সিলেট
সেপটিক ট্যাংকে প্রাণ হারালেন ২ শ্রমিক
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত দুই শ্রমিক হলেন, উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের বড়ধামাই গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে মো. শাহীন মিয়া (২২) ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫)।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের স্টেশন রোডে ফয়জুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে তাদের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়জুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনে কয়েকজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। ঘটনার সময় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সাটারিং খুলতে প্রথমে একজন শ্রমিক ভেতরে প্রবেশ করে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধারে অন্য আরেকজন ভেতরে নামলে দুজনেই সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মারা যান। পরে ঘটনার খবর পেয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত জাহান তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনফর আলী বলেন, দুপুর ১টার দিকে স্টেশন রোডে ফয়জুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে এ দুই শ্রমিক আহত হলে বিষয়টি প্রথমে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের উপস্থিতিতে সেপটিক ট্যাংকে পড়া দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শংকর রায় বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় তিনি আরও বলেন, সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
জুড়ী উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত জাহান বলেন, সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনা হলে আমরা মৃত ঘোষণা করি।
ওসি মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহ এলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সিলেট
সিলেটে আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি ৫ লাখের বেশি মানুষ
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ মোট সাত উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সিলেটের কয়েকটি নদীর পানি।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়।
সিলেট জেলা প্রশাসনের জানায়, সিলেট জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত এলাকার ৪ হাজার ৮০২ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্লাবিত উপজেলাগুলোর মধ্যে কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিলেটের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো- জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।
এদিকে গতকাল জৈন্তাপুর উপজেলায় উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রম চালিয়েছে বিজিবি।
আই/এ
সিলেট
সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে বিজিবি
সিলেটে টানা বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় বিজিবি এ উদ্ধার কার্যক্রম চালায় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষা করতে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন তারা। এ সময় বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করেন তাঁরা।
তিনি জানান, বন্যায় পানিবন্দি দুই শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষদের জন্য ৪৫০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আই/এ
সিলেট
আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত সিলেট, প্রস্তুত সেনাবাহিনী
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের চারটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। সুরমা, কুশিয়ারা, ডাউকি, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে নামতে প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী। বন্যায় প্লাবিত এলাকা রেকিও করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদী কানাইঘাটে, কুশিয়ারা অমসিদে, সারি নদী সারিঘাটে, ডাউকি জাফলংয়ে, সারিগাঙ্গ গোয়াইনঘাট বিপৎসীমার প্রায় এক মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগিল, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।’
তবে তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘এই পানি আরেকটু বৃদ্ধি পাবে; তারপর নেমে যাবে।’
জানা যায়, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ এখন পানিবন্দি। এ ছাড়া উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলং বেশি প্লাবিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উপজেলার ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।’
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘২০২২ সালের মে মাসে সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৩৯ মিলিমিটার। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৩৩০ মিলিমিটার এবং ২০২৪ সালের মে মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।’
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে। দ্রুত উদ্ধার অভিযান চলছে। সেনাবাহিনীও ইতোমধ্যে রেকি করেছে। প্রয়োজনে তারাও উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে যোগ দেবে।’
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়7 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন