Connect with us

পর্যটন

দেশের প্রতিটি বিভাগে পর্যটন তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে: প্রতিমন্ত্রী

Published

on

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী
পর্যটকদের কাছে পর্যটন গন্তব্য সম্পর্কিত খবর সহজলভ্য করতে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে তথ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তথ্যকেন্দ্র থেকে পর্যটকরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভৌগলিক সীমায় অবস্থিত পর্যটন গন্তব্য সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি পর্যটকদের ট্যুর গাইড, যানবাহন ও আবাসন সম্পর্কিত তথ্য ও সেবা প্রদান করা হবে।’ বুধবার (২৯ জুলাই) স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ ও পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার সঙ্গে অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব শুনিয়েছেন। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। 

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যটন গন্তব্য ও আকর্ষণগুলোর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য একটি ইউনিট তৈরি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। তার কথায়, ‘ইউনিটটি পর্যটন গন্তব্যগুলোর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। মূল্যায়নকালে কোনও ধরনের বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে তা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে অবহিত করবে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা নদীপ্রধান হওয়ায় রিভার ট্যুরিজম উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে পরিকল্পনা সাজাবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
লক্ষ্মীপুর জেলার চর ও দ্বীপগুলোতে পর্যটন সুবিধা প্রবর্তন ও বৃদ্ধির বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান মো. মাহবুব আলী। তার মন্তব্য, ‘পর্যটন সম্পর্কিত প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সরকারি অর্থের যাতে কোনও ধরনের অপচয় না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।’

লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার জমিদার বাড়ি উদ্ধার করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে সংস্কারের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করায় জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনও ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা যাতে কারও অপদখলে না থাকে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।’

অনলাইন কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের। এতে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন খাতের অংশীজন।

Advertisement
Advertisement

পর্যটন

যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং

Published

on

সম্প্রতি কক্সবাজারে প্যারাসেইলিং করতে গিয়ে দড়ি ছিড়ে আকাশ থেকে সমুদ্রে পড়ে গিয়ে শারিরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এক পর্যটক। ভুক্তভোগীর মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হলে গেলো ১০ জুন থেকে সৈকতে প্যারাসেইলিং সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

গেলো শুক্রবার (২৪ মে) কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের  দরিয়ানগর বীচ এলাকায় ফ্লাই এয়ার সী স্পোর্টস প্যারাসেইলিংয়ের দড়ি ছিড়ে আফসান জ্যাবিন অদিতি নামে এক পর্যটক আহত হন বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স  কক্সবাজার জেলার উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমাকে।

এ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী ঘটনার পরে কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৯ মে মামলা দায়ের করেন । ওই মামলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজার জেলার উপসহকারী পরিচালককে  তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে গেলো ২৬ জুন তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বাদি ও বিবাদীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন তিনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

‘শেনজেন’ স্টাইলে ভিসা দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মতো ‘শেনজেন স্টাইলে’ পর্যটকদের ভিসা দিতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা বিষয়ক কাউন্সিল জিসিসি। তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে শক্তিশালী করতে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো হলো-সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বুধবার (০৮ মে) ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেনজেন স্টাইলের এই ভিসা নিয়ে একজন জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশের পর্যটক এক মাসে জিসিসিভুক্ত ছয়টি দেশ সফর করতে পারবেন।

গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন তথ্য জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লা বিন তুক আল মারি। নতুন প্রস্তাবিত এ ভিসার নাম হবে- ‘জিসিসি গ্রান্ড ট্যুরস’।

ওই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণকে যৌক্তিকভাবে সহজ করতে এবং পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘শেনজেন স্টাইলের ‘ মতো ভিসা চালুর ব্যাপারে জিসিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবুজ সংকেত দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল্লা বিন তুক আল মারি বলেন, ‘এই ভিসা নিয়ে একজন পর্যটক ৬টি দেশই সফর করতে পারবেন।’একজন পর্যটক জিসিসির এ ভিসা নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন।’ মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই এ ভিসা চালুর আশা করছেন বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

তিন লাখেরও বেশি হোটেলকক্ষ বানাবে সৌদি আরব

Published

on

ছবি-গালফ নিউজ

সৌদি আরবের পর্যটন খাতকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার।  অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সরকার এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।  এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও তিন লাখের বেশি হোটেলকক্ষ বানাতে যাচ্ছে সৌদি সরকার।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার ধারাবাহিকতায় হোটেলের সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি।  আসছে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিন লাখ ২০ হাজার হোটেল কক্ষ বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।  লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক রিযেল এস্টেট ও এস্টেট এজেন্সি-নাইট ফ্রাংক এতথ্য জানিয়েছে।

নাইট ফ্রাংকের তথ্যমতে, চলতি দশকের শেষে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।  তাই এসময়ের মধ্যে নতুন করে হোটেল কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তৈরি হতে যাওয়া হোটেলকক্ষের ৬৬ ভাগই হবে বিলাসবহুল ও উচ্চশ্রেণির।  আসছে ২০৩০ সাল নাগাদ সৌদির পর্যটন খাত ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ সময়ে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ হোটেল কক্ষের চাহিদা দেখা দেবে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,  ২০২৩ সালের শেষে সৌদি আরবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৬ শতাংশ। যা এ দশকের শেষে ১০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার।

Advertisement

প্রসঙ্গত,পর্যটন খাতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রথমার্ধে ২০২৩ সালে ব্যয় বেড়ে ৮ হাজার ৭০০ কোটি রিয়ালে পৌঁছেছে। এটি ২০২২ সালের তুলনায় ১৩২ শতাংশ বেশি।  এসময়ে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে  ১৪২ শতাংশ।  এ সময় সৌদি আরবে এক কোটি ৪৬ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক এসেছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত