ছাত্র-শিক্ষক
রাবিতে ডিন ও সিন্ডিকেটসহ ৪০ পদে নির্বাচন ২৫ নভেম্বর
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন অনুষদে ডিন, সিন্ডিকেট, শিক্ষাপরিষদ, ফাইন্যান্স, পরিকল্পনা উন্নয়ন কমিটি ও শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর ছয় ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪০ পদে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
জানা যায়, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা, আইন, বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, চারুকলা, ভূ-বিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদে ১২ ডিন, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচজন। এর মধ্যে প্রাধ্যক্ষ, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন।
শিক্ষাপরিষদে তিন সহযোগী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক ব্যতীত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোট ছয়জন, ফাইন্যান্স কমিটির একজন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটিতে একজন শিক্ষক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা ও ৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র উত্তোলন শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৫ নভেম্বর। আগামী ২৫ নভেম্বর নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ২৪ অক্টোবর তফশিল ঘোষণা করা হয়।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র জানায়, সিন্ডিকেট নির্বাচনে সাদা প্যানেল থেকে প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে ফোকলোর বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, প্রফেসর ক্যাটাগরিতে মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এনামুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টের মো. মাহবুবুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে চিত্রকলা প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্রের মো. আমিরুল ইসলাম নির্বাচন করছেন।
অন্যদিকে হলদু প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে ফার্মেসি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. একরামুল ইসলাম, প্রফেসর ক্যাটাগরিতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. মামুনুর রশীদ তালুকদার সবুজ, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে সমাজবিজ্ঞানের মো. শরিফুজ্জামান জোয়ার্দ্দার, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে আইন বিভাগের শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম সাগর, প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক শামসুন নাহার।
ফাইন্যান্স কমিটিতে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ড. এম আহসান হাবিব। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটিতে সংগীত বিভাগের ড. অসিত রায়।
এদিকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের পক্ষে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জাফর সাদিক।
অন্যদিকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রুপের পক্ষ থেকে সভাপতি পদে লড়বেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ছায়েদুর রহমান পান্নু। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান।
ছাত্র-শিক্ষক
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ফাঁকা থাকছে ৭৩ হাজারের বেশি পদ
সারাদেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক পদ শূন্য। পদগুলোতে নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে আবেদন পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে শেষে সেই আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার প্রার্থীর। অর্থাৎ পদ শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।
সোমবার (২০ মে) এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান এ তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৩ হাজার ৯৩২ জন আবেদন করেছেন। আমরা আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যেও প্রাথমিক সুপারিশে কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন।
জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
ফলে আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নিবন্ধন সনদ অর্জনের পর তার মেয়াদ থাকবে তিন বছর। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হয়ছে। ফলে বয়স ৩৫ বছরের কম-এমন অনেক প্রার্থীও আবেদন করতে পারেননি। এ কারণে মূলত আবেদন খুবই কম পড়েছে।
গেলো (৩১ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। আর মাদরাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আবেদন শেষ হয়েছে। চলতি মাসে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে।
এএম/
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষক নিবন্ধনের ফলাফল প্রকাশ আজই
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে কাজ করছি। এ নিয়ে ব্যস্ত আছি। আজই ফল প্রকাশিত হবে। বলেলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহিল আজম
বুধবার (১৫ মে) যে কোনো সময় ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী।
উল্লেখ্য,শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। ২০১৫ সালের আগপর্যন্ত এনটিআরসিএ শুধু সনদ প্রদান করত। সনদের ভিত্তিতে নিয়োগ দিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৫ প্রার্থী ৫ ও ৬ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এএম/
ছাত্র-শিক্ষক
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল আজ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার ফল রোববার (২১ এপ্রিল) প্রকাশ করা হবে। তবে কখন ফল পাবেন, তা জানা যায় নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি জানান, তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রস্তুত। হয়তো আজই আমরা ফল প্রকাশ করতে পারি। তবে ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় জানাননি সচিব।
প্রাথমিক বিদ্যালয়/ অনলাইনে বদলি আবেদনে পদে পদে ভোগান্তি, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা
গেলো ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।
তারও আগে গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
টিআর/
- আবহাওয়া1 day ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি12 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ1 day ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
- আন্তর্জাতিক7 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
- টুকিটাকি1 day ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
- জাতীয়14 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
- আইন-বিচার1 day ago
পাহাড়ের নিচে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন আনার হত্যার আসামিরা