Connect with us

রাজশাহী

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ফোরলেন সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

Published

on

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যানজট নিরসন ও যানবাহন চলাচলে সুবিধার জন্য  পিএমপি (সড়ক) সম্প্রসারণ কর্মসূচীর আওতায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এক কিলোমিটার রাস্তা ফোরলেনে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই সড়ক সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো.মজাহারুল হক প্রধান।

এসময় পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদরত-ই- খুদা মিলনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ফোরলেন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এস

Advertisement
Advertisement

দুর্ঘটনা

বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

Published

on

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে ও পানি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তারা।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলায় শিশুসহ দুজন ও ভোলাহাটে একজন মারা যান।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঝড়-বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা মহল্লার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিন পাঁকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮) টিউবওয়েলের পানি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।’

অন্যদিকে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার বলেন, ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুরের ইসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০) বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়, পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

পাবনায় ৭ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে মোছাঃ শিলা আক্তার (ছদ্মনাম) (৭) নামের এক শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

বুধবার ( ২৯ মে ) দুপুরে ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী শাকরিগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চরমিরকামারী সাকরেগাড়ী এলাকার মৃত মনসুর আলী মোল্লার ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাবু (৪২) মোল্লার বিরুদ্ধে।

ঈশ্বরদী থানায় ভুক্তভোগীর মা আবেদা খাতুন (ছদ্মনাম) ৫ জুন এর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কন্যার মা  চরমিরকামারী (সাকরেগাড়ী) এলকায় অবস্থিত প্রাণ কোম্পানীতে রান্নার কাজ করতেন এবং স্থানীয় আসাদুল মোল্লার বাড়ীতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন কুলসুম (৬), মীম (৫), আয়েশা (৩), নাদিয়া (৪) ও শিলা আক্তার (ছদ্মনাম) (৭) বাড়ীর নিকটবর্তী রাস্তার পাশে ধানের খোলায় খেলা করতেছিল। ঐসময় টাইলস দিয়ে বানানো ফোন দিয়ে সিরাজুলের ছবি তোলে ভিকটীম শিলা। এক পর্যায়ে খেলা থেকে সবাই চলে গেলেও শিলা ও কুলসুমকে ফুসলিয়ে সলিমপুর ইউনিয়নের সাকরেগাড়ী গ্রামের স্যান্ডেল ফ্যাক্টরীর পাশে নিজবাড়িতে টিনসেড ঘরে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজুল। তখন বাড়িতে কোন লোক ছিল না। কুলসুম ঘরের ভিতর থেকে চলে গেলে জোড়পূর্বক শিলাকে ধর্ষণ করে সিরাজুল।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা ফিরে আসলে ভুক্তভোগী শিশু কন্যার থেকে ঘটনা জানতে পারেন। তখন সে বাড়িওয়ালা সিরাজুলের বড় ভাই আসাদুল মোল্লার নিকট এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। তখন আসাদুল ও তার স্ত্রী ভুক্তভোগীর মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঐ রাতেই বাড়ি থেকে বের করে দেন।

Advertisement

বাড়িওয়ালা আসাদুল মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার ভাই সিরাজুল কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক, সাকরেগারী এলাকার কয়েকজন জানান, ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন হওয়ায় এতদিন গোপন ছিল।

এ বিষয়ে রুপপুর ফাঁড়ীর ইনচার্জ কান্তি কুমার মোদক জানান,  ইপিজেড গেট এর রাস্তার সামনে স্থানীয়রা মেয়েটিকে কান্না করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ফাঁড়িতে জমা দেয়। মেয়েটি সাকরেগাড়ী এলাকার বলায় তাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তার ভাড়া বাসায় রেখে আসি। এছাড়া আমি কিছু জানিনা।

ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভিকটিম ও তার মাকে আদালতে জবানবন্দী প্রদানের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

নির্বাচন অফিসে আইডি কার্ড সংশোধনে ভোগান্তি, টাকা ছাড়া মিলে না সমাধান

Published

on

নির্বাচন

পাবনার নির্বাচন অফিসগুলোতে আইডি কার্ড সংশোধনে চরম ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। জেলার বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে গেলে বছরের পর পর ঘুরতে হয়। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে, সংশোধন আবেদন করলেও অর্থ ছাড়া মিলেনা সেবা। নতুন ভোটার হওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন করাসহ সকল কাজেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। টাকা না দিলে সমস্যা সমাধানে ঘুড়তে হয় বছরের পর বছর। আবার টাকা দিলেই মেলে সমাধান।

সম্প্রতি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমনকি পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।

ভুক্তভোগীরা বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া সঠিক থাকলেও বছরের পর বছর  ঘুরতে হয় নির্বাচন অফিসে। এমনকি সরাসরি অর্থের অফার করে অফিসের কর্মচারীরা। অর্থ না দিলেই কোন প্রকার সমাধান মিলেনা।

পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি এলাকার  ভুক্তভোগী রেশমা খাতুন বলেন, এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়। একারণে নিজের ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নামের পরিবর্তে বাবার নাম যুক্ত করতে যান ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসে। নাম পরিবর্তন করতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন সেখানকার অফিস সহায়ক ও নাম জানা অফিসের দুইজন মহিলা কর্মচারী। তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তাকে আরও বলেন, পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে এর চেয়ে বেশি টাকা লাগবে। টাকা ছাড়া  সংশোধন হবে না।

রিপোন হোসেন নামে একজন জানান,  আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনের জন্য ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের শওকত আলী নামের এক কর্মচারী তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন, কিছু টাকা কম নিতে বললে অফিসের কর্মচারী বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারকেই সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা দিতে হয়।

Advertisement

ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া গ্রামের সুচিত্রা রাণী কুন্ডু বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমি আমার আইডি কার্ডের নাম ভুল থাকার কারণে সংশোধন করার জন্য ৮ বছর ধরে ঘুরছি, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসে, আইডি কার্ড এর নাম ভুল সংশোধন কোথায়  গেলে হবে পরিষ্কারভাবে তারা কিছু বলেনা। এই অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ তারা ধরে না।

বাবুল নামে এক ভুক্তভোগী জানান, বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন করে ঈশ্বরদী  নির্বাচন অফিস এবং পাবনা জেলা নির্বাচন অফিস ঘুরতে ঘুরতে এক বছর হয়ে গেল। ঈশ্বরদী  নির্বাচন অফিসে ২৫ হাজার টাকা  চেয়েছিল কিন্তু আমি দেইনি। এরপর পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দিলে আইডি কার্ড সংশোধন করে দেয়ার কথা বলেন, সেটাও আমি দেইনি। এর জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার রুমে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। একের পর এক ঘুড়িয়েই গেছে।

এসব হয়রানির অভিযোগ এই উপজেলার  শতাধিক মানুষের। টাকা না দিলে কোনো কাজ করেন না ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তা। নতুন ভোটার হওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন করাসহ সকল কাজেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। ওই অফিসের অফিস সহায়ক শওকত আলীর হাত দিয়ে নেয়া হয় এসব অতিরিক্ত টাকা। টাকা নিয়ে করে দেয়া হয় সব ধরণের কাজ।

অভিযোগ রয়েছে ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হক প্রতিটি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেন। আর বাকী টাকা ভাগ করে নেন অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা আর ভাগ পান জেলা অফিসের কর্মকর্তারাও।

এ বিষয়ে জানতে চারদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার রায় বলেন, অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নামে যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঈশ্বরদী  উপজেলা নির্বাচন অফিসের  অফিস সহায়ক শওকত আলী বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।

এদিকে কোন উপায় না পেয়ে জেলা নির্বাচন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। আর দায়সারা জবাব নির্বাচন কর্মকর্তার।

পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, এ সকল অভিযোগ সঠিক নয়, সবকিছু মিথ্যা । তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ভুক্তভোগীদের  লিখিত অভিযোগ গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে এড়িয়ে যান।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত