রংপুর
সৌদির সাথে মিল রেখে কুড়িগ্রামে ঈদ উদযাপন
![কুড়িগ্রামে ঈদুল ফিতর](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/04/কুড়িগ্রামে-ঈদুল-ফিতর.jpg)
সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলার দুটি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিটপাইকের ছড়া ও পাইকডাঙ্গা গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। গ্রাম দুটিতে দুইশতাধিক মোহাম্মদীয়া তরিকতের অনুসারী নারী,পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
পাইকডাঙ্গা গ্রামের জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধ জামাল উদ্দিন জানান, বাপদাদার আমল থেকে তারা ঈদের চাঁদ দেখা বা খবর পাওয়ার পরদিন ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
চাঁদ দেখার খবর শুনে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্টের সাথে একই দিনে ইদের নামাজ আদায় করেছেন ছিট পাইকের ছড়া গ্রামবাসী।
ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বারের ন্যায় এবারো তারা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তিনি আরোও জানান, বিশ্বের যেকোন স্থানে বা দেশে ঈদের চাঁদ দেখা বা কোন মাধ্যমে সংবাদ পেলেই ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। আমরা বিগত ১৫ বছর থেকে এই সমাজ পরিচালনা করে আসছি।
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা গ্রাম থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন আলমগীর হোসেন ও আব্দুল লতিফ। এই মুসুল্লি জানান তারা ৫ বছর ধরে ফুলবাড়ী থেকে এসে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
পাইকডাঙ্গা গ্রামে নামাজের ইমামতি করনে মোহাম্মদ তামিম হোসেন ও ছিটপাইকের ছড়া গ্রামে নামাজের ইমামতি করেন মোহাম্মদ মোকছেদুল ইসলাম। ঈদের নামাজ উপলক্ষে দুটি গ্রামে নিরাপত্তা প্রদান করেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম জানান, দুটি গ্রামের কিছুসংখ্যক পরিবার আজকে ইদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তারা ঈদের নামাজ শেষ করেছেন।
রংপুর
ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপরে, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
![কুড়িগ্রামে-পানি-বৃদ্ধি](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/কুড়িগ্রামে-পানি-বৃদ্ধি.jpg)
কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের প্রধান সব নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার যথাক্রমে ৬৩ ও ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে ক্রমাগত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
পানি দ্রুত বৃদ্ধির কারণে জেলার প্রায় ৪২১টি চর-দ্বীপচরগুলোর মধ্যে প্রায় ২৪৩টির চারপাশে পানি ঢুকেছে। এসব এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, গেলো কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। ফলে এসব এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকেই ঘরের চালা ও ঘরের ভেতর মাচা করে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ উঁচু বাঁধগুলো আশ্রয় নিয়েছেন। রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট। সব থেকে বিপাকে পড়েছেন নারী ও বয়স্করা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গেলো দুইদিনে জেলায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি আরও দু-একদিন থেমে থেমে দেখা যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেবে। এ বিপৎসীমা আরও অতিক্রম করতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসিদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
রংপুর
শাক তুলতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-52.jpg)
রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজন মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। পরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- দেলোয়ারা বেগম ও তার ছেলে ইদা মিয়া এবং প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, সকালে দেলোয়ারা নামে এক নারী কচুশাক তুলতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে পড়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে ইদা ও প্রতিবেশী ইবলুল মিয়াও ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে দুটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
রংপুর
কুড়িগ্রামে বন্যায় পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ
![কুড়িগ্রামে-বন্যা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/কুড়িগ্রামে-বন্যা.jpg)
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় চিলমারী পয়েন্টে ২৬ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে এই নদের পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকটি উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে গেলো তিনদিন ধরে ঘরের ভিতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। চৌকিতে রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত কাটছে তাদের। বাড়ির চারপাশে থৈথৈ পানিতে অসহায় দিন কাটছে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান, গেলো তিনদিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। ছেলে মেয়েকে উঁচু জায়গায় রেখে গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি।
একই ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের রমিচন জানান, ঘরে পানি। রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। গরুকেও কিছু খাইতে দিতে পারছি না। বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে।
একই গ্রামের ফরিদা জানান, চারটে ভাত ফুটাচ্ছি। তরকারি নাই। লবন দিয়া খাইতে হইবো।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নে ১৫শ’ মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদ শেখ জানান, আমার ওয়ার্ডে দেড়শ ঘরে পানি উঠেছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে প্রায় ৮শ’ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
ফকিরের চরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিলেও তারা পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন। এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান জানান, আমি বিষয়টি জানলাম। এখনেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, বন্যা কবলিত কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর ও নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত এক হাজার পরিবারকে ত্রান ও ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
- পর্যটন6 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম6 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড5 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ6 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- রংপুর7 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- ক্রিকেট6 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
- আন্তর্জাতিক7 days ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- অপরাধ4 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন