বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জাদুঘর `মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচার’

দুবাইয়ের অবিশ্বাস্য ভবন, রেকর্ড ভাঙা কীর্তি এবং প্রযুক্তিগত বিস্ময়ের ক্ষেত্রে ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যা মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বে। এখন আশ্চর্যজনক ভব্ষ্যিতের জাদুঘর নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বুর্জ খলিফার শহরটি।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আমিরাত সংবাদ সংস্থা জানায়, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন জানিয়েছে, দুবাইয়ের হৃদয়ে অবস্থিত বিস্ময়কর স্থাপত্য এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ১৪ জাদুঘরের তালিকায় জায়গা পেয়েছে 'মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচার'। স্থাপত্যটি সম্পূর্ণ নির্মিত হয়ে গেলে একটি নতুন বৈশ্বিক ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠবে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন বলছে, আমরা অবাক হই না আকর্ষণীয় নকশাই দুবাই ফিউচার মিউজিয়ামকে এই তালিকায় স্থান দিয়েছে। চোয়াল আকৃতির অবকাঠামো একে অনন্য নকশাতে পরিণত করেছে। চোখের মতো আকৃতির একটি ফাঁকা-মধ্যমটি ৩০ হাজার বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত আর সাত তলা বা ৭৭ মিটার উঁচু।

ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আল গেরগাবি বলেছেন, ভবিষ্যতের জাদুঘর সংযুক্ত আরব আমিরাতের এবং বিশ্বের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ অন্বেষণ করবে। এটি ধারণার জন্য একটি ইনকিউবেটর, উদ্ভাবনের চালক এবং পুরো বিশ্বের উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের গন্তব্য হবে।

আল গেরগাবি বলেছেন, ভবিষ্যতের জাদুঘর একটি প্রধান বিশ্ব আইকন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। নির্মিত হওয়ার আগেই সর্বশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং আইকন দুবাইকে উদীয়মান প্রযুক্তির পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রতিভা, উদ্ভাবক এবং সৃজনশীল পেশাজীবীদের অনুসন্ধানের ভিত্তি হিসেবে স্থান দিয়েছে।

দুবাইয়ের মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচারের মতো একটি ইঞ্জিনিয়ারিং অলৌকিকতায় আমিরাতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। যা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাপী বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃত।

জাদুঘরটি দুটি সেতু দিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। প্রথমটি ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্যের জুমেইরাহ আমিরাতস টাওয়ার পর্যন্ত প্রসারিত। দ্বিতীয়টি ২১২ মিটার দৈর্ঘ্যের আমিরাতস টাওয়ারস মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত।

মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের প্রথম উদ্যোগে রোবটদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নির্মিত ১০২৪ প্লেটগুলোর সম্মুখভাগ রয়েছে। জাদুঘরের আশেপাশের পার্ক রয়েছে। সেখানে ৮০ প্রজাতির গাছ, একটি অত্যাধুনিক বুদ্ধিমান এবং স্বয়ংক্রিয় সেচ ব্যবস্থা রয়েছে। একটি অনন্য স্থাপত্য মডেল হিসেবে টিকলা আন্তর্জাতিক ভবন পুরস্কার জিতে নিয়েছে ভবিষ্যতের জাদুঘরটি।

জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের তালিকায় স্থান করে নেওয়া অন্যান্য জাদুঘরের মধ্যে রয়েছে চীনের সাংহাই জাদুঘর, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাতীয় জাদুঘর এবং স্পেনের গুগেনহাইম বিলবাও জাদুঘর।

 

এসএন

Recommended For You