নিরপেক্ষ ভোট করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ

নির্দেশ

সংশ্লিষ্ট মহানগরের পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের আসছে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চিঠি দেয়ার পর এবার রিটার্নিং ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের চিঠি দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো চাপের কাছে নত না হয়ে আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রাখতে সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই চিঠিতে।

বুধবার (০৩ মে) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজিপুর সিটি ভোটের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে।

প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।

খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোট ১২ জুন।

আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পিত্তর শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোট ২১ জুন।

এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সকলের নিকট সমুজ্জ্বল ও সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ন করতে না পারে তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে নিশ্চিত করা; নির্বাচনের ন্যায় একটি সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যার দ্বারা তাদেরকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তারা যেন পক্ষপাতদুষ্ট নন এমন ধারণা সৃষ্টির নিশ্চয়তা বিধানকল্পে প্রতিটি কাজে আইন ও বিধির যথার্থ প্রয়োগ ও অনুসরণ করা; জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা।

এছাড়াও ভোটদানের জন্য ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সে উদ্দেশে নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমান ইউনিট টহলদানের ব্যবস্থা গ্রহণ; ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যে কোনো প্রকার অশুভ কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশে সতর্ক থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নির্দেশ প্রদান এবং ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে ভোটারদের অবহিত করার জন্য নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

Recommended For You

Leave a Reply