Connect with us

বাংলাদেশ

রোববার জানা যাবে মমতার মন্ত্রিত্বের ভাগ্য

Published

on

নির্বিঘ্নে শেষ হলো পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনের উপনির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে এই নির্বাচনে জেতার বিকল্প নেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর। এ কারণে তার আসন ভবানীপুরের দিকেই নজর সবার। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সেখানেও ভোটগ্রহণ হয়েছে অবাধে। এখন অপেক্ষা ভোটগণনা ও ফল ঘোষণার। আর তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে রোববার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর বলছে, রাজ্যের তিন আসনে উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে হলেও ভবানীপুরে ভোটার উপস্থিতি হতাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভবানীপুরে এর হার ৬০ শতাংশ পেরোবে কিনা সন্দেহ।

এদিন বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদে সব আসনেই নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। ভবানীপুরে ভুয়া ভোটারের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে দলটির নেতা কল্যাণ চৌবের। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটে কোনো কারচুপি হয়নি। মমতা বিপুল ভোটেই জিতবেন।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার (সিইও) কার্যালয়ও দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার যেসব অভিযোগ এসেছে, তা মোটেও গুরুতর নয়।

সিইও কার্যালয়ের সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এদিন নির্বাচন কমিশনে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ২০টি। তার মধ্যে ভবানীপুর থেকে গেছে ১২টি, শমসেরগঞ্জ থেকে আটটি। জঙ্গিপুর থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

Advertisement

সিইও কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দিল্লির নির্বাচন অফিসে গুরুতর কোনো অভিযোগের তথ্য পাঠাতে হয়নি, সেটিই স্বস্তির।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলো কড়া নজরদারিতে রেখেছিল সিইও কার্যালয়ে। ভবানীপুরের সব কেন্দ্রেই ওয়েবকাস্টের (অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার/নজরদারি) ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেখানে সব বুথে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাইক্রো-অবজার্ভারও ছিলেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। ভোটের দিন সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়। এমনকি ভোট-প্রক্রিয়া নিয়েও অভিযোগ তোলে শাসক দল তৃণমূল। এবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কমিশন। প্রথমে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কথা থাকলেও শেষমুহূর্তে আরও ২০ কোম্পানি আধা-সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। এত প্রস্তুতির পরে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করাতে পেরে যেন হাফছেড়ে বেঁচেছে সিইও কার্যালয়।

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

ফারদিন হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ জুন

Published

on

ফারদিন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যার ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি একমাত্র আসামি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। ওই বছর ১৬ এপ্রিল ডিবির দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের বাবা ও মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানা নারাজি আবেদন করেন৷ সেই আবেদন গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন আদালত।

ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন। ওই বছরের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ফারদিনের। ওই তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। গত বছর ৪ নভেম্বর একসঙ্গে ঘোরাফেরার পর রাত সোয়া ১০টায় বাসায় ফিরে যান বলে পুলিশকে জানান ওই তরুণী। এরপর ওই বছর ৯ নভেম্বর দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

মামলার পরদিন ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন দুপুরে তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১৬ নভেম্বর তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০২৩ সালের বছর ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কিরগিজস্তানে সহিংসতায় শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

ফাইল ছবি

কিরগিজস্তানে বিদেশি ছাত্র বিশেষ করে বাংলাদেশি ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু কেউ গুরুতরভাবে আহত হয়েছে বলে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আসেনি। আমরা ইতোমধ্যে কিরগিজস্তানে আমাদের গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি। কিরগিজস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো মিশন নাই। দেশটির প্রতিবেশী রাষ্ট্র উজবেকিস্তানে  নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামকে কিরগিজস্তানে যেতে বলা হয়েছে।

এর আগে দেশটিতে অবস্থিত মিশরীয়দের সাথে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মিশরীয়দের না পেয়ে বাংলাদেশি, পাকিস্তানী ও ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় কিরগিজস্তানের নাগরিকরা।

দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর মেহরাব জানান, গেলো ১৮ মে হোস্টেলে আক্রমণ করা হয়েছিল। আজকে আক্রমণ করা হচ্ছে  যারা হোস্টেলের বাইরে বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে তাদের ওপর। বাসায় এসে দরজাতে নক করা হচ্ছে। তাঁরা খাবার কিনতে নিচে যেতে পারছি না।

প্রসঙ্গত, উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য বলছে, কিরগিজস্তানে প্রায় হাজারখানেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত অবস্থায় আছে। এদের বেশিরভাগ মেডিকেল শিক্ষার্থী।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ভোটের হার কম হওয়ার বিষয় যা বললেন ইসি আলমগীর

Published

on

ভোটের হার কম হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ভোটের হার বাড়ার নিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই এবারও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করি।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট বর্জনের আহ্বান করতে পারে। সেটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে তারা সহিংসতা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ভোটের হার বাড়বে তাও বলা যায় না। ভোটের হার কম হওয়ার পেছেনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে।

Advertisement

‘রাজনৈতিক দলগুলোর একের প্রতি অপরের অনাস্থা থাকতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের ওপর কারও অনাস্থা নেই’, যোগ করেন এই নির্বাচন কমিশনার।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত