Connect with us

ইসলাম

কথা ও কাজে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলার গুরুত্ব

Published

on

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মানবজাতীকে আশরাফুল-মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিবেক-বুদ্ধি, ইচ্ছা শক্তি এবং পথ চলার জন্য দিয়েছেন স্বাধীনতা। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে মানবজাতি কোনো কাজ করতে পারে না। 

‘ইন শা আল্লাহ- إِن شَاء اللَّهُ’; ইসলাম ও মুসলমানের জন্য এ বাক্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে আয়াত নাজিল করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে কোনো কথা ও কাজে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলার নির্দেশ দিয়েছেন। 

‘ইন শা আল্লাহ’ বলে কথা ও কাজ শুরু করার কারণও আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে এভাবে আয়াত নাজিল করে তুলে ধরেছেন-

وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

‘তোমাদের কোনো ইচ্ছাই বাস্তবে রূপ নেবে না, যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন; যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’ (সুরা আত-তাকভির : আয়াত ২৯)

Advertisement

ভবিষ্যতের কোনো কথা কিংবা কাজ করার আগে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলা— ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি রীতি। এ আয়াত থেকেই প্রমাণিত যে, এটি আল্লাহ তাআলা নিজেই শিখিয়েছেন। অন্য আয়াতে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলে কথা ও কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মুমিন তার জীবনের প্রতিটি কাজেই আল্লাহকে স্মরণ করবে। কারণ সে তার প্রতিটি কথা ও কাজে একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করবে; নিজের শক্তি-সামর্থ্য কিংবা অন্যান্য কোনো উপায়-উপকরণের ওপর নয়। তাইতো মুমিন মুসলমান ভবিষ্যতের কোনো কাজের কথা বলতে গিয়ে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলে থাকেন। 

কিন্তু এই ইন শা আল্লাহ কী? এর অর্থইবা কী? 

‘ইন শা আল্লাহ’ শব্দের অর্থ হলো- যদি আল্লাহ তাআলা চান। অর্থাৎ যদি আল্লাহ চান তাহলে আমি এই.. কাজ করব কিংবা এই.. কাজ হবে। ইসলামে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব।

কুরআনে ‘ইন শা আল্লাহ’র ব্যবহার

Advertisement

বাস্তব জীবনে ইন শা আল্লাহর ব্যবহার কেমন হবে, আল্লাহ তাআলা নিজেই কুরআনে তা তুলে ধরেছেন এভাবে-

 لَقَدْ صَدَقَ اللَّهُ رَسُولَهُ الرُّؤْيَا بِالْحَقِّ لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِن شَاء اللَّهُ آمِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُؤُوسَكُمْ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَ فَعَلِمَ مَا لَمْ تَعْلَمُوا فَجَعَلَ مِن دُونِ ذَلِكَ فَتْحًا قَرِيبًا

আল্লাহ তাঁর রাসুলকে সত্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। যদি আল্লাহ চান; তো তোমরা অবশ্যই মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে। নিরাপদে মস্তকমুণ্ডিত অবস্থায় এবং চুল কর্তিত অবস্থায়। তোমরা কাউকে ভয় করবে না। অতঃপর তিনি জানেন যা তোমরা জান না। এছাড়াও তিনি দিয়েছেন তোমাদেরকে একটি আসন্ন বিজয়।’ (সুরা ফাতহ : আয়াত ২৭)

কুরআনে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলার নির্দেশ

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইন শা আল্লাহ বলার নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে-

Advertisement

وَلَا تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ وَاذْكُر رَّبَّكَ إِذَا نَسِيتَ وَقُلْ عَسَى أَن يَهْدِيَنِ رَبِّي لِأَقْرَبَ مِنْ هَذَا رَشَدًا

‘(হে রাসুল!) আপনি ‘ইন শা আল্লাহ’ বলা ব্যতিত কোনো জিনিসের ব্যাপারে কখনো একথা বলবেন না যে, আমি আগামীকাল এ কাজটি করবো। যদি ভুলে এমন কথা মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সাথে সাথেই নিজের রবকে স্মরণ করুন এবং বলুন- আশা করা যায়, আমার রব এ ব্যাপারে সত্যের নিকটতর কথার দিকে আমাকে পথ দেখিয়ে দেবেন।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ২৩-২৪)

‘ইন শা আল্লাহ বলার গুরুত্ব ও ফজিলত

‘ইন শা আল্লাহ’ বলার মাধ্যমে বান্দার বিনয়, আকুতি এবং আল্লাহ তাআলার উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল বা ভরসা প্রকাশ পায়। ভবিষ্যতের কোনো কাজের ইচ্ছা পোষণের ক্ষেত্রে, আল্লাহর নাম নেয়া থেকে বিরত থাকলে বান্দার ঔদ্ধত্য-অহংকার প্রকাশ পায়। যা তার কথা ও কাজকে বরকতহীন বানিয়ে দেয়।

তাই সব মুমিন মুসলমানের উচিত, ভবিষ্যতের যে কোনো কথা বলা ও কাজের করার ঘোষণা দেয়ার আগে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলার আমলকে একান্ত অভ্যাসে পরিণত করা। নিজ নিজ পরিবারের শিশু-কিশোর; ছোট-বড় সব সদস্যদের এ কুরআনিক আদব ও নির্দেশকে অভ্যাসে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখা।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস ও অনুভূতির সঙ্গে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলার এবং এটাকে সব সময়ের জন্য অভ্যাসে পরিণত করে তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 

সংগৃহীত

এএ

Advertisement

ইসলাম

৯ হজ এজেন্সিকে আজকের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ

Published

on

আজকের মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মো. মতিউল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ যাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। আবার আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের বুকিং কম হওয়ায়, বুকিং হার দ্রুত বাড়াতে তাদেরকে তাগিদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে বুকিং হার কম হলেও হজ যাত্রীদের সিডিউল ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, হজ যাত্রার ৮ম দিনে মোট ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন হজ যাত্রীরা৷ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইনসে মোট ৩৬৭১ জন পবিত্র হজ পালন করতে কাবা ঘরের দিকে রওনা দেয়ার কথা আছে৷ এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ভিসা হয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি জনের৷ বাকি আছে এখনও ৪ হাজার ৮০০ জনের ৷ এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে হজ অফিস৷

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে

Published

on

বাংলাদেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল (১০ মে) শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

Published

on

পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালনের নিয়ম।

বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ জিলহজ বা ১৬ জুন (রোববার)।

বাংলাদেশ সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন পর ঈদ উদযাপন করে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হতে পারে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত