেতে পারে।
বংশগত কারণ: টাক হয়ে যাওয়া অনেকে সময় বংশগত হয়। পরিবার সূত্রে অর্থাৎ জেনেটিক কারণেও চুল ঝড়ে গিয়ে টাক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
বয়স: এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি কমতে থাকে। চুলের ফলিকলগুলিও চুল গোজানোর কাজ বন্ধ করতে থাকে, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
কেএস/
-
বলিউড6 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড5 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
আইন-বিচার7 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
আইন-বিচার7 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
-
ঢাকা5 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
অপরাধ4 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
-
জাতীয়3 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন