Connect with us

বাংলাদেশ

জোকোভিচকে কাঁদিয়ে মেদভেদেভের ‘প্রথম’

Published

on

রজার ফেদেরার-রাফায়েল নাদালদের ছাড়িয়ে যাওয়া হলো না নোভাক জোকোভিচের। ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ানকে ৩-০ সেটে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন দানিল মেদভেদেভ। ২০০৬ সালের পর ইউএস ওপেন জেতা প্রথম রাশিয়ান মেদভেদেভ।

২১ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদালকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি ছিল। ছিল ১৯৬৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ক্যালেন্ডার ইয়ার গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। শেষ পর্যন্ত সঙ্গী আক্ষেপ আর হতাশা। তাই তো ম্যাচ শেষে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না জোকোভিচ। টাওয়ালের আড়ালে লুকিয়ে কাঁদলেন। তবে মেদভেদেভকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি।

চলতি বছরের প্রথম তিন গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতা নোভাক জোকোভিচ বলেন, 'মেদভেদেভকে শুভেচ্ছা জানাই। যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেন জিতে নিয়েছে সে। আমি আশা করি আরো অনেক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতবে। ভবিষ্যতে এই মঞ্চে বার বার দেখতে পাবো ওকে।' 

সার্বিয়ান সুপারস্টারের অনন্য উচ্চতার পথে বাধার দেয়াল হয়েছিলেন একজন। তিনি দানিল মেদভেদেভ। তৃতীয় বারের চেষ্টায় সফল। ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ানকে হারিয়ে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। অভিনব উদযাপনে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। পছন্দের ভিডিও গেম ফিফার ফুটবলারদের আদলে জিহবা বের করে পড়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী রাঙালেন দারুণ জয়ে। স্ত্রীর জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কি হতে পারে?

ইউএস ওপেনের নতুন রাজা দানিল মেদভেদেভ বলেন, 'ফাইনালের দিন আমাদের তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী। মনে হলো জিততে না পারলে স্ত্রীকে উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য কিছুই থাকবে না। তাই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। একই সঙ্গে নোভাক জকোভিচকে রেকর্ড বঞ্চিত করার জন্য আমি দু:খিত।'

Advertisement

ফ্ল্যাশিং মিডোর বিলি জিন কিং সেন্টারে এদিন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন নোভাক জোকোভিচ। চলতি বছর ২৭ ম্যাচের গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচের সবগুলোতে জেতা নোভাক প্রথম সেট হারেন ৬-৪ গেমে। 

সার্বিয়ান তারকার ৩৮ আনফোর্সড এররের বিপরীতে মেদভেদেভের ১৬। পরের সেট গুলোর ভাগ্যও একই। ৯ ডাবল ফল্টের পরও এ মেদভেদেভ সেট জেতেন ৬-৪, ৬-৪ গেমে। ২০০৬ এ সবশেষ কোন রাশান হিসেবে ইউ এস ওপেন জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন মারিয়া শারাপোভা। আর তারপরেই এই তালিকায় নাম লেখালেন মেদভেদেভ। 

এস

Advertisement

অপরাধ

এমপি আনার হত্যা: অভিযুক্তদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি

Published

on

ভারতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কিলিং মিশনের প্রধান শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ আমান, তার সহযোগী তানভীর ভূঁইয়া এবং শিলাস্তি রহমান।

শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

গেলো বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকেই আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডে এবং তার লাশ গুম করার কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডটি ভারতে সংঘটিত হওয়ায় এরইমধ্যে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের একটি প্রতিনিধি দলও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এসে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনকে। ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ভাই তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শাহিন কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের ৫৬বিইউ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এর আগে, গত বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

Advertisement

মামলার অভিযোগে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

সোমবার (১৩ মে) বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউ টাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।’

এছাড়া, আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

এমপি আজিম হত্যকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত

Published

on

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ (এমপি) হত্যকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের আদালত।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জিহাদের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আদালত শুনানি শেষে তাঁর ১২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এর আগে ভারতের পুলিশ জানায়, গেলো রাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদসহ চারজন মিলে এমপি আজিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যকাণ্ডের পরে  শরীর থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করে ছোট টুকরো আকারে কেটে পলিথিন প্যাকেট করে জিহাদ। এরপরে সেই প্যাকেট কসাই জিহাদ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় সে ফেলে দিয়ে আসে।

জিহাদের এমন স্বিকারোক্তির পরে, ২৩ মে রাতেই কলকাতার কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি নামক এলাকায় অভিযানে যায় পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দা পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। সরিয়ে দেয়া হয় আশপাশের লোকজনকে।

Advertisement

তবে এখন পর্যন্ত মরদেহের কোনো অংশ উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশকে সহযোগিতা করতে এবার মাঠে নেমেছে স্থানীয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে সমর্থন জানায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির যে আবেদন করেছেন তা আমরা সমর্থন করি। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘বিশ্বশান্তি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। ফিলিস্তিনি শিশুরা ঢিল ছুড়লে ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে। কিছু দেশ একদিকে ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে অন্যদিকে আবার ফিলিস্তিনিদের খাবার দিয়ে সহযোগিতা করে। এমন নীতি তাঁর বোধগম্য নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন,  শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সবসময় সোচ্চার। বাংলাদেশ সাহায্য পাঠিয়েছে। আরও সাহায্য পাঠাবে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠলে অনেক দেশ ভ্যাটো দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ছাত্রদের পিটিয়েছে, তা কিন্তু গোপন থাকেনি। কোনও কিছুই গোপন থাকে না। নেতানিয়াহু এখন মানবাধিকারের শত্রু হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শোনেন না।

মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফখরুল সকালে এক কথা বলেন আর বিকেলে আরেক কথা বলেন। জামায়াত নাকি আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে। কারণ,তারা কাপুরুষ।

Advertisement

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন পীর সাহেব আছেন, যিনি মাঝে মাঝে বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ-মিছিল করেন। কিন্তু একটি মিছিলও তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে করেন না। তবে কর্মসূচি করেছে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং এর ভাতৃপ্রতিম দল।

প্রসঙ্গত, আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু,এম এ করিম প্রমুখ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত