Connect with us

জাতীয়

চলতি মাসের তিন সপ্তাহেই ২৫ জনের মৃত্যু

Avatar of author

Published

on

ডেঙ্গু

সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে গেলো ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের তিন সপ্তাহে ২৫ জনের মৃত্যু হলো। মৃতদের বড় অংশই ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে। এ ছাড়া বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন ৩৬০ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৮২ জন ঢাকার এবং ঢাকার বাইরের ৭৮।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার ৩০০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৫ হাজার ৯২৪ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৮ জনের।

দেশের ইতিহাসে গেলো বছর সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যান। ওই বছর ৬২ হাজার ৩৮২ রোগীর মধ্যে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে এত দিন ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও গেলো কয়েক বছরে ঢাকার বাইরেও এটি ছড়িয়েছে। চট্টগ্রামে বিশেষ করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে ঢাকা মহানগরে ৩০ এবং চট্টগ্রামে ৭ জন মারা গেছেন। এর বাইরে বরিশালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রোগীর চেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এ আশ্রয় শিবিরগুলোতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকছে। পাশাপাশি মশার লার্ভা ও উড়ন্ত মশা মারার উদ্যোগ কম।

কীটনাশক দিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মশার লার্ভা নষ্ট করতে পারলেই ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে যায়। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

Published

on

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ফাইল ছবি

‘নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের দুই দেশের মানুষ সহযোগিতা করতে পারে এমন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে। ’

মঙ্গলবার(২৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের লক্ষ্য এক। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা এবং একে অপরকে এটি অর্জনে সহায়তা করতে আমাদের উভয় দেশের মানুষকে একত্রিত করার জন্য কাজ করি।’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তা দুই দেশের সহযোগিতার একটি মূল ক্ষেত্রকে তুলে ধরে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘সেটি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আমাদের উভয় দেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ুর ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের একটি মূল ক্ষেত্র এ ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের দুই দেশই সমস্যা সমাধানে আরও বেশি সক্ষম হবে। আমাদের উভয় দেশই জনগণের সুরক্ষা এবং তাদের শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ জীবনযাপনে সহায়তা করতে চায়।’

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সব নাগরিককে হেলথ আইডি দেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

ফাইল ছবি

নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩ হাজার ৮৮৯টি ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান করা হয়েছে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে দ্রুতই এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেয়া হবে। বললেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা কর্তৃক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডেঙ্গু রিপোর্টিং তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষাকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে একই রোগীর একাধিক রিপোর্ট রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৪টি হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৫২ লিটার, স্যালাইন সেট ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৯টি, মশারি ২৬ হাজার ১৩৫টি ও ডেঙ্গু টেস্ট কিট ১ লাখ ১ হাজার ১৫৯টি মজুত রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ২ লাখ কিট মজুত আছে। যার মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার কিট ৬৪ জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৮৮ হাজার কিট মজুত আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে বর্তমানে সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এছাড়া ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের আরও ভূমিকা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে জাপানের ভূমিকা আরও বাড়ানো এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সফররত জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওনো কেইচির সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরঙ্গ সহযোগী হিসেবে জাপানের বিস্তৃত ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং মে মাসে দুদেশের মধ্যে ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বিষয়ে প্রথম রাউন্ড আলোচনার ফলাফলকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এসময়ে তিনি  ২০২৬ সালে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের পরও জাপানের অগ্রাধিকারভিত্তিক বিভিন্ন সুবিধা চালু রাখার প্রক্রিয়ার ওপরও জোর দেন।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পর্যালোচনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ইস্যু এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাপানের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সিনিয়র উপমন্ত্রী ওনো কেইচি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত