Connect with us

চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ১০ নির্দেশনা

Avatar of author

Published

on

ঘূর্ণিঝড়

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়াসহ ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা, খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কামড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যেকোনো সময় উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে ‘মোখা’। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং নিম্নোক্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হলো।

১. জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।

২. খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ ও উপকরণ উপকূলবর্তী জেলায় পর্যাপ্ত মজুত রাখতে হবে।

Advertisement

৩. প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কাপড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে।

৪. উপকূলবর্তী এলাকায় মাঠ কর্মীদের (স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য) মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলে নিয়মিত পরিদর্শন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

৫. কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা/কর্মচারীর নৈমিত্তিক ছুটি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

৭. স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে।

Advertisement

৮. যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স সচল আছে, সেসব ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিম এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে।

৯. নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখতে হবে।

১০. সর্বোপরি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

 

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

চট্টগ্রাম

সাগরে নিম্নচাপ, চট্টগ্রামে বৃষ্টি

Published

on

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। শনিবার (২৫ মে) এর প্রভাবে দুপুর দেড়টা থেকে চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা নুরুল করিম জানান, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন থেকে দ্রুত পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। নিম্নচাপটি বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

Published

on

দুর্ঘটনা

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে মুহুরী হাট বটতল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুইজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে।

তারা হলেন, উপজেলার মনিয়াপুকুর এলাকার কাতার প্রবাসী নুরুল আবছার ও মোতালেব। এ ছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে দুর্ঘটনার পর বাসটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে যাত্রীবাহী ওই অটোরিকশাটি হাটহাজারী সদর থেকে নাজিরহাটের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগামী একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রীরা মারা যান। এ ঘটনায় ওই সড়কে বেশকিছু সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

চবির শাটল ট্রেনে মিললো নবজাতকের মরদেহ

Published

on

শাটল-ট্রেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের শাটল ট্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক নবজাতকের মরদেহ।

শুক্রবার (২৪ মে) রাতে শাটল থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শাটল ট্রেনে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, শাটল ট্রেন ষোলশহর স্টেশনে এসে থামলে এক নারী বস্তাটি ট্রেনের বগিতে রেখে নেমে যান। ট্রেন ছেড়ে দেয়ার পরও ওই নারী ফেরত না এলে শিক্ষার্থীরা কৌতুহলবশত বস্তার ভেতরে তাকালে নবজাতকের মরদেহ দেখতে পান। বগিতে থাকা শিক্ষার্থীরা ঘটনা বুঝতে পেরে ট্রেন বটতলী স্টেশনে এসে থামলে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন থেকে আমরা মৃত অবস্থায় একটি নবজাতক উদ্ধার করি। এ ঘটনায় আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। আমরা জড়িত কাউকে এখনও চিহ্নিত করতে পারিনি, তবে তদন্ত চলমান রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত