Connect with us

চট্টগ্রাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ‘কথিত’আরসা নেতা হাসিমের মরদেহ উদ্ধার

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা’র ‘কথিত’ নেতা মোহাম্মদ হাশিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গেলোরাতে, তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হাসিম টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের ২২নং ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি কথিত আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান।

তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জানায়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দাপট দেখিয়ে আসছিল। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ৬ জন হত্যার অন্যতম হুকুমদাতা ছিলেন এই হাশিম। তিনি ক্যাম্পে অঘোষিত নিয়ন্ত্রণযজ্ঞ চালাতেন। এমনকি যারা তার সঙ্গে চলাফফেরা করে তাদের ওপরও বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতেন। এসব ঘটনার কারণে সাধারণ রোহিঙ্গারা তার ওপর ক্ষীপ্ত ছিল।

তবে দেশে আরসার কোনো অস্তিত্ব নেই বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। হাশিম আরসার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

Advertisement

অপরাধ

মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক টেকনাফে

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে হঠাৎ মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। মাসখানেকের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, বাইকের মাথা লক করা থাকলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।

উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ফুটবল খেলা দেখার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফয়াজ এর বাড়িতে যাই। এ সময় মোটর সাইকেলটি বাড়ির সামনে উঠানে রেখে বাড়িতে প্রবেশ করি। যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর- কক্সবাজার-ল-১২-১৩৬০, সিসি- ১৫৫, রং-কালো, ইঞ্জিন নং- BGA1-786520, চেসিস নং- RMBL- EB11J-105433। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মোটর সাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

একই কায়দায় মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ করে পুরান পাড়ার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ৭ জুন রাতে আমার নিজ বাড়ির ভিতরে নীল কালারের ভার্সন-২ গাড়িটা রেখেছি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির গেটের তালা ভেঙে মোটর সাইকেলটি নাই।

লবণ ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ভুলু নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, চলতি মাসের ১৪ তারিখে গভীর রাতে আমার ফেজার মোটর সাইকেলটি বাড়ির উঠানে রেখেছি। ঘণ্টাখানেক পর বের হয়ে দেখি বাইকটি উধাও। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান মেলেনি।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গনি বলেন,  অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে আয়ুদের দায়িত্ব দিয়েছি। এ বিষয়ে যথেষ্ঠ তৎপর রয়েছি। তারপরও বিষয়টি দেখছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী পুস্তিকা, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

আটকরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে জাকারিয়া মন্ডল(১৯), ভোলার নুরুল আমিনের ছেলে মোঃ নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনী সোনাগজী এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ ওজায়ের।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা স্বীকার করে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় অনেক সদস্য আটক হয়েছে। যেহেতু কিছু সংখ্যক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছে, তাই এই সংগঠনটিকে তারা পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন রিক্রুটিং করছে। উঠতি বয়সী কিশোরদের অপব্যাখা দিয়ে সহজে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে ভূলপথে নেয়া যায় বিধায় কোমলমতি কিশোরদের তারা প্রথমে টার্গেট করতো। তাই এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ এবং মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। সাধারণত লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো।

তিনি আরও বলেন, এ সংগঠনে মাদ্রাসা শিক্ষক সদস্যগণ অত্যন্ত সু-কৌশলে মাদ্রাসা পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতো। এ জন্য তারা সংগঠনের সদস্যদের গোপনে শারীরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতো বলে জানা যায়। তারা বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন উগ্রবাদী গ্রুপে তাদের বিচরণ ছিল।

Advertisement

আরাফাত ইসলাম বলেন, আটক হওয়া সদস্যরা ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসার বন্ধ থাকায় সকলে ছুটিতে বাড়িতে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা ছুটি শেষে পুনরায় মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু মাদ্রাসায় না গিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, চাঁদা আদায়, দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিভিন্ন নীতি নির্ধারণের জন্য গোপন বৈঠক করার উদ্দেশ্যে জঙ্গি সংগঠনটির বাংলাদেশের পরবর্তী সম্ভাব্য আমিরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজারে একত্রিত হয়েছিল। পরবর্তীতে গোপন বৈঠক চলাকালীন সময়ে র‌্যাব তাদের আটক করে।

উল্লেখ্য, আটক হওয়া সদস্যরা মূলত কক্সবাজারে এসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিল। যা কিনা র‌্যাবের কারণে ভেস্তে গেছে পুরো পরিকল্পনা। আটককৃত জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

Published

on

রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. সালেক নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১টার দিকে ৮ নম্বর ইস্ট ক্যাম্পের বি/৫০ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. শামীম হোসেন।

নিহত মো. সালেক ওই ক্যাম্পের ডি/৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, আজ দিবাগত রাতে সালেক নামে এ রোহিঙ্গা নিজ ঘরে ফেরার পথে বোরকা পরিহিত ৩/৪ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই হাসপাতালে নেয়ার সময় রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত