Connect with us

আন্তর্জাতিক

রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিতে চলেছে ইউরোপ

Avatar of author

Published

on

ইউরোপ

ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রায় ৪৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা বৃহস্পতিবার (৩১ মে) মলদোভায় মিলিত হয়ে কৌশলগত হুমকি নিয়ে আলোচনা করবেন৷ মলদোভা ও ইউক্রেনের প্রতি তাদের সংহতির বার্তা মস্কোর জন্য স্বস্তিকর হবে না৷

গেলো বছর ইউক্রেনের উপর হামলার ‘অজুহাত’ হিসেবে রাশিয়া নিজের সীমানার দোরগোড়ায় পশ্চিমা বিশ্বের বেড়ে চলা প্রভাব তুলে ধরেছিল৷ বিশেষ করে সামরিক জোট ন্যাটোর থাবা থমকে দিতে ইউক্রেনের উপর কবজা করা জরুরি বলে যুক্তি দিয়েছিল রাশিয়ার নেতৃত্ব৷ অথচ বাস্তবে ইউক্রেনসহ রাশিয়ার সীমান্তের কাছের একাধিক দেশ বেশ কয়েক বছর ধরে ইইউ ও ন্যাটোর কাছে ‘অবহেলিত’ থেকেছে৷ এই দুই জোটে যোগদানের কোনো বাস্তব সম্ভাবনার আশ্বাস পায়নি ইউক্রেন, জর্জিয়া, মলদোভা ইত্যাদি দেশ৷

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা সেই বাস্তবতা বদলে দিচ্ছে৷ বহু বছরের ‘অবহেলা’ ঝেড়ে ফেলে পশ্চিমা বিশ্ব এবার সত্যি রাশিয়ার থাবা থেকে প্রতিবেশীদের মুক্ত রাখতে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে৷ মলদোভার রাজধানী চিসিনাউ-এর উপকণ্ঠে বৃহস্পতিবার ইউরোপের প্রায় ৪৭টি দেশের শীর্ষ নেতা মিলিত হয়ে রাশিয়াকে সেই বার্তা দিতে চলেছেন৷ ইউরোপীয় রাজনৈতিক সংঘ– ইপিসি’র দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকলেও এর মাধ্যমে ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়ায় মলদোভার প্রতি সমর্থন যথেষ্ট স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে৷ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই ইইউ নেতারা ছোট ভিডিও পোস্ট করছেন৷ সেগুলিতে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ‘মলদোভা নট অ্যালোন’ ব্যবহার করা হচ্ছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই সম্মেলনকে রাশিয়ার ‘উপনিশেবাদ’র বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷

প্রতিবেশী ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা এবং মলদোভার নিজস্ব ভূখণ্ডে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রয়াস সে দেশের দুশ্চিন্তার কারণ৷ এমনকি ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার স্বঘোষিত ‘শান্তি রক্ষী বাহিনী’-ও মোতায়েন রয়েছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্ডু নিজের দেশ ও সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ইউরোপের আরও সহায়তার আবেদন করে চলেছেন৷ তার আশা, ইপিসি’র শীর্ষ সম্মেলন সেই সংহতির বার্তা দেবে৷ মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার এই রাষ্ট্রে এ প্রথম এত বড় আকারের শীর্ষ সম্মেলন মস্কোর কাছে অস্বস্তিকর হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর বাইরের এই বৃহত্তর রাষ্ট্রজোট সাধারণ কৌশলগত হুমকি নিয়ে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷

রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন ও মলদোভা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে৷ রাশিয়ার হামলা না ঘটলে সেই স্বীকৃতি পেতে আরও বিলম্ব হতো, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে ইইউ-তে পথে দুই দেশের সামনে এখনো অনেক বাধা রয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই৷ মলদোভায় ইপিসি সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কিও সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন৷ জেলেনস্কি দ্রুত ইইউ-তে যোগদানের আশা করলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করেছেন৷

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

ফাঁদে ফেলে ১৫ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে হামাস

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ট্র্যাপে ফেলে ১৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক বাহিনী-ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড।
হামাসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা রাফা শহরের আল-তানুর এলাকার একটি বাড়িতে আগে থেকে বোমা পেতে রেখেছিল। ইসরায়েলি সেনারা ওই বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর সেটির বিস্ফোরণ ঘটায় যোদ্ধারা।
হামাসের সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, বিস্ফোরণের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ইসরায়েলি সেনারা বাড়িটি থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তবে রাফার ওই ঘটনার ব্যাপারে ইসরায়েল এখনও কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে ১২ শ’রও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা ও তিন শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই হামলার পরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে।সেখান দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে এর জন্য বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।
এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বিড়াল পেল ডক্টরেট ডিগ্রি

Published

on

বিড়াল

যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়েছে ম্যাক্স নামের একটি বিড়ালকে।

রোববার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ম্যাক্স নামের ওই বিড়ালটিকে ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস এই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে তার বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের স্বীকৃতির জন্য।

ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ম্যাক্স বছরের পর বছর ধরে ক্যাসেলটন পরিবারের একজন স্নেহময় সদস্য।

Advertisement

ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের রাস্তার পাশে একটি পরিবার এই বিড়ালটির মালিক। বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডাও বলেন, ‘বিড়ালটি নিজেই ঠিক করেছিল সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে, আর শিক্ষার্থীরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করে।’

ম্যাক্স নামের ওই বিড়ালটি গেলো প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসের অংশ হয়ে রয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যখনই বিড়ালটিকে দেখতে পায় তখনই তারাও খুশি হয়। এমনকি শিক্ষার্থীরা আনন্দে ওই বিড়ালের সঙ্গে প্রায়ই ছবিও তোলে।

এমনকি সাবেক শিক্ষার্থীরাও যখন ক্যাম্পাসে আসেন তখন তারাও বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডাওয়ের কাছে যান।

অবশ্য ম্যাক্সের এই ডিগ্রিটি তার মালিক ডাওয়ের হাতে তুলে দেয়া হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা নেই ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির।

কেএস/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরে র‍্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা

Published

on

সৌদি

সৌদি আরবে মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদির ২৭ বছরের মডেল রুমি আলকাহতানি বোরখা খুলে বিকিনি পরে র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন। সেই আবহেই এ বার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। এই প্রথম সেই দেশে স্নানপোশাক পরে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটলেন মডেলরা।

শুক্রবার সৌদিতে রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল, আর সেখানেই কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে আয়োজিত হয়েছিল সেই ফ্যাশন শোটি। সেই শোয়ের ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।

এতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাকশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রংবেরঙের স্নানপোশাকে একে একে হেঁটে চলেছেন সুন্দরী মডেলরা। মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, কেউ কেউ আবার নিম্নাঙ্গে সারং বেঁধেছিলেন। স্নানপোশাক পরলেও, অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেল তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথম বার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শোয়ের দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল স্নানপোশাকগুলি নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত।’’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত