Connect with us

রংপুর

ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

Avatar of author

Published

on

পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভায় এক মাদরাসা ছাত্রকে (১৪) বলৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যাক্তির নাম আল আমিন (২৯)। আটক হওয়া মাদরাসা শিক্ষকের বাড়ি দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নে। তিনি বোদা পৌরসভার সাতখামার এলাকায় একটি হাফেজিয়া মাদরাসায় মুহতামিম হিসেবে চাকুরী করছিলেন।

গেলো সোমবার (৭ আগষ্ট) রাতে পৌরসভার সাতখামার এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ওই মাদরাসা শিক্ষককে আসামী করে আটোয়ারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজহার ও আটোয়ারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গেলো ২ আগষ্ট (বুধবার) দুপুরে ওই মাদরাসা ছাত্রকে শরীরে তেল মেখে দেয়ার কথা বলে নিজ কক্ষে ডেকে নেন মাদরাসা শিক্ষক আল আমিন। পরে শরীরে তেলে মেখে দেয়ার একপর্যায়ে ওই কক্ষেই ছাত্রটিকে বলৎকার করেন তিনি। তবে এ ঘটনা কাউকে কিছু জানালে কঠোর শাস্তির হুমকী দেন মাদরাসা শিক্ষক। ঘটনার পর থেকে মাদরাসাতেই ছিলো ছাত্রটি।

Advertisement

পরে গেলো সোমবার (৭ আগষ্ট) বিকেলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে যায় ছাত্রটি। পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ বাসার আসার বিষয়টি জানতে চাইলে কেঁদে ফেলে সে। পরে সে পরিবারের সদস্যদের জানায়, মাদরাসার শিক্ষক তাকে বলৎকার করেছেন।

এর আগেও বেশ কয়েকবার তার সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। গেলো সোমবার সন্ধ্যায় বোদা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুর রহমানের বাসায় মাদরাসা শিক্ষক আলআমিনকে ডেকে নেয়া হলে তিনি বলৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ওই মাদরাসা শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

বোদা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুর রহমান বলেন, মাদরাসা ছাত্রের বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। তার বাবা আমার গাড়ির ড্রাইভার। আমাকে বিষয়টি জানানো হলে মাদরাসার শিক্ষককে আমার বাসায় ডেকে নেই। এসময় মাদরাসাটির সভাপতি ও আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষক সবার সামনে বলৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মাদরাসা থেকে মুহতামিম আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর বাবা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ভূক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এছাড়া তার জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেছি। আসামীকে আদালতে পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জনদুর্ভোগ

বাড়ছে তিস্তার পানি, চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Published

on

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার মহসিন আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চরসিন্দুর্না গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানিতে আমার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমে বলেন, ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকসহ এক নারী কারবারি গ্রেপ্তার

Published

on

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের ভায়ালটারী গ্রামের মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমের বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার নামের ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তার মাদক কারবারির নাগেশ্বরী থানায় একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা রয়েছে। সেই সাথে কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে তিস্তার

Published

on

তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার নিচে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ‘গতকাল ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নদী তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেলে বাদাম ও শাক-সবজির ক্ষতি হবে।’

Advertisement

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ‘কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সব সময় নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।’

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত