আইন-বিচার
ল্যাবএইডের এমডি ও ৫ চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তাহসিন হোসেইন (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ওই কিশোরের বাবা বাবা মনির হোসেন। ধানমণ্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্জন ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশাররফ, ডা. কনক ও হাসপাতালের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শাহজাহান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সজীব গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে তাহসিন কিছুদিন থেকে অসুস্থ বোধ করায় গেলো ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইডের ডা. সাইফুল্লাহকে দেখানো হয়। ড. সাইফুল্লাহ তাৎক্ষণিক তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, তার অবস্ট্রাক্টিভ স্মল গাট বা নাড়িতে প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা এবং সে মল ত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়।
এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে। এরপর ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন ভিকটিমের মৃত্যু হয়। তিন মাসে তাকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। চিকিৎসার ব্যয় হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৭ লাখ টাকা বিল করে। এর মধ্যে দশ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে হাসপাতাল থেকে তার সন্তানের লাশ গ্রহণ করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন তাহসিনের বাবা মনির হোসেন বলেন, আমি ডা. সাইফুল্লাহকে অনেকবার জিজ্ঞেস করছি আমার ছেলের সমস্যা কী? কিন্তু উনি কোনোবারই সঠিক করে কিছুই বলতে পারেননি। অথচ তার দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। তিনি যে আমার ছেলের ভুল চিকিৎসা করেছেন, তা শতভাগ নিশ্চিত। এ সময়ে আমার ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। আমি প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও দেয়নি।
এসময় কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার নামে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ ও এই চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে তিলে তিলে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।
আইন-বিচার
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের উদ্দেশে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৬ জুন) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গেলো ১১ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মিন্টুকে ডিবি পুলিশ আটক করে।ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
১৩ জুন মিন্টুকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আইন-বিচার
এমপি আজীম হত্যার দায় স্বীকার করলেন বাবু
ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু।
শুক্রবার (১৪ জুন) আসামি বাবু স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ জুন আদালত কামাল আহমেদ বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় এর আগে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গেলো (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
এএম/
আইন-বিচার
দেশত্যাগ করতে পারবেন না এনবিআরের সাবেক কমিশনার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তাকে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ওই আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের নির্দেশনায় ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুন মামলা দায়ের করে দুদক। তিনি গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেডকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারি পরিচালক মো. শাহ আলম শেখ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন।
সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।
এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।
টিআর/
- বাংলাদেশ6 days ago
উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনে ধীরগতি
- টুকিটাকি5 days ago
৩শ’ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন তরুণী, অতপর…
- দেশজুড়ে6 days ago
রাজনীতিতে আসছেন এমপি আনারের মেয়ে ডরিন
- ক্রিকেট4 days ago
বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে যারা থাকবে প্রতিপক্ষ
- ক্রিকেট3 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- রোগব্যাধি6 days ago
অল্প বয়সেই কোমর ব্যথা, পরিত্রাণের উপায় কী
- চট্টগ্রাম5 days ago
সকালে সন্তান জন্মদানের স্ট্যাটাস, রাতেই মারা গেলেন মা
- আবহাওয়া7 days ago
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে ভিজবে দেশ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন