ফিচার
কুকুর প্রেমী কাফির হারানো প্রেম ও না পাওয়া পাঞ্জাবী
কুকুরের প্রতি প্রেম। কুকুরের প্রতি ভালোবাসা। আর এই প্রেম ভালোবাসা থেকে অগাধ বিশ্বাস। কুকুরকে আদর যত্ন না করলে পূর্ণতা পায় না দিন। সব সময়ের সঙ্গী প্রিয় কুকুর। যেনো এটিই অনন্য করে তুলেছে কাফিকে। মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলেছে কুকুর প্রেমী কাফি নামে। তবে তার ভিন্ন নামও আছে। দেশে বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে অনেকেই সমাজে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। তাদের মধ্যেই একজন “নুরুজ্জামান কাফি”। সোশ্যাল মিডিয়ায় নুরুজ্জামান কাফি “কাফি ভাই” নামেই অধিক পরিচিত। তিনি যেমন হয়েছেন জনপ্রিয় তেমনি সকলেরপ্রিয় তার সঙ্গী কুকুরটিও। অফলাইন কিংবা অনলাইনে দুই জগতেই তার থেকে তার কুকুরের জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কম নয়। কাফির কুকুরটি শুধু কুকুরই নয়, কাফির বিশ্বস্ত একজন সহযোদ্ধাও। এই কুকুরটি ছাড়া তার কন্টেন্ট যেন পূর্ণতা পায়না। এককথায় বলা যায়, কুকুর ছাড়া ভিডিও যেন লবণ ছাড়া তরকারির মত।
কাফি পটুয়াখালি জেলার, কলাপাড়া উপজেলার ছেলে। কাফির ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর শুরুটা ২০১৯ সালে। তিনি মূলত বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় আরেকটু রং মাখিয়ে হাস্যরষ্য ভাবে ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিওগুলো হাস্যরসে ভরা থাকলেও দেশের সংকটময় পরিস্থিতিসহ নানা অসংহতি, দুর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ থাকে তার ভিডিওতে। আর তার সে সব ভিডিও পছন্দ করেন লাখো দর্শক।
সাক্ষাৎকারে কাফি বলেন, ‘ আমার ইচ্ছে সমাজটাকে বদলে দেয়ার, অন্যায়কে রুখে দেয়ার। বয়স আঠেরোতে কেউ চুপটি মেরে বসে থাকে না, তিনিও বসে থাকবেন না। আঠেরোর তরুণদের নিয়েই তিনি বর্তমান সমাজের চিত্র পাল্টাতে ভূমিকা রাখতে চান। আর এসব চিন্তা থেকেই শুরু হয় ভিডিও বানানো।’
ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি অর্থাৎ এদিকে আসার কারন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে এক মেয়ের অবদান রয়েছে। শুরুর দিকে একটি মেয়ে আমার ভিডিওগুলো পছন্দ করত এবং সে তার প্রোফাইলেও শেয়ার করত। আর তার একেকটি শেয়ারের কারণে ভিউজ সংখ্যা হয়ে যেতে ৪ থেকে ৫ হাজারের মত। এটা দেখে আমার ভিডিও বানানোর আগ্রহ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। সে সময়ে ৪-৫ হাজার ভিউ মানে আমার কাছে অনেককিছু। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমার সাথে সেই মেয়েটির কখনো দেখা হয়নি।’ আমি তাকে দেখিনি কখনো। আর চিনিও না। তাকে হারিয়ে ফেলেছি। তার সম্পর্কে আমার কিছুই স্মরণে নেই। শুধু নামটা স্মরণে আছে। তার নাম স্বর্ণা। সেই সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। আমার ভিডিও বানানোর পিছনে অনুপ্রেরণা দেওয়া মানুষটা তিনি। স্বর্ণা আমার ভিডিও এর মধ্যে থেকে তার ভালো লাগার ভিডিও গুলো তার প্রোফাইলে শেয়ার করতো। আর রিচ বেড়ে যেতো। সেই সময়ের ঐ আনন্দের মুহূর্তটা লিখে কিংবা বলে হয়তো প্রকাশ করা যাবে না। আমার ভিডিও এর মধ্যে আমি অনেকের নাম নিয়ে ভিডিও বানাতাম। তখন স্বর্ণা নামের অপরূপ মানুষটা আমাকে বলে। আপনি তো কতজনের নাম নিয়েই ভিডিও করেন। আমার নাম নিয়েও তো ভিডিও করতে পারেন। তখন আমি বললাম হ্যা করবো। তারপর মনেমনে ভাবলাম ইউনিক কি করা যায়! তখন আমি ৫০ টাকা দিয়ে একটা গোলাপ ফুল কিনেছি। যেটা কিনা শাহবাগে ১০ টাকা কিংবা ১৫ টাকা। এখন হয়তো ২০ টাকাও হতে পারে। সবকিছুর দাম যেহেতু আকাশে।
আমি গোলাপ ফুলটি নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে খালি গায়ে “আই লাভ ইউ স্বর্ণা” বলে চিল্লাপাল্লা করে বলি ” স্বর্ণা রোজার ইদে একটা লাল পাঞ্জাবি কিনে দিও। যদি তুমি কিনে না দেও মান সম্মান গেলে তোমার যাবে আমার কিছু হবে না। কারণ তোমার সুদর্শন বয় ফ্রেন্ড খালি গায়ে সমুদ্র পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে”। এই ভিডিও মুহুর্তে’ই ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষজন আমি রাস্তায় বের হলে স্বর্ণা’র বয় ফ্রেন্ড আসছে। ঐ দেখ স্বর্ণা’র সুদর্শন বয় ফ্রেন্ড যাচ্ছে। এই স্বর্ণা’র জামাই, এ-সব বলে মানুষ ডাকাডাকি করতে শুরু করে আমাকে। এই ভিডিও আমি তাকে সেন্টও করি। তারপর কি যে হলো! কি যে এক রহস্য তৈরি হলো! আমি কিছুই জানি না। না তার আইডি আছে আমার কাছে। না তার বাসার ঠিকানা, না কিছু। কিচ্ছু নাই তার আমার কাছে জানা। আমি তাকে এখনও সম্মান করি। মন থেকে তাকে শ্রদ্ধা করি আমি। যে একটা মানুষের জন্য আজ আমাকে হাজারও মানুষ চিনে। যার সাথে আমার আদৌও কথা হয়নি, দেখা হয়নি, কিন্তু তার প্রতি আমার সম্মান অনেক বেশি। কারণ এই মানুষটাই ছিলো আমার আজকের কাফি ভাই হয়ে উঠার অনুপ্রেরণা। আমি অনেক বড় কিছু হয়ে যায়নি কিন্তু যতটুকু হয়েছে তার থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে। কিন্তু আফসোস তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই। সেই মানুষটাকেই আমি হারিয়ে ফেললাম। আমি স্বর্ণাকে এখনও খুঁজি,অপেক্ষায় থাকি। আমি কৃতজ্ঞ এই মানুষটার প্রতি।
ফিচার
সীমার মাঝে অসীম ‘মা’
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ঠিকই লিখেছিলেন ‘যেখানেতে দেখি যাহা, মা-এর মতন আহা। মার বড়ো কেউ নাই –কেউ নাই কেউ নাই! নত করি বল সবে মা আমার! মা আমার!’ আর সেটাই তো মা ছাড়া আপন আর কে’ই বা আছে।
এক অক্ষরের একটি ছোট্ট শব্দ ‘মা’। অথচ ছোট্ট শব্দটির অর্থ কতোটা অসীম, অদ্বিতীয় তা প্রকাশের ভাষাও এখনো তৈরি হয়নি। যার সাথে কারোর তুলনা চলে না। সীমার মাঝে অসীম হলো ‘মা’। মা মানে মমতা, মা মানে ক্ষমতা, মা মানে নিরাপত্তা, মা মানে নিশ্চয়তা, মা মানে আশ্রয়দাতা, মা মানে সকল আশা, মা মানে এক বুক ভালোবাসা। মা এক বর্ণের এক বিশাল নাম। অস্তিত্বের নিরাপত্তার নাম। সন্তানের জন্য মা শাশ্বত।
আজ পৃথিবীর সকল মা’য়েদের জন্য একটি বিশেষ দিন। দিনটি হলো বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। এ হিসাব অনুযায়ী, আজ ১২ মে সারাবিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবসটি। দিনটিতে মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
বিশেষ এই দিবসটি কীভাবে এলো তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ইতিহাস বলছে, অনেক পথ পেরিয়ে এই দিবসটি নতুন রূপ পেয়েছে। ধারণা করা হয়, মা দিবসের সূচনা প্রাচীন গ্রিসের মাতৃরূপী দেবী সিবেলের এবং প্রাচীন রোমান দেবী জুনোর আরাধনা থেকে।
এছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য অনেক আগে থেকেই মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রোববারকে বেছে নিয়েছিলেন। ষোড়শ শতকে এটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে বলে পরিচিতি লাভ করে। অনেকেই ক্যাথলিক পঞ্জিকা অনুযায়ী এটিকে লেতারে সানডে যা লেন্টের সময়ে চতুর্থ রোববারে পালন করতে শুরু করে।
তবে ইতিহাস বিদদের মতে, জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত “মাদার্স ডে প্রক্লামেশন” বা “মা দিবসের ঘোষণাপত্র” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পৈশাচিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস।
এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান।
মায়ের মৃত্যুর পর আনা মেরি জার্ভিস মায়ের শান্তি কামনায় ও তার সম্মানে সরকারিভাবে মা দিবস পালনের জন্য প্রচারণা চালান। তিন বছর পর ১৯০৮ সালের ১০ মে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মা দিবস পালন হয়।
এরপর ১৯১২ সালে এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। এই প্রচার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন, জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়।
এ প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।
টিআর/
ফিচার
প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস
বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।
এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে, প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।
আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।
আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।
তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।
ফিচার
শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)
৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।
নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।
নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।
এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।
তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।
এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।
ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।
- আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা7 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন