Connect with us

ঢাকা

কামরাঙ্গীরচরে ইজিবাইকের ব্যাটারি বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

Published

on

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ইজিবাইকের ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়ে স্বামী-স্ত্রী মৃত্যু ও দুই সন্তান দগ্ধ। 

শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে ইয়াসমিন (৩৫) ও শনিবার সকালে তার স্বামী আব্দুল মতিনের (৪০) মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আব্দুল মতিনের শরীর ৯২ শতাংশ ও ইয়াসমিনের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। 
 
গতকাল শুক্রবার ভোরে সিলেট্টাবাজার এলাকার একটি বাসার নিচতলায় ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সময় বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।

মারা যাওয়া দম্পতির শিশু সন্তান মাইশা (৯) ও আয়শা (৫) এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকৎসাধীন। মাইশার শরীর ৪৫ শতাংশ ও আয়শার ৪২ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর ইয়াসমিনের ভাগ্নে রায়হান (২৫) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। 

ঢামেক পুলিশ  ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু বলেন, শুক্রবার রাতে ইয়াসমিন ও শনিবার সকালে তার স্বামী মতিন মারা গেছেন। তাদের লাশ মর্গে রয়েছে।

Advertisement

ঢাকা

বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Published

on

শিশু

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রাম রোডের ফ্লাটে বাথরুমের বালতির পানিতে ডুবে আমেনা আক্তার নামে এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর বারোটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু আমেনা ফেনী সদরের শিলুয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে তাজুল ইসলাম পরিবার নিয়ের ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি বাসায় বসবাস করতেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শিশু আমেনা ছিল সবার ছোট।

শিশুর মা খোদেজা আক্তার বলেন, তিনি নাস্তা বানাচ্ছিলেন। এসময় সবার অগোচরে শিশু আমেনা খেলতে খেলতে বাথরুমের পানিতে পড়ে যায়, তবে সেটি তারা কেউই খেলায় করেননি। নাস্তা বানানো শেষে তিনি মেয়ে আমেনাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বাথরুমের বালতির পানিতে উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন কন্যা আমেনাকে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান আমেনা আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশু আমেনার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ছেলের শখ পূরণে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন বাবা

Published

on

ছেলের-হেলিকপ্টারে-বিয়ে

ছেলের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা মোল্লা। শুক্রবার (১৮ মে) এ ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের।

মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষকের ছেলে আবু মুসা শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভাটেরচর গ্রামে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, মো. মোস্তফা মোল্লা ছেলের স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ বাড়িতে আনার উদ্যোগ নেন। বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জের মোহাম্মদ ফিরোজ শিকদারে মেয়ে খাদিজা আক্তার ওরফে ময়নার সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল আজ।

তাকে ঘরে তুলে আনতে ঢাকা থেকে ১ লাখ টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ওই হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে যান বর আবু মুসা। বিকেলে বউ নিয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে।

ভাটেরচর গ্রামের যুবক জোবায়ের ও সায়মন শাহাদাত নামে দুই যুবক জানান, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টারে চড়ে কেউ বিয়ে করতে যাননি। এ জন্য হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে তারা এসেছেন। মাঠে হেলিকপ্টার নামার পর থেকে বড়ইকান্দি ভাটেরচর আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এ অঞ্চলে এমন বিয়ে এটাই প্রথম। এর আগে কেউ হেলিকপ্টারে বিয়ে করেনি।

Advertisement

কনে খাদিজা আক্তার ময়না বলেন, সচরাচর হেলিকপ্টারে বিয়ে হয় না। বর আমাকে নিতে হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে।

কনের বাবা মো ফিরোজ শিকদার বলেন, মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের ইচ্ছাতে হেলিকপ্টারে বরযাত্রী এসেছে। আমরাও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছি। খুব ভালো লাগছে।

বরের ছোট ভাই ইসা বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি আমারও খুব বেশি ইচ্ছা ছিল ভাইকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাব। সেই ইচ্ছাটা আজ পূরণ হলো। ওদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সবাই দোয়া করবেন।

গজারিয়া থানা ওসি মো. রাজিব খান বলেন, একটি বিয়ের জন্য ভাটেরচর গ্রামে হেলিকপ্টার নামবে এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর মরদেহ

Published

on

মরদেহ

রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কাজী মোহাম্মদ আরিফিন (২৭) নামে এক যুবক।

আরিফিন শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার জলগাঁও গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁও তালতলার বাসায় ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (১৮ মে) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। সকাল ৯টার দিকে ওই যুবকের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ভোরের দিকে খিলগাঁও তালতলার জামতলার ৭তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান ওই ব্যক্তিটি আর বেঁচে নেই।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি  ওই ব্যক্তি পেশায় রেন্ট এ কারের চালক ছিলেন। পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গতরাতে ২টা থেকে ৩টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন আরিফিন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত