Connect with us

বাংলাদেশ

অন্ধকারের অলি-গলি পথে হাঁটছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

Published

on

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যেমনি বিএনপি নানা অগণতান্ত্রিক পথ খুঁজে বেড়িয়েছিল, তেমনি হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে বিএনপি এখনো মরিয়া হয়ে অন্ধকারের অলি-গলি পথে হাঁটছে। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে এক-এগারো ঘটানোর যে রঙিন খোয়াব বিএনপি দেখছে, তা দুঃস্বপ্ন মাত্র। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির একগুঁয়েমি এবং সোয়া এক কোটির বেশি ভুয়া ভোটার সৃষ্টিকরে দলীয় লোক বিচারপতি আজিজকে দিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসনের অপচেষ্টা এক-এগারোর অন্যতম প্রধান কাজ। 

দেশে এক-এগারোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ষড়যন্ত্র যদি কেউ করে, তাহলে তা বিএনপিই করছে।  

ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের অধিকার হরণ করাই ছিলো বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘অপরদিকে অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতি।’

Advertisement

তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই ষড়যন্ত্রকারী বলে সর্বত্রই ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। উল্টো এখন বিএনপির সর্বপর্যায়ের নেতারা আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য তলে তলে যোগাযোগ করছে।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপিতে কোনো সঙ্কট নেই, দলের নেতাদের এমন দাবির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ঘটা করে সঙ্কট নেই বলার মাঝেই মনে হচ্ছে- ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’

বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারির এ প্রেক্ষাপটে মানুষের সুরক্ষা যখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তখন বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে, তারা জনগণের মনের ভাষা ও মাঠের পরিস্থিতি বুঝার অক্ষমতায় ক্রমশ মানুষের প্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ছে।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ভাবনা বিএনপির জনবিচ্ছিন্ন ও অদূরদর্শী রাজনৈতিক ভাবনা বলেই জনগণ মনে করে। ভরা বর্ষায় বিএনপির এসব হাঁক-ডাক করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির কাজ হলো সরকার এবং দেশের কোন অর্জনকে বিতর্কিত করা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপাতে তাদের জুড়ি নেই, করোনার শুরু থেকে নানা অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি, এখনো করছে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যত অপপ্রচারই করুক জনগণ সুবিবেচক, তারা বিভ্রান্ত সহজে হয় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী করোনার টিকা দেশে আসতে শুরু করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যেই ৪৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে, আরো টিকা কয়েকদিনের মধ্যে আসবে।

জনগণকে টিকাগ্রহণের পাশাপাশি সংক্রমণের উচ্চহার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং চলমান লকডাউনে জনগণকে নিজ ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের গত দুইদিনের লকডাউনে যারা সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এস

Advertisement
Advertisement

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

এমপি আজিম কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

আমাদের এনএসআই কাজ করছে। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি পুরনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝে শুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মায়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন বলে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৯ মে) গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সংসদ সদস্য কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন।

এদিকে গত ৩ দিন ধরে এমপির সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি তিনি আজ রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েও অভিহিত করেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবু আজিফ গণমাধ্যমে জানান, আমরা মৌখিক ভাবে শুনেছি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ভারতে ‘নিখোঁজ’ এমপি আনারের সর্বশেষ অবস্থান জানালো ডিবি

Published

on

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত ভারতীয় নম্বরের সর্বশেষ অবস্থান মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ উত্তর প্রদেশে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার রোববার (১২ মে) দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল নামে একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর যাননি।

তখন থেকেই তার মেয়ে ও এপিএস আনোয়ারুল আজিমের ব্যবহৃদ ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। তার হোয়াটসঅ্যাপে থেকে মেসেজ আসে, ‘তিনি দিল্লিতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে।’ কিন্তু এই মেসেজগুলো তার পরিবার বিশ্বাস করছে না।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমি বিষয়টি দুদিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক এমপিরও পরিচিত, তিনি আমাকে টেলিফোন করে তাকে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। জানার পর ভারতীয় বিশেষ টাস্তফোর্স-এসটিএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।

Advertisement

ডিবিপ্রধান বলেন,আনোয়ারুল আজিমের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৭টার দিকে তার নম্বর থেকে দুটি কল আসে। একটি আসে তার এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুজনের কেউই কল ধরতে পারেননি।

‘ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় জানতে পেরেছি, আনোয়ারুল আজিমের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন মুজাফফরাবাদ, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশ। সবকিছু মিলিয়ে আমরাও খোঁজখবর রাখছি।’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। আনোয়ারুল আজিম তার ব্যবহৃত নম্বরটি মাঝে মাঝে খুলছেন আবার মাঝে মাঝে বন্ধ করছেন। কারা কাজটি করছেন, তিনি কোনো ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন কি না- সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জিকেএস

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত