দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নেওয়ার বয়সসীমা প্রথমে ছিলো ৪০ বছর। সেখান থেকে কমিয়ে দ্বিতীয় দফায় বয়স করা হয়েছে ৩৫। এবার টিকা নেওয়ার জন্য বয়স আরও কমিয়ে ১৮ বছর করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (১৫ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি উদ্বোধন করতে এসে কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে। আমরা চিন্তা করছি, টিকার জন্য বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা যায় কিনা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। উনারও একটা নির্দেশনা আছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিও গতকাল আমাদের জানিয়েছে ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া যায় কিনা।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। শিক্ষকদের টিকা দিচ্ছি, এখন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছে, তাদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসবো। তাদেরকে স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দেবো। কারণ, তাদের জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশে গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। শুরুতে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারতেন। গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘৩৫ বছর হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। তবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সম্মুখ সারিতে কাজ করছেন, তাদের জন্য এই বয়সসীমা প্রযোজ্য নয়।’
জাহিদ মালেক আরও জানান, দেশে এখন ৪৫ লাখ ডোজ টিকা মজুত আছে। চীনে আরও দেড় কোটি ডোজ টিকার অর্ডার দেওয়া আছে। এ মাসের শেষে সেখান থেকে কিছু টিকা পাওয়া যাবে। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে প্রায় তিন কোটি ডোজ টিকা সংরক্ষণ করার সক্ষমতা আছে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রাখা যায়, এমন প্রায় দেড় কোটি, মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার সুযোগ আছে ২০ লাখ ডোজ। বিএডিসিতে প্রায় ১ কোটি ডোজ টিকা রাখা যাবে। এই দুটি জায়গা হিসাব করলে প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি টিকা রাখার সুযোগ আছে আমাদের। বেসরকারি আরও কয়েকটি জায়গায় আমরা ১০-১৫ লাখ ডোজ টিকা রাখতে পারবো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আরও কিছু ফ্রিজার কেনার। এ বিষয়ে ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
শেখ সোহান