বাংলাদেশ
২৪ ঘন্টায় মমেকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন করোনার উপসর্গ নিয়ে ও একজন করোনায় মারা গেছেন।এর আগের দিন ইউনিটটিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ইউনিটটিতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পাঁচজনই ময়মনসিংহের, একজন শেরপুর ও নেত্রকোনার বাসিন্দা।
এ নিয়ে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ১১৪ জনের মৃত্যু হলো। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ৯০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ডা. মুন আরও জানান, করোনা ইউনিটে নতুন করে ১০ জন ভর্তিসহ ১১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১১ জন। আর ওই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৪ টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭.৯৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৮৮৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৮৩৫ জন।
মুক্তা মাহমুদ
জাতীয়
ঈদে বন্ধ থাকবে বাল্কহেড চলাচল
ঈদ উল আযহা উপলক্ষে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত এই ১১ দিন নৌপথে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঈদের আগে ও পরের তিন দিন কোরবানির গরু ও পচনশীল ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাক ফেরি পারাপার হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঈদ উপলক্ষ্যে নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সংক্রান্ত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপথে ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ঈদের সময় ভাড়া যাতে বেশি নিতে না পারে সে জন্য থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। আবহাওয়ার দিকে সকলকে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপথে কিছু মানুষ আছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। ঝুঁকিপূর্ণ, আবহাওয়া বার্তা সঠিকভাবে মেনে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।
আই/এ
অপরাধ
‘হত্যার পর হাড়-মাংস আলাদা করে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরা হয়’
১৩ মে রাতে আধাঘণ্টার মধ্যে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ভাষ্যমতে খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার সম্ভব নয়। সেখানে তাকে হত্যার পর শরীর টুকরো টুকরো করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। তবে কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। জানালেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পরিকল্পনা হয় দুই থেকে তিন মাস আগে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কলকাতার নিউটাইউনের ফ্লাট ভাড়া নেয় হত্যাকারীরা। প্রথমে তারা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করবে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকাণ্ডের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করে নেবে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে অপরাধ করার সাহস পায়নি। তবে তারা এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে থাকতে পারেনি। আমরা তিনজকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও কয়েকজনকে নজরাদিতে রাখা হয়েছে।
টিআর/
আইন-বিচার
এমপি আজিমকে হত্যা, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার অভিযোগে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।
১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।
- বলিউড6 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- বলিউড5 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
- আইন-বিচার7 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
- ঢাকা5 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
- জাতীয়3 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
- অপরাধ4 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
- আন্তর্জাতিক5 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
- অপরাধ14 hours ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন