Connect with us

বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার প্রতি বিএনপি সবচেয়ে বেশি অমানবিকতা দেখিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

Published

on

বঙ্গবন্ধুর পরিবার, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি বিএনপি ও খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি অমানবিকতা দেখিয়েছে। এই অমানবিকতা প্রতিষ্ঠা করেছেন জিয়াউর রহমান। বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবার, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি বিএনপি এত অমানবিক হওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি যে মানবিকতা ও উদারতা দেখিয়েছেন, এর থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরত এসেছিলেন। তখন তিনি ৩২ নাম্বার বাড়িতে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেখানে আমাদের নেত্রীকে ঢুকতে দেননি। তখন শেখ হাসিনাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল। আজকে বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলে। তখন মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না?

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হলো, ২৪ জনকে হত্যা করা হলো, তখন সংসদে শোক প্রস্তাব আনার জন্য আমরা উদ্যোগ নিলাম, তখন বিএনপি নেতারা হাস্যরস করে বলছিলেন, শেখ হাসিনাই এ ঘটনায় দায়ী।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের জমি দখল করে সারাবিশ্ব থেকে মানুষদের এনে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনি শিশুরা তাদের অধিকার রক্ষায় ঢিল ছুড়লেও তাকে মানবাধিকার লংঘন বলা হয়। জাতিসংঘে এ নিয়ে আপত্তিও তোলা হয়।

রোহিঙ্গা ইসুতে মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা মানবাধিকার লংঘন।

তিনি বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার রক্ষার মোড়ল হিসেবে নিজেদের যারা দাবি করে, তারা সে অবস্থানে নেই। কিন্তু তাদের নিজের দেশেই মানবাধিকার নেই। তারা অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন। অথচ তাদের নিজেদের দেশে বৈষম্য দেখা যাচ্ছে, সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা হচ্ছে।

Advertisement

দুর্ঘটনা

সেতু ভেঙ্গে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে, নিহত ১০

Published

on

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ১০ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদেরর মধ্যে ৭ নারী ও দুই শিশুর লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দুপুর ২ টায় আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান (মিন্টু মল্লিক)।

স্থানীয়রা জানান, ঝুকিপূর্ণ ওই ব্রীজ একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পার হওয়ার সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এসময়ে অটোরিকশার যাত্রীরা বের হতে পারলেও। মাইক্রোবাসের ১২ যাত্রী ভিতরে আটকা পড়ে বলে জানান তাঁরা।

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিক জানান, মাইক্রোবাসের ড্রাইভার দুঘটনার পরে মাইক্রোবাস থেকে বের হতে পেরেছেন। তাঁর দাবি এখনো মাইক্রোবাসের ভিতরে তিনজন রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বর্তমানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি জানান, মাইক্রোবাসটি কনের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।  ব্রীজটি আনুমানিক ১০-১২ বছর আগে নির্মান করা হয় বলে তিনি জানান। নিম্ন মানের কাজ হওয়া নির্মানের পরে এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেন মিন্টু মল্লিক।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

রাসেলস ভাইপার নিয়ে বন মন্ত্রণালয়ের আট পরামর্শ

Published

on

দেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ায়, মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ প্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আট পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২২ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে সাপের কামড় এড়াতে ৮টি পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো-

১. যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

Advertisement

২. লম্বা ঘাস, ঝোঁপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন। গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকাবেন না।

৩. সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরুন।

৪. রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

৫. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন।

৬. পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।

Advertisement

৭. সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না।

৮. প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।

আই/এ

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হাসিনা-মোদির বৈঠক, ঢাকা-দিল্লির ১০ সমঝোতা স্মারক সই

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক। ছবি: এএনআই

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি সই হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার(২২ জুন) সাড়ে ১২টার পর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে-পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই।

নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো-

১. বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক;

২.  ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক;

Advertisement

৩. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক;

৪, যৌথ ছোট স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং

৫. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।

নবায়ন করা তিন সমঝোতা স্মারক হলো-

১. মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক;

Advertisement

২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন এবং

৩.  স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা নবায়ন।

এছাড়া, ‘ডিজিটাল অংশীদারিত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।

এগুলো হলো--বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারিত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারিত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক নথি সই।

প্রসঙ্গত,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ভারত সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর প্রথম বারের মতো দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি গেলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে, গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত