Connect with us

ঢাকা

দাম বাড়ার তালিকায় চাল-ডাল আলু, কমেনি পাঙাসের দাম

Avatar of author

Published

on

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন থামছে না। একের পর এক পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। রাজধানীর সাধারণ মানুষদের মোটা চাল, ডাল ,আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। গেলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল ২ থেকে ৩ টাকা, মসুর ডাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিম্নআয়ের মানুষের প্রধান খাবারের তালিকায় মাছ, মাংস ও ডিম অন্যতম। আর সেই মাছ, মাংস ও ডিম কিনতে যখন হাঁসফাঁস করছেন, তখন দরিদ্র মানুষের ভরসার এ খাবারগুলোর দাম বাড়ায় কষ্টে পড়েছেন তারা। এই বাড়তি দাম তাদের সংসার খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

চাল দোকানিরা বলছেন, সরবরাহ কমায় পাইকারিতেই চালের দাম বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের মোকামগুলো থেকে বেশি দামে চাল কিনে আনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে চাহিদা বাড়ার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মসুর ডাল ধরনভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। একই ধরনের সরবরাহ সংকটের কথা বলা হচ্ছে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবেও।

অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই ডালের কেজি এখন ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। আর ভালো মানের, অর্থাৎ সরু দানার মসুর ডালের কেজি পড়ছে এখন ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে এই ডালের খুচরা দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি।

Advertisement

এদিকে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে থাকলেও এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ দামও এখানেই থামবে তার কোনো ইঙ্গিতও এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।

এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন (বড় আকারের) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

ফুলকপি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা ও প্রতি পিস লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পুঁইশাক মানভেদে ৩০ টাকা কেজিতে, কলমি শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা যায়, গরিবের মাছ পাঙাস (বড় সাইজের) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ছোট আকারের পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

Advertisement

তাছাড়া ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে আগের মতোই আছে মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৮০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ঝরছে রাজধানীতে

Published

on

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়েছে। পায়রা ও মঙ্গলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি ঝরছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বাতাস বইছে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ৮টার পর থেকে তেজগাঁও, বাড্ডা, ভাটারা, বারিধারা, গুলশান-২, বনানী ও শ্যামলী এলাকায় বৃষ্টি এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসময়ের মধ্যে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

Advertisement

উল্লেখ্য, তবে আগামীকাল (রোববার) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

এমপি আজিম হত্যা: শিলাস্তির বিচার চেয়েছেন তার দাদা সেলিম মিয়া

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ‍মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের কথিত বান্ধবী  শিলা‌স্তি রহমানের বিচার চেয়েছেন তার দাদা মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সেলিম মিয়া।

শনিবার(২৫মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের নাগরপু‌র উপ‌জেলায় ধুব‌ড়িয়া ইউনিয়নে শিলা‌স্তি রহমানের দাদা সেলিম মিয়া গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিচার চান।

শিলাস্তি রহমানের জন্ম টাঙ্গাইলের নাগরপু‌র উপ‌জেলায় ধুব‌ড়িয়া ইউপির পাইসানা গ্রা‌মে। তার বাবার নাম  আরিফুর রহমান। তবে জন্ম‌ নাগরপু‌রে হ‌লেও তিনি ঢাকার উত্তরায় বড় হ‌য়ে‌ছেন।

শিলা‌স্তির দাদা সেলিম মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিলাস্তির বাবার ঢাকায় জুটের ব্যবসা থাকায় ছোট থেকেই তারা উত্তরায় বসবাস করে। মাঝে মধ্যে গ্রামে আসলেও দুই একদিনের বেশি থাকে না তারা। শিলা‌স্তির উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা ও দিনের পর দিন বাড়ির বাইরে সময় কাটানোর কারণে তাদের সঙ্গে কথা বলা বাদ দিয়েছি । প‌রিবা‌রের কেউ তাদের সঙ্গে যোগা‌যোগ ক‌রে না। এমপি আনার হত্যার ঘটনা‌টি প্রকাশ হওয়ার পর শিলা‌স্তির জড়িত থাকার কথা জানতে পেরেছি। এতে আমরাও বিব্রত অবস্থায় আছি। আমরাও তার বিচার চাই।’

প্রসঙ্গত,কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের পাশাপাশি শিলাস্তি রহমান নামে এক তরুণী উঠে এসেছেন আলোচনায়। কলকাতার নিউটাউনে যেখানে খুন হন এমপি আজিম সেই সঞ্জিভা গার্ডেনের বি ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে শিলাস্তি রহমানের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল।

Advertisement

গোয়েন্দা তথ্যমতে, শিলাস্তি রহমান আজিম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। অথচ ঘটনার আগে ১০ মে শাহীন কলকাতা থেকে দেশে ফিরলেও শিলাস্তি থেকে গিয়েছিলেন কলকাতায়। হত্যা মিশন শেষ করে গত ১৫ মে মূল কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে ঢাকায় ফিরে আসেন শিলাস্তি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিলিং মিশনে ‘হানি ট্র্যাপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে তাকে। এরই মধ্যে শিলাস্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রায়পুরায় প্রার্থীকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি প্রতিদ্বন্দ্বী রুবেল

Published

on

আসামি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে নিহতের পিতা চরসুবুদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি জানান, মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলার মেথিকান্দা এলাকার আবিদ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনী প্রচারনায় গেলো বুধবার (২২ মে) বিকালে রায়পুরার চরাঞ্চলের পাড়াতলী ইউনিয়নের মামদেরকান্দি এলাকায় যান তালা প্রতিকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সুমন মিয়া ও তার কর্মী সমর্থকরা।

এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতিকের আবিদ হাসান রুবেল ও তার কর্মী সমর্থকরা মোঃ সুমন মিয়ার গাড়ি ভাংচুর করাসহ কর্মী সমর্থক ও তার ওপর হামলা করে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার পর স্থানীয়রা আহত সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে দুই দফা জানাজা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত