প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরে গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন : আইনমন্ত্রী

মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়েছেন দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে। উনি চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখন বলে বিদেশে যেতে দিতে হবে। কথায় আছে, দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায়। আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়। কথাগুলো বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন-সংলগ্ন সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রসঙ্গে এসব বলেন তিনি। 

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসহায়দের মাঝে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়।

আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে যখন মারা যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানানোর জন্য তার বাসায় যান। প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরে গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন, বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। 

এটি শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করা হয়নি, সারা বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী গত বছর আমাকে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ বলতেছে তারা। ওনি জেলখানায় আছে অনেক দিন হয়ে গেছে। তার পরিবার একটা দরখাস্ত দিয়েছে। আইনের মারফত তুমি উনাকে ছেড়ে দাও। আমি বললাম ঠিক আছে।

আমরা দুইটা শর্তে ওনাকে ছাড়লাম। একটা হচ্ছে ওনি বিদেশ যেতে পারবেন না, আরেকটা হচ্ছে উনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এমন বলিনি যে উনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না। উনি তিন-তিনবার হাসপাতালে গেছেন। 

তাকে বিচারিক আদালত সাজা দিয়েছেন পাঁচ বছর। হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। অন্যায় এত গভীর যে এতিমের টাকা মেরে দিয়েছেন। সে জন্য পাঁচ বছরের জায়গায় ১০ বছর করেছেন। তারপর জামিন চেয়েছেন, জামিন দেননি।

মন্ত্রী আরও বলেন, একটা আইনের কোনো দরখাস্ত যদি নিষ্পত্তি হয়ে থাকে, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত আবার পুনর্বিবেচনা করার কোনো সুযোগ থাকে না। ওনার বিদেশ যাওয়ার আবেদন আইন মন্ত্রণালয় নাকচ করেছে। ওনার জন্য ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি যে আইনে আবেদন নাকচ করেছি, সেটা সঠিক। তারপরও ওনারা যেটা বলছেন, সেটার কোথাও কোনো নজির আছে কি না সেটা দেখার জন্য আমি সময় চেয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, আইন আইনের গতিতে চলবে, জিয়াউর রহমানের গতিতে চলবে না।

অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তা মাহমুদ

Recommended For You