আন্তর্জাতিক
ন্যাটোর ‘নাকের ডগায়’ রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন
বেলারুশ সীমান্তে ন্যাটোর নাকের ডগায় পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ রোববার (২ এপ্রিল) রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিস গ্রিজলভ জানান,পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনর এ কাজে পুরোপুরি প্রস্তুত রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ন্যাটো সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ। এই দুই প্রতিবেশী আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘ইউনিয়ন স্টেট’-এর অংশ এবং আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চলছে।
এ ছাড়া গেলো বছর রাশিয়াকে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর জন্য বেলারুশিয়ান অঞ্চল ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার পর এ প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।
বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ‘আমাদের ইউনিয়ন স্টেটের পশ্চিম সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হবে এবং এগুলো এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আপত্তি সত্ত্বেও এটি করা হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ অনুসারে অস্ত্র রাখার স্থাপনা বা স্টোরেজ সুবিধা আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং তারপর এসব পারমাণু অস্ত্র বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তে স্থানান্তরিত হবে।
বেলারুশের উত্তরে লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়া এবং পশ্চিমে পোল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। পূর্ব দিকের সীমান্তে রয়েছে ইউক্রেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও কিয়েভের অন্য মিত্ররা বলেছে, তারা বেলারুশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
অবশ্য বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো গেলো শুক্রবার (৩১ মার্চ) বলেছেন, রাশিয়াকে প্রয়োজনে আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের অনুমতি দেবে বেলারুশ।
অবশ্য ঠিক কবে নাগাদ অস্ত্রগুলো বেলারুশে স্থানান্তর করা হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এ ঘোষণা বাস্তবে রূপ নিলে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে রাশিয়া।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ইউরোপের দীর্ঘতম শাসক। গেলো ২৮ বছর ধরে তিনি বেলারুশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বেলারুশিয়ান এই প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন তাকে ২০২০ সালে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের পরও টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল।
আন্তর্জাতিক
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর পুরুষ হয়ে গেলেন নারী!
মুজাহিদ, ২০ বছর বয়সী এই তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন নারী হয়ে গেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সার্জারির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে দিয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। এ নিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ন (বিকেইউ)। মনসুরপুরের বেগরাজিপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সী মুজাহিদ সানজাক গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে গত ৩ জুন ওমপ্রকাশ নামের এক ব্যক্তি তাকে প্রতারিত করেছে। ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের মুজাহিদের অস্ত্রপচার করতে রাজি করায় বলে অভিযোগ উঠেছে ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তার পুরুষাঙ্গ (মুজাহিদের) ফেলে দিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তনের কারসারি করেন তিনি।
মুজাহিদ অভিযোগ করেন, ওমপ্রকাশ তাকে গত দুই বছর ধরে নির্যাতন এবং হুমকি দিয়ে আসছে। মুজাহিদের একটি সমস্যা রয়েছে এজন্য তার হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানায় ওমপ্রকাশ। এরপর সে ওমপ্রকাশের সঙ্গে ওই হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা তাকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তনের কাজ করে।
মুজাহিদ জানায়, ওমপ্রকাশ আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরের দিন সকালে অপারেশন করা হয়। যখন আমার জ্ঞান ফেরে তখন আমাকে বলা হয় আমি পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর হয়েছি।
এরপর থেকেই ওমপ্রকাশ মুজাহিদকে তার সঙ্গে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। কারণ এ অবস্থায় মুজাহিদকে তার পরিবার মেনে নেবে না। অন্যদিকে ওমপ্রকাশ মুজাহিদের বাবার জমি দখল করে নিতে তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
মুজাহিদ আরও জানায়, ওমপ্রকাশ এখন আমাকে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করছে এবং আমার বাবার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এ ঘটনার পর ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) নেতা শ্যাম পাল ওই মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি ওমপ্রকাশ ও অস্ত্রপচারের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। পুলিশ এ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
শ্যাম পাল বলেন, এ ঘটনা এটাই নির্দেশ করে হাসপাতালটি মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার করছে। এক্ষেত্রে হাসপাতালের একটি গোষ্ঠী কাজ করছে। যারা মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ এবং কৌশলে লিঙ্গ পরিবর্তনের মতো ভয়ঙ্কর কাজে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মুজাহিদের বাবা গেল ১৬ জুন পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরই পুলিশ ওমপ্রকাশকে গ্রেপ্তার করেছে। শ্যাম পাল এ ঘটনার জন্য ২ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। কারণ এ ঘটনায় মুজাহিদের পুরো জীবন ক্ষতির মুখে পড়বে।
আন্তর্জাতিক
টানা ৩য় বার বৈশ্বিক ধনকুবেরদের সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য আমিরাত
টানা তৃতীয়বারের মতো বৈশ্বিক ধনকুবেরদের সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্যের তকমা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ‘প্রাইভেট ওয়েলথ মাইক্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এই তথ্য।
প্রতিবেদনটিতে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে দশটি শহরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোটিপতি নিজেদের সম্পত্তি স্থানান্তর করেছেন, তার তালিকা দেওয়া আছে।
এতে বলা হয়েছে, আমিরাতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলারের সম্পত্তি কিনেছেন বা দেশটির ব্যাংকে রেখেছেন— চলতি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এমন ধনীদের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজারে পৌঁছেছে, যা রীতিমতো রেকর্ড। এর আগে কোনো বছর বিশ্বজুড়ে এত সংখ্যক ধনী আমিরাতে তাদের সম্পদ স্থানান্তর করেননি।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যে গতিতে বৈশ্বিক ধনীরা আমিরাতে তাদের অর্থ-সম্পদ স্থানান্তর করছেন, তাতে বছর শেষ হওয়ার আগেই ১ লাখ ২৮ হাজারের সঙ্গে আরও যোগ হবেন অন্তত ৬ হাজার ৭০০ জন।
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ থেকে তথ্য নিয়ে ‘প্রাইভেট ওয়েলথ মাইক্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। গত বছরও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। সেই প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দুবাইয়ে নিজেদের সম্পত্তি স্থানান্তর করেছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার বৈশ্বিক কোটিপতি।
নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ এবং হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১০টি দেশে সম্পদ স্থানান্তর করেছেন অধিকাংশ ধনকুবের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র (২য়), সিঙ্গাপুর (৩য়), কানাডা (৪র্থ), অস্ট্রেলিয়া (৫ম), ইতালি (৬ষ্ঠ), সুইজারল্যান্ড (৭ম), গ্রিস (৮ম), পর্তুগাল (৯ম) এবং জাপান (১০ম)।
আন্তর্জাতিক
পুতিন এখন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ভিয়েতনামে
উত্তর কোরিয়ার পর কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্র ভিয়েতনামে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোররাতে তিনি দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরে পুতিকে স্বাগত জানান, দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী চান হোং হা। এসময় ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিক লে হাই চুং উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
দুদিনের এ সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নেয়ন ফু চং, প্রেসিডেন্ট তো লাম ও প্রধানমন্ত্রী ফাম মিং চিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পুতিন ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠাতা নেতা হো চি মিনের সমাধিও পরিদর্শন করবেন।
অতীতে কমিউনিস্ট শাসনের সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শীতল যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির অনেক কর্মী সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যেতো। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রধান নেয়ন ফুচংও রাশিয়ায় গিয়ে পড়েছেন।
বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা করেনি ভিয়েতনাম। পশ্চিমা দেশগুলো হ্যানয়ের এ অবস্থানকে ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করে।
এনএস/
- বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- ক্রিকেট6 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- বাংলাদেশ6 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
- বাংলাদেশ7 days ago
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে তিন শর্ত পুতিনের
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন