Connect with us

বাংলাদেশ

রাজধানীর গুলশানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ শিশুর মৃত্যু

Published

on

রাজধানীর গুলশানের আমেরিকান অ্যাম্বাসির সামনে একটি রিকশা বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ট্রাক। এতে ওই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রিকশা আরোহী এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শিশুটির পরিবারের আরও তিনজন। আহতরা হলেন শিশুটির বড় বোন রাহী (৬), বাবা রহিম ও মা শাহজাদী আক্তার মাফারা (২৫)।

রোববার (৩১ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টার রিহান নামের শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

নিহত রিহান নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার খালিশপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তাদের বাসা বাড্ডা বাঁশতলা এলাকায়। রহিম গুলশানে মুদি দোকানদার।

শিশুটির মামা নজরুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে নতুন বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।  দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাদের সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিহানকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, রাহী ও তার মা মাফারাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর শিশুটির বাবা রহিম শাহবুদ্দিন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। 

Advertisement

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম জানান, রিকশা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী রিকশাটি চিনিবোঝাই ট্রাকের সামনে পড়ে যায়। এতে ট্রাকচালক রিকশাটিতে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সাথে সাথেই উল্টে যায় ট্রাক। আর তখনই ওই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে রিকশার। এতে রিকশায় থাকা চারজনই আহত হন। 

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালককে আটক করা হয়েছে। তবে রিকশাচালককে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। 

পুলিশের এই  কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে। 

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

Published

on

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ফাইল ছবি

‘নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের দুই দেশের মানুষ সহযোগিতা করতে পারে এমন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে। ’

মঙ্গলবার(২৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের লক্ষ্য এক। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা এবং একে অপরকে এটি অর্জনে সহায়তা করতে আমাদের উভয় দেশের মানুষকে একত্রিত করার জন্য কাজ করি।’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তা দুই দেশের সহযোগিতার একটি মূল ক্ষেত্রকে তুলে ধরে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘সেটি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আমাদের উভয় দেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ুর ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের একটি মূল ক্ষেত্র এ ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের দুই দেশই সমস্যা সমাধানে আরও বেশি সক্ষম হবে। আমাদের উভয় দেশই জনগণের সুরক্ষা এবং তাদের শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ জীবনযাপনে সহায়তা করতে চায়।’

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সব নাগরিককে হেলথ আইডি দেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

ফাইল ছবি

নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩ হাজার ৮৮৯টি ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান করা হয়েছে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে দ্রুতই এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেয়া হবে। বললেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা কর্তৃক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডেঙ্গু রিপোর্টিং তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষাকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে একই রোগীর একাধিক রিপোর্ট রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৪টি হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৫২ লিটার, স্যালাইন সেট ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৯টি, মশারি ২৬ হাজার ১৩৫টি ও ডেঙ্গু টেস্ট কিট ১ লাখ ১ হাজার ১৫৯টি মজুত রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ২ লাখ কিট মজুত আছে। যার মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার কিট ৬৪ জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৮৮ হাজার কিট মজুত আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে বর্তমানে সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এছাড়া ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

বোতলজাত পানির মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক : ক্যাব

Published

on

দেশে বোতলজাত পানির দাম গত এক বছরে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক ও অন্যায্য। আমরা এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি৷ বললেন, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রেস ক্লাবের সামনে বোতলজাত পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানায় ক্যাব।

হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন সময়ক্ষেপণ করে কিছু কোম্পানিকে বাড়তি মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে৷ এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে, সেখানে বোতলজাত পানির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে৷

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ওয়াসা হুমকি দিয়ে পানির দাম বাড়াচ্ছে। তারা হুমকি দেয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। আর প্রতিযোগিতা কমিশন জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে না, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করে।

এ সময় তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কম পয়সায় মানুষের মানুষের পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করুন।  ঢাকাসহ সারা দেশে মোড়ে মোড়ে মিঠা পানির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি। এভাবেই বোতল সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

Advertisement

বক্তারা বলেন, গত বছর হঠাৎ করে বোতলজাত পানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রতি বোতল পানির দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকার আধা লিটার পানির বোতলের দাম ২০ টাকা করে। প্রতি ৫০০ মি. লি. বোতলজাত খাবার পানির পাইকারি মূল্য ১১ থেকে ১২ টাকা। অর্থাৎ ৫০০ মি. লি. পরিমাণের প্রতি বোতল পানি খুচরা পর্যায়ে ৮ থেকে ৯ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে,যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।

এ সময় ক্যাবের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবিও তুলে ধরা হয়। তাদের দাবিগুলো হলো:

অবিলম্বে সব ধরনের বোতলজাত পানির অযৌক্তিক, অন্যায় ও অন্যায্য মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করতে হবে; ভোক্তাদের ন্যায্য মূল্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে; বোতলজাত পানির মূল্য স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে; যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যুথবদ্ধভাবে হঠাৎ করে বোতলজাত পানির দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে ভোক্তাসাধারণকে কষ্টে ফেলেছে, তাদের আইনানুগ বিচার ও শাস্তির পদক্ষেপ নিতে হবে; বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন সময়ক্ষেপণ করে সংশ্লিষ্ট বোতলজাত পানি প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে তার পদ হতে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত