Connect with us

ঢাকা

নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরের ফায়ার সার্ভিসসহ যোগ দিয়েছে র‌্যাবের ২২ দল

Avatar of author

Published

on

ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। ভয়াবহ এই ঘটনায় সহযোগিতা করতে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ফায়ার সার্ভিসও যোগ দিয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে রয়েছে গোয়েন্দাসহ এলিট ফোর্স র‌্যাবের ২২টি দল।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, র‍্যাবের ঢাকার সব ব্যাটালিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৮টি টহল দল ও সাদা পোশাকে ছয়টি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে।

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আগুন নেভাতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ফেলা হচ্ছে। সকাল ৯টার পর থেকে বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।

এর আগে, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ১২ মিনিটে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতোমধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে তিনজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বঙ্গবাজারে মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো মার্কেটসহ কমপক্ষে চারটি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

এদিকে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ছাড়া হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে এত বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড তাদের পথে নামিয়ে দিয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

ঢাকায় তীব্র গ্যাস সংকট, ভোগান্তি চরমে

Published

on

গ্যাস

ঢাকায় চরম আকার ধারণ করেছে গ্যাস সংকট। দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস থাকে না। পাইপলাইনের গ্যাস রাত ১২টার পর গ্যাস এসে ভোর ৫টায় চলে যায়। দিনের বেলা আসলেও চুলা নিবু নিবু করে।

গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, নদ্দা ও কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।

এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, লাইনের গ্যাস বেশিরভাগ সময় থাকে না। গ্যাসের চাপও কম। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। উপায় না পেয়ে অনেক সময় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।

জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দিনে দু-তিন ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, রমনা সিদ্ধেশরী এলাকার চিত্র একই। রাতে আসলেও দিনে গ্যাস থাকে না।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, সব এলাকায় সমস্যা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আছে। সাপ্লাই কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রেগাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ এখন কম। আশা করছি, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।

Advertisement

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

চাঁদা না দেয়ায় হাতির হামলায় ঔষধ ব্যবসায়ির মৃত্যু

Published

on

কিশোরগঞ্জে পোষা হাতির হামলায় মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন (৪৫) নামের এক ঔষধ ব্যবসায়ির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চাঁদা না দেয়ায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনার পরে হাতি ও তার মাহুতকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পোষা হাতি দিয়ে চাঁদবাজি করছিল রিয়াজুল মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। এমন সময় মাসুদুর রহমানের ঔষধের দোকানে চাঁদা চায় হাতি। দোকান মালিক চাঁদা দিতে রাজি না হয়ে  হাতিকে আঘাত করে। এ ঘটনায় হাতি শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে মাসুদুর রহমানকে। এর ফলে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

পরে স্থানীয়রা মাসুদুর রহমানকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদুর রহমানের মৃত্যু হয়।

সদর থানার ওসি জানান, এই ঘটনায় হাতি ও হাতির মাহুতকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

শেরপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ. ন. ম. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে হাতি পালনের নিয়ম রয়েছে। তবে হাতি দিয়ে টাকা তোলা বা চাঁদাবাজির কোনো নিয়ম নেই। এগুলো স্থানীয় প্রশাসন দেখবে ও দমন করবে।

প্রসঙ্গত, নিহত ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন(৪৫) পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিং রইল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি এ আর ফার্মা নামে একটি ঔষধের দোকানের মালিক ছিলেন।

আই/এ

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রূপগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি বোমা উদ্ধার

Published

on

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা পৌরসভার আরিয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা চারতলা ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ফ্ল্যাটটি থেকে শক্তিশালী তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এর আগে আজ সকাল থেকে উপজেলার বরপা বাগানবাড়ি এলাকার জাকির হোসেন নামের একজনের ওই ভবনটি ঘিরে রাখে এটিইউর দল। পরে দুপুর ২টা থেকে ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি বাসায় অভিযান শুরু করা হয়।

ওই ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া সুন্নত মিয়া জানান, এই ভবনের তৃতীয় তলার একটি বাসায় দুই শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী বেশ কয়েকমাস ধরে বসবাস করে আসছিল। তবে কয়েকদিন ধরে তাদের দেখা যাচ্ছে না। তারা নারায়ণগঞ্জের টিটাগাং রোডে গার্মেন্টসে চাকরি করে বলে জানিয়েছিলেন।

Advertisement

এটিইউ পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল  জানান, গেলো ৯ জুন নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় এটিইউ। নেত্রকোণার ওই ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে আজকের এ অপারেশন পরিচালিত হয়।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত