Connect with us

দুর্ঘটনা

গুলশান অগ্নিকাণ্ড: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত

Avatar of author

Published

on

গুলশান অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় বহুতল ভবনে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে ভবনটি পুলিশের নিরাপত্তায় মালিকদের জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ. আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, গুলশান-২ এর ১০৪ নং সড়কের ২/এ ভবনের নকশা, আগুনের কারণসহ অন্য কোনো ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে ফায়ার সার্ভিস ও রাজউক। তবে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জানা গেছে- সূত্রপাত ঘটেছিল বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে।

তিনি আরও বলেন, গুলশানে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই জন মারা গেছেন।গতকাল আনোয়ার নামের একজন এবং আজ ভোর ৪টার দিকে রাজু নামে আরেকজন মারা গেছে। এই পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আরও দুই জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও কয়েকজন আহত হয়েছে এবং তারা চিকিৎসা নিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

ভবনটির বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে ডিসি আহাদ বলেন, তারা ভেতরে প্রবেশ করছেন না। তবে ফ্ল্যাটের মালিক যারা রয়েছেন, তারা ভবনের নিরাপত্তা কর্মীদের ডেকে নিয়ে প্রবেশ করছেন। ভেতরে কি অবস্থা তা ফ্ল্যাট মালিকরাই বলতে পারবেন। ভবনটি এখন মালিকদের জিম্মায় রয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি তারা দেখছেন ।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে গুলশান-২ এর ১০৪ নং সড়কের বাসা- ২/এ এর ভবনে আগুন লাগে। অগ্নিনির্বাপকবাহিনীর ১৯টি ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে গতকাল রাতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তার নাম আনোয়ার হোসেন (৩০)। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন তার ছোট ভাই জুলহাস হোসেন। তিনি ওই ভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে মোহাম্মদ রাজু (৩৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তিনি ভবনের ১২তলায় এক কর্মকর্তার বাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন।

Advertisement

হাসপাতালে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

দুর্ঘটনা

দেড় ঘণ্টা পর তেলবাহী ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

Published

on

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি তেলবাহী ট্রলারে লাগা আগুন প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে বেলা দেড়টার কিছু আগে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ফতুল্লা বাজারের পাশে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি তেলবাহী ট্রলারে বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আগুনের খবর পায় তারা। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে৷ একে একে সংস্থাটির আটটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেলবাহী ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব ড্রামে আগুন ধরে যায়। এটি তেল নিয়ে ভোলার মনপুরায় যাওয়ার কথা ছিল। দুপুরে শ্রমিকরা রান্না করার সময় আগুন ধরে যায়। এতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণও ঘটে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ফতুল্লায় তেলবাহী জাহাজে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

Published

on

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ফতুল্লা বাজারের পাশে একটি জাহাজে আগুন লেগেছে। তারা বেলা ১টা ৩২ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পান এবং বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে এবং আরও চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি বা কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

কোরবানির ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩০৯, নিহত ৪৫৮

Published

on

ঈদুল আজহায় সারাদেশে সর্বমোট ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া আরও ১৮৪০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ তথ্য তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, গেলো ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত এবং ১৮৪০ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ৬ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হয়। সবমিলিয়ে দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত ও ১৮৫০ জন আহত হন।

ঈদের আগে গেলো ১০ জুন থেকে ঈদ পরবর্তী ২৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ঈদে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যম, পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ১৪ দিনে হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০৭৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে এসেছেন ৪৭৮ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ শতাংশ বাসায় বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ৫৩.১৭ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত বেড়েছে ২৩৮.২৩ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

এসময় তিনি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমাতে চায় বলেও অভিযোগ করেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত