Connect with us

আন্তর্জাতিক

দ. আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

Avatar of author

Published

on

মৃত্যু

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ, ফ্রি স্টেট, ইস্টার্নকেপ প্রদেশে গেলো তিন দিনে ডাকাত দলের গুলিতে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক প্রবাসী।

সোমবার (২৬ জুন) ফ্রি স্টেট প্রদেশের বুসাবেলোতে রিগান ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। তারা ধারণা করছেন রিগান টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন।

এর আগের দিন ২৫ জুন রাত সাড়ে ৭টার সময় ইস্টার্নকেপ প্রভিন্সের স্টেকস্প্রিট শহরের পার্শ্ববর্তী স্থানে দোকানে ঢুকে আব্দুল মতিন নামে এক প্রবাসীকে ডাকাত দল গুলি করে হত্যা করে নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। তার দেশের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন।

এ ছাড়াও, ২৪ জুন দুপুরের জোহানেসবার্গ শহরের একটি গ্রোসারি দোকানে ডাকাতির সময় গাড়ি চালক সজিব বড়ুয়াকে দোকানের পিছনে নিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। সজিব বড়ুয়ার দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার নানপুরে।

একইদিন সন্ধ্যার পর জোহানেসবার্গ শহরের ব্রামফন্টেইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে ডাকাত দলকে বাধা দিতে গেলে মাকসুদুর রহমান মহসিন নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় বলে জানা গেছে।

Advertisement

ওইদিন সন্ধ্যায় জোহানেসবারর্গের সুয়েটোতে বাংলাদেশি কমিউনিটির মোহাম্মদ হারুন নিজ দোকানে ডাকাত দলের গুলিতে নিহত হন। হারুনের বাড়ি নোয়াখালীর বসুরহাটে।

এদিকে, তিনদিনে চার প্রবাসী খুনের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

একসঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করলেন দম্পত্তি

Published

on

স্বেচ্ছা-মৃত্যু

পৃথিবীতে অনেক দম্পত্তিই আছেন যারা সহমরণের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতি নিয়ত প্রার্থণা করেন। কিন্তু ভাগ্য যদি সহায় না হয় তবে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। পৃথিবীর বুকে এমন একটি দেশ আছে যেখানে স্বেচ্ছা মৃত্যু একটি বৈধ পন্থা। যদিও ঘটনাটি বিরল। তবে ইদানিং এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন অনেক দম্পত্তিই।

ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে রয়েছে এই সুযোগ।

দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে সংসার করেন জ্যান (৭০) এবং ইলস (৭১)। চলতি বছরের জুনের শুরুতে একসঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন এ দম্পত্তি।

কিন্তু কেন তারা মৃত্যুকে বেছে নিলেন, জীবনের শেষ বেলায় গণমাধ্যমকে জানিয়ে গেছেন এ দম্পত্তি। মৃত্যুর তিনদিন আগে তারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লিন্ডা প্রেসলির সঙ্গে কথা বলেছেন।

ওই দম্পত্তি জানিয়েছেন, দীর্ঘ পাঁচ দশক দু’জন একসঙ্গে ছিলেন। তারা তাদের সংসার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন নৌকায়। আর জীবনের শেষ ভাগে এসে একটি ভ্যানে থাকতেন। কারণ— তাদের ইটপাথরের বাড়িতে থাকতে মন চাইত না। যেহেতু নৌকায় থাকতেন তাই নৌকা দিয়ে পরিবহণের ব্যবসায়ও নেমেছিলেন স্বামী জ্যান।

Advertisement

কিন্তু ভারী কাজ করতে করতে জ্যানের একটা সময় পিঠের ব্যথার সৃষ্টি হয়, যা তাকে পুরো জীবনজুড়ে কষ্ট দিয়েছে। ২০০৩ সালে এই ব্যথার জন্য একটি অস্ত্রোপচারও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাঁচতে চাইছিলেন না।

স্বেচ্ছা-মৃত্যু,-নেদারল্যান্ডস

জ্যান জানিয়েছেন, তার অসুস্থতার মধ্যেই ২০২২ সালে তার স্ত্রীর মস্তিস্কের কঠিন অসুখ ‘স্মৃতিভ্রমের’ সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে তার সেরে উঠার কোনও সম্ভাবনা ছিল না।

আর তার স্ত্রী ইলসের স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেয়ার পরই একসঙ্গে দু’জন মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যাপারে নিজেদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। এরপর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুনে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, স্বেচ্ছা মৃত্যুতে তাদের সহযোগিতা করেন দু’জন চিকিৎসক। মৃত্যুর জন্য তাদের দু’জনকে দেয়া হয় প্রাণনাশী ওষুধ।

জ্যান এবং ইলসের প্রথম দেখা হয় কিন্ডারগার্টেনে। জ্যান একসময় নেদারল্যান্ডসের জাতীয় যুব দলের হয়ে হকি খেলেন। পরে ক্রীড়া প্রশিক্ষকও হন। আর ইলস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তবে পানি, নৌকা এবং পাল তোলার প্রতি তাদের ভালোবাসা ছিল অনেক।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গঙ্গা চুক্তি নিয়ে মমতার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Published

on

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সারবত্তাহীন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে গঙ্গা চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। ৩০ বছরের ওই চুক্তির মেয়াদ  শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালে। চুক্তি নবায়নের বিষয়টি বিবেচনা করতে দুই দেশের মধ্যে কারিগরি একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে তাকে (মমতা) অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ নদী ও নদীর পানি রাজ্য সরকারের এখতিয়ারে পড়ে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান।

আজ সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে। জবাবে তিনি বলেন, সরকারি তথ্য ও মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের মধ্যে মিল নেই। গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়টির আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা হবে। সে জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিটি বৈঠকে চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাই যোগ দিয়েছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও বৈঠকে ছিলেন।

Advertisement

জয়সোয়াল জানান, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কী পরিমাণ শিল্প ও পানীয় জলের প্রয়োজন সে কথা জানানো হয়। অভ্যন্তরীণ কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। আপাতত সেই প্রতিবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দিল্লি

Published

on

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মৌসুমী বৃষ্টিতে অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খবর- এনডিটিভি 

শুক্রবার (২৮ জুন) দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৩৬ সালের পর একদিনে (২৪ ঘণ্টায়) সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

৮৮ বছর আগে ১৯৩৬ সালে ২৩৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সাধারণত জুন মাসে দিল্লিতে গড়ে ৮০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

এই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে অফিস বা কাজের জন্য যারা বের হয়েছিলেন তারা জলাবদ্ধতা এবং ট্রাফিক জ্যামের কবলে পড়েছেন।

তবে এই বৃষ্টিপাত আবার দিল্লিবাসীর জন্য আশীর্বাদ হিসেবেও এসেছে। কারণ সেখানে গত দুই মাস ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করছিল।

Advertisement

আজ শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সাধারণ থেকে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি কম।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত