Connect with us

রাজশাহী

রাজশাহীতে ২৪ ঘন্টায় করোনায় ১৯ জনের মুত্যু

Published

on

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীর ১০জন, নওগাঁর ও নাটোরের ২ জন করে এবং পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ জন করে মারা গিয়েছেন। এরমধ্যে করোনায় মারা গিয়েছেন ৪ জন এবং এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ১৫ জন। 

আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ৬ জুলাই সকাল ৮টার মধ্যে তারা মারা যান। 

এনিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে ৩৬ দিনে মোট ৪৮৪ জনের মৃত্যু হলো। 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুই ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫৮ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯১ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯.০২%। 

এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় ওয়ার্ড ও শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও উপচে পড়ছে রোগীর সংখ্যা। এখানে করোনা ইউনিটে ২০টি আইসিইউসহ শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৪৫৪টি এরমধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছে ৪৮৯ জন আর গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭৬ জন।

Advertisement

শেখ সোহান

Advertisement

অপরাধ

ঘরে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ, সন্তান নিয়ে উধাও স্বামী

Published

on

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সুফিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ৮ বছরের সন্তান নিয়ে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ সুফিয়া বেগম উপজেলার জামনগর এলাকার আসমত আলীর স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা যায় যে, পারিবারিক কলহ-বিরোধ নিয়ে মাঝে মধ্যই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লাগতো। শুক্রবার সকালে স্বামী আসমত আলী ফোন করে তার ভাতিজা আনোয়ারকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে ভাতিজা বাড়িতে এসে দেখে ঘরের মেঝেতে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন বাড়িতে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর থেকেই তাদের ৮ বছরের সন্তান নিয়ে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছেন।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

পাবনায় অবৈধ তেল পাম্পের রমরমা ব্যবসা

Published

on

অবৈধ

পাবনায় একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ তেলের পাম্প।  এসকল তেলপাম্পের নেই কোন অনুমোদিত কাগজপত্র। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এসব কার্যক্রম চালালেও দেখার  কেউ নেই।

ছোট ছোট দোকানে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে পেট্রল, অকটেন। অথচ এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবস্থা পরিচিত মিনি পাম্প নামে।

পাবনার চাটমোহর ফরিদপুর ও ঈশ্বরদীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়,  বিভিন্ন সড়কের পাশে জ্বালানি তেল বিক্রির বেশ কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। আরও কয়েকটি দোকান চালুর অপেক্ষায়। এসব পাম্পে ভেজাল তেল সরবরাহের যেমন আশঙ্কা আছে, তেমনি আছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ধরনের মিনি পাম্প চলছে দুই বছরের বেশি সময় ধরে। স্থানীয় প্রশাসন, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা  জানিয়েছেন, এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।

পাবনার ব্যাবসায়ী শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এ সব তেলপাম্প সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে। এতে রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। তাছাড়া এসব তেলপাম্প তৈরি করার কারণে বিপাকে রয়েছেন মূলধারার ব্যবসায়ীরা। তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করেও পাম্পের অনুমোদন পাচ্ছেনা। সরকারও কোনো রাজস্ব পাচ্ছেনা৷ এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা দরকার।

Advertisement

পাবনায় নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন বলেন, কিছু ব্যক্তি অসাধু উপায়ে বেশি অর্থ লাভের আশায় সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে। তাদের কঠোরভাবে দমন করা প্রয়োজন। তাছাড়া ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিণতি দাঁড়াবে।

পাবনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, অনুমোদনহীন এসব তেল পাম্প স্থাপন করার কারণে কিছু জনগণের সাময়িক সুবিধা হলেও প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যায় এসব তেল পাম্প বেশিরভাগই বাসা বাড়িতে এবং দোকানে নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে সিগারেট খাচ্ছেন স্থানীয়রা। যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন।

এ সকল তেল পাম্প কিভাবে চলছে জানতে চাইলে পাম্প কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে সেখানে থাকা কয়েকজন কর্মচারীদের কাছে জানা যায়, প্রত্যেকটি পাম্প থেকে প্রতিদিন প্রায় ২শ লিটার তেল বিক্রি করা হয়।

পাবনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক মো: শারফুল আহ্সান ভূঞা বলেন, এসব তেল পাম্পের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা প্রয়োজন। তাছাড়া যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলেন, অনুমতি না নিয়ে কোন প্রকারের তেল পাম্প নির্মাণ করার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি এরকম কাজ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

মেয়রের চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

Published

on

রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলির চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল নিহতের অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার আহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায়  তার মৃত্যু হয়েছে। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

নিহত আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলির দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় অভিযুক্তরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাঁ-পাশে আঘাত করেন আক্কাছ আলী। এছাড়াও মেরাজুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুল ইসলামের ঘাড়ে আঘাত করেন। অভিযুক্তদের ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

 ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত