১৭৮ কেন্দ্রে এগিয়ে আইভী, মোট কেন্দ্র ১৯২

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।

আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৭টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ১৭৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৪৯ হাজার ১৬৭ ভোট। তৈমূর পেয়েছেন ৮৫ হাজার ১২৯ ভোট। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২টি।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ছাড়াই নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়।

এর আগে ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে জয় লাভ করে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সিটি নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সিটি নির্বাচনে তিনি ফের মেয়র নির্বাচিত হন।

গেলো ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন, বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার ভোট দেন। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী ছিলেন। 

 

Recommended For You