Connect with us

এশিয়া

আফগানিস্তানে প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিচ্ছে তালেবান

Published

on

আফগানিস্তানে প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানী নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে তালেবান। পতনের মুখে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ। মার্কিন ও আফগান বাহিনীর বিমান হামলার পরও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে তীব্র লড়াই চালাচ্ছে তালেবান। সোমবার সেখানে তালেবানের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর বিমান হামলায় কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হলেরও দখলে নিতে যাচ্ছে তারা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল হেলমান্দ। এটি তালেবানের দখলে গেলে আফগান সরকারের জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করছে সরকারি সেনারা।

লস্করগাহে আফগান বাহিনীর এক কমান্ডার বলেছেন, তালেবানদের বিজয় বৈশ্বিক নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

এরই মধ্যে হেলমান্দ প্রদেশে একটি টেলিভিশন কেন্দ্র দখলে নিয়েছে তালেবান সদস্যরা। তালেবান হামলার আশঙ্কায় সোমবার ১১টি রেডিও এবং চারটি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধ ঘোষণা করেছে আফগান তথ্য মন্ত্রণালয়।

আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে হাজারও মানুষ। শহরের ভবনগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা অনেকে। বর্তমানে তিনটি প্রাদেশিক রাজধানী দখলের জন্য আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ করছে তালেবান যোদ্ধারা।

Advertisement

স্থানীয় একটি হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, চারদিকে শুধু যুদ্ধ চলছে। তালেবানদের মোকাবিলায় শত শত আফগান যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্প্রতি আফগানিস্তানে দুই দশক সামরিক অভিযানের পর সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে দেশটিতে দ্রুত তালেবানের উত্থান ঘটছে। তালেবানদের ঠেকাতে হাজার হাজার আফগান সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

লস্করগাহের পতন ঘটলে ২০১৬ সালের পর তালেবানদের প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানী দখল হবে। বর্তমানে তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে তালেবান।

এদিকে, আফগানিস্তানে এমন পরিস্থিতির জন্য মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে দায়ী করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ হলো, এই সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেশটিতে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট।

 

Advertisement

এসএন

Advertisement

এশিয়া

চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৮ জনের মৃত্যু

Published

on

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেখানে যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। আহত হয়েছেন ২৪ জন। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। তবে কীভাবে বাসটিতে আগুন লেগে যায় তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত দেড়টা দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। মৃতদের মধ্যে ৬ জন নারী রয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) এনডিটিভির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এরই মধ্যে এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, একটি ফ্লাইওভারের ওপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটি।

পরে বাসটিকে ওইভাবে জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পুলিশে খবর দেয়া হলে দমকলের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। আগুন নিভলে দেখা যায় বাসটির আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কীভাবে বাসটিতে আগুন লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আফগানিস্তানে গোলাগুলি, স্প্যানিশ পর্যটকসহ নিহত ৪

Published

on

আফগানিস্তানের মধ্য অঞ্চলে বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন স্প্যানিশ পর্যটক ও একজন আফগানিস্তানের নাগরিক। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বামিয়ান প্রদেশের এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

শনিবার (১৮ মে) আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানী জানিয়েছেন, শুক্রবারের বন্দুক হামলার ঘটনায় আরও চার বিদেশি ও তিন আফগান নাগরিক আহত হয়েছেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে কানী বলেন, এই জঘন্য অপরাধের নিন্দা জানায় তালেবান সরকার। তাছাড়া ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়ারও নিশ্চিয়তা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

তবে এ হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

এদিকে আফগানিস্তানে হামলায় নিহত নিজেদের তিন নাগরিকের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তাছাড়া আহত বিদেশিদের মধ্যেও একজন স্প্যানিশ নাগরিক রয়েছেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের ঘোষণা হামাসের

Published

on

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য যখন তৎপর তখন সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা।

শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।’

ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।  কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।

প্রায় দু’সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।

ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে আবু ওবেইদা  বলেন, ‘গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।’

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত