Connect with us

আইন-বিচার

দম্পতিকে একঘরে করায় ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

Published

on

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের ছলিমনগর গ্রামে হিল্লা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক দম্পতিকে দুই মাস এক ঘরে করে রাখার ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত রোববার (২২ আগষ্ট) পঞ্চগড় আমলী আদালত-২ এর বিচারক এম এম মাহবুব ইসলাম কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) আদালতের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত গ্রাম্য মাতব্বর ফতুয়া দানকারী শাহজাহান আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের ছলিমনগর গ্রামে এক দম্পতিকে গ্রাম্য মাতব্বর ও ফতুয়া দানকারীরা দুই মাস এক ঘরে করে রাখার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিয়ষটি আদালতের নজরে আসে। গত ১১ আগস্ট পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান দি কোর্ট অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ১৯১ (১)  সি ধারার বিধান মতে বিষয়টিকে আমলে নেন।

Advertisement

বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ২২ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)নির্দেশ দেন।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন জানান,আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বিষয়টি শুনেছি তবে এখনও আদালতের আদেশের কপি হাতে পাইনি। আদেশ পেলে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

উল্লেখ্য, ৩৫ বছর সংসার করার পর পারিবারিক কলহের জের ধরে সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের সলিমনগর এলাকার দিনমজুর আয়নাল হক (৫৫) রাগের মাথায় তার স্ত্রী জামিরন বেগমকে (৪৫) তিন তালাক দেন। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। সমাজের চাপে পড়ে দিনমজুর আয়নাল আরেক বার স্ত্রীকে ধর্মীয় মতে বিয়ে করে নেন। তারপরও তা গ্রামের মাতব্বররা তা নতে নারাজ। হিল্লে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই দিনমজুর পরিবারটিকে একঘরে করে দেয়া হয়।

মুনিয়া

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

মতিউর দম্পতির সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

Published

on

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর দম্পতির সম্পদের তথ্য চেয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৩০ জুন) এসব চিঠি দেয়া হয়। এর আগে, দুদকের আবদনের প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী কলেজশিক্ষক লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।

এসব ঘটনা আলোচনায় আসার পর মতিউর রহমানকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে প্রত্যাহার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৪ জুন) মতিউর রহমান, তার স্ত্রী কলেজশিক্ষক লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিরুদ্ধে বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন মহানগর দায়রা জজ। মতিউর রহমানের স্ত্রী বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী। তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস করছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেল কুরবানির ঈদে ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

বেনজীরের ৪ ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ

Published

on

দুর্নীতি-দমন-কমিশন,-বেনজীর

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে কেনা গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু সেগুলোর চাবি বেনজীরের কাছে থাকায় সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। ফ্ল্যাটগুলোতে তালা খুলে প্রবেশের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন আদালত।

রোববার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদ এক আবেদনে আদালতকে জানান, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচের বিষয় রয়েছে। তা ছাড়া ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেয়ার জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন। ফ্ল্যাটের মালামালের তালিকা করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া জরুরি। এরপর আদালত শুনানি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

পিপি মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, সাবেক আইজিপির বাসায় প্রবেশের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি আদালত ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনারকে (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছেন যে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে ওই সব ফ্ল্যাটে প্রবেশ করবেন। ফ্ল্যাটগুলো পরিমাপ করে ভাড়া নির্ধারণ করবেন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী।

Advertisement

দুদক সূত্র জানায়, এর আগে বেনজীর আহমেদের পরিবারের ওই চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দায়িত্ব দেন আদালত। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ফ্ল্যাটগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের কর্মকর্তারা সেখানে যান। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলোয় বেনজীর আহমেদের পরিবারের কোনো সদস্য থাকেন না। বর্তমানে তারা কোথায় আছেন, তা কেউ বলতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে দুদকের পক্ষ থেকে আজ ওই আবেদন করা হয়।

এর আগে গেলো বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা বাড্ডা ও আদাবরের আটটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন আদালত। একই দিন বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা আরও ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেন আদালত।

তার আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট জব্দ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

আইনজীবী মহসিন রশিদ ও বাদলের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

Published

on

আইনজীবী-সমি-মহসিন-রশিদ-ও-শাহ-আহমেদ-বাদল

প্রধান বিচারপতিকে দেয়া আদালত বর্জনের কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠিতে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে আদালত অবমাননার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমি মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।

রোববার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ জুলাই দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, আমরা মাফ চাচ্ছি। খুবই দুঃখিত। এ ধরনের চিঠি আর লিখবো না।

গেলো বছরের ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল গেলো ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে চিঠি দেয়। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে উপস্থাপন করা হয়।

Advertisement

চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এ চিঠি নিয়ে দেয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।

পরে গেলো ৩ জানুয়ারি এ দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন।

১১ জানুয়ারি তাদেরপক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত