জনদুর্ভোগ
৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক রেল যোগাযোগ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/02/13/resize-600x315x1x0image-915-1613224306.jpg)
মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা এলাকায় আখাউড়া থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যূত হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হলো।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুাটিার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা রেলস্টেশনের অদূরে হোসেনপুর নামক স্থানে মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
কুলাউড়া ষ্টেশন মাষ্টার মুহিব উদ্দিন আহমদ জানান, বেলা ২ ঘটিকার সময় আখাউড়া থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেন ভাটেরা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় সিলেটের সাথে সারাদেশের দীর্ঘ পাঁচ পাঁচঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টায় সারা দেশের সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের সিলেট-আখাউড়া সেকশনে একের পর এক ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে এ রুটের বেহাল দশার চিত্র। এতেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না এ রেল রুটের। চলতি বছরেই সংঘটিত হয়েছে চারটি লাইনচ্যুতের ঘটনা।
সর্বশেষ দশদিনের মাথায় আবারও তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে শনিবার। এতে ৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। রেললাইনে স্লিপারের লুজ কানেকশনের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। ফলে কমছে সিলেট আখাউড়া রেলপথে যাত্রী সংখ্যা। অভিযোগও রয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রেলওয়ের বিধান অনুযায়ী মোটর-ট্রলিতে করে লাইন পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু কুলাউড়া স্টেশন থেকে সিলেট অভিমুখে বা শ্রীমঙ্গল স্টেশন অভিমুখে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা নেই বললেই চলে। ফলে লোহা ব্যবসায়ীরা রেললাইনে স্পাইক খোলার বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে টাই প্লাট স্পাই, ক্লিপস ও ফিসপ্লেট খুলে নিয়ে যায়। খাঁটি লোহার এসব সরঞ্জামের চড়া দাম থাকায় প্রতিনিয়ত তা চুরি হচ্ছে। রেলওয়ের টহল ও মোটরট্রলি না থাকায় নির্বিঘ্নে এসব চুরি করছে একটি অসাধু চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুলাউড়া স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, এ রেলপথের যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়াতে ট্রেন চলাচলের সময় ক্লিপ-হুক স্লিপারও রেললাইন থেকে খুলে উড়ে যায়। কাঠের স্লিপার পড়ে যাওয়াতে ট্রেনের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক স্লিপার বেঁকে যায়। এতে লাইন দুর্বল হয়ে পড়ে।
শুভ মাহফুজ
জনদুর্ভোগ
বাঁধভেঙ্গে লোকালয়ে পানি, নতুন করে প্লাবিত ১৭ গ্রাম
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-104.jpg)
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় দুধকুমার নদের বাঁধ ভেঙ্গে হু হু করে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বন্যার পানি। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বামনডাঙ্গা ও পৌরসভার ১৭ টি গ্রাম।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরের পর রাত ৮ টা পর্যন্ত দুধকুমারের পানির তীব্র স্রোতে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় পুরাতন বাঁধটির দুটি স্থানে প্রায় দেড় মিটার এলাকা ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবেশ করতে থাকে পানি। সময়ের সাথে বাড়তে থাকে পানির স্রোতে ও ভাঙ্গা অংশের পরিধি। এরপর সে অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত করতে থাকে একের পর এক গ্রাম।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভাঙ্গা অংশ দিয়ে যেভাবে পানি প্রবেশ করছে তা অব্যাহত থাকলে পৌরসভার কিছু অংশে এর প্রভাব পড়তে পারে। বন্যার পানিতে ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বামনডাঙ্গার মিয়াপাড়া, ওয়াবদা, বামনডাঙ্গা, ধনিটারী, তেলিয়ানী, মালিয়ানি, বড়মানী, সেনপাড়া, পাটেশ্বরী, মমিনগঞ্জ, বোয়ালের ডারা, অন্তাইপাড়, পৌরসভার হরিরপাট, ভৈষতুলি, সাঞ্জুয়ার ভিটা, ভুষিটারী, ফকিরটারী গ্রাম।
মিয়াপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাফি জানান, দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত দুধকুমার নদের তীব্র স্রোতে ১৫০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে মিয়া পাড়াসহ প্রায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে জানানোর পর মাত্র ২০০ জিও ব্যাগ পাঠিয়েছেন। আমি জিও ব্যাগগুলো নিয়ে সেখানে যাচ্ছি।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, শুক্রবার রাত থেকে ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়। সকালে মিয়াপাড়া বেড়ী বাঁধের দুটি স্থানে ভেঙ্গে যায়। এতে বেশকিছু গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। আরও কয়েকটি বাঁধ আছে সেগুলো ভাঙ্গনের ঝুকিতে আছে। দ্রুত সেগুলো মেরামত করা প্রয়োজন।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, বাঁধ ভাঙ্গার বিষয়টি আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনে বিকালে সরেজমিন পরিদর্শনে যাই। নতুন করে যেসব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে সেসব গ্রামের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বাধ সংস্কার করা যায় এ বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলবো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ চলমান আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ ভাঙ্গার খবরটি শুনে বিষয়টি সমাধানে দ্রুত ২০০ জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বাড়ছে দুর্ভোগ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-79.jpg)
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিকের বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকে খোলা আকাশের নীচে নৌকায় রাত যাপন করছেন। এসব উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা। তবে ঘরে চাল-ডাল থাকলেও রান্না করে খেতে পারছেন না অনেকে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ দেয়া হলেও যা চাহিদার তুলনায় কম।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের আঞ্জুমান আরা গণমাধ্যমে বলেন, গত চারদিন ধরে পানিতে ভাসছি। ঘরে এক গলা পানি। আশপাশে কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। বৃষ্টির মধ্যে নৌকার মধ্যে দিন-রাত পার করছি।
হকের চরের মো. আব্দুল কাদের বলেন, আজ পাঁচদিন ধরে আমাদের এলাকার মানুষ পানিতে। অথচ কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ দেখতে আসেনি। আমরা সবাই খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ গণমাধ্যমে বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের পাশাপাশি ৪০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-10.jpg)
ভারতে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এ ছাড়া বেড়েই চলেছে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা।বেশকিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিখেত।
পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ধরা হয়।
অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার দুপুরে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলে জানান, পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমূখী ক্বারী মাদরাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ৫ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানে নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।
গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না গণমাধ্যমে বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতিবছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।
এএম/
- ঢাকা4 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
- অপরাধ7 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
- ঢাকা7 days ago
স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
- ফুটবল6 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
- দুর্ঘটনা6 days ago
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
- রংপুর6 days ago
নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
- ব্যাংক6 days ago
সোমবার বন্ধ থাকবে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন
- পরামর্শ6 days ago
প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও