মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে সমর্থন করে ভারত : রামনাথ কোবিন্দ

বাংলাদেশের যে মূল চেতনা, একটি প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তোলা, সেই মূল্যবোধকে এগিয়ে নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছি, ভারত এমন একটি বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে, যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। বললেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

আজ শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় সম্প্রদায় ও ভারতীয় বন্ধুদের জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রামনাথ কোবিন্দ বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বন্ধুদের আমি আবারও আশ্বস্ত করছি, ভারত আপনাদের অসাধারণ আন্তরিকতা এবং বন্ধুত্বকে মূল্যায়ন করে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। উন্নয়নের মধ্য দিয়ে যৌথ সমৃদ্ধি অর্জন এবং আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের উষ্ণ ভালোবাসা আমার হৃদয় ছুঁয়েছে। কভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর এটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর। আর বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর হল এমন এ বছর, যখন আমরা যৌথভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি।

কোবিন্দ বলেন, আপনাদের দেশ এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়েছে, তেমনি বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণের লড়াই ন্যায্য ছিল। এ লড়াই ছিল মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় ছিল প্রকৃতপক্ষে পেশিশক্তিকে পরাজিত করে অধিকারের জয়।

তিনি বলেন, আমি এটা জেনে আনন্দিত যে, আমাদের এই যৌথ প্রবৃদ্ধিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব করতে উভয়পক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশবান্ধব জ্বালানিও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিরাট সম্ভাবনা দেখছি আমি।

এর আগে গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

সফরের শেষ দিন আজ (শুক্রবার) ঢাকার রমনায় কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করেন তিনি। পরে দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি

Recommended For You