আন্তর্জাতিক
লিবিয়ায় ঝড়-বন্যা, ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডবে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝড়ের আঘাতে দেশটির উপকূলীয় শহরগুলোর শতশত বাড়ি উড়ে গেছে। এছাড়া দুটি পুরোনো বাঁধ ভেঙে গিয়ে দারনা শহরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আর এই বন্যায় দারনা শহর পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
পূর্ব লিবিয়ার স্বঘোষিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা বন্যা ও ঝড়ে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া এখনো নিখোঁজ আছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে তিনি পরিষ্কারভাবে জানাননি ২ হাজার মানুষ নিহত ওয়ার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করেছেন তারা।
লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখপাত্র আহমেদ এল-মোসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দারনাতেই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন। মূলত সেখানে পুরোনো দুটি বাঁধ ভেঙে গিয়ে এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
লিবিয়ার বেনগাজি থেকে দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের আঞ্চলিক প্রধান কাঈস ফাখেরি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের কারণে দারনায় ১৫০ জন মানুষ নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। সেখানে পানি ১০ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আল জাজিরার সাংবাদিক মালিক ত্রাইনা লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে বলেছেন, ‘দারনা শহরটি পুরোপুরি পাহাড় ঘেরা, আর সেখানে এই বাঁধগুলো ধসে পড়েছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, শহরটিতে ৩০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি গড়িয়ে গেছে। আর আমরা দেখছি পুরো শহর ধ্বংস হয়ে গেছে।’
ওই শহরের বাসিন্দাদের ধারণ করা ভিডিও থেকে দেখা গেছে, সেখানকার অবস্থা বেশ ভয়াবহ। অনেক জায়গায় মানুষের বসতি পুরোপুরি নিশ্চহ্ন হয়ে গেছে। এছাড়া উঁচু উঁচু ভবনের চারপাশে কাঁদা পানি জমে আছে।
লিবিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হানি সেনিব আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে, বিদ্যুৎ নেই। দারনায় যে ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে, প্রতি মিনিটে সেটি বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়বে… কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ।’
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যা করার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে লিবিয়া। বর্তমানে দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। একটি পক্ষ পূর্ব দিকের; আরেকটি পক্ষ পশ্চিম দিকের অঞ্চলগুলো শাসন করছে। আর বিভক্তির কারণে বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার অভিযান অনেক কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এরমধ্যে ত্রিপোলিভিত্তিক প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল দেশটির তিনটি অংশকে দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এ কাউন্সিল আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অন্যান্য দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
আন্তর্জাতিক
ভারতে পদদলিত হয়ে মৃত্যু বেড়ে ১০৭
সর্বশেষ খবর অনুসারে ভারতের উত্তর প্রদেশে হাথরস জেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১০৭ হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবর- হিন্দুস্তান টাইমস
হিন্দু দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে সমবেত হয়েছিলেন অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নানা রকম হিসাব দিচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হিসাবে মারা গেছে অর্ধশতাধিক। এনডিটিভি বলছে, অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছে। আর দ্য হিন্দুর হিসাবে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদ্যাপনের সময় আতশবাজির সময় ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়ছিল। আর ২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৭
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) একটি প্রার্থনা সভা চলাকালীন পদদলিত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে। খবর- এনডিটিভি
তবে হাথরাসের জেলা ম্যাজিট্রেট আশীষ কুমার বলেছেন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার থেকে পাওয়া তথ্য মতে ৫০ থেকে ৬০ জন মারা গেছেন।
এর আগে ইটাহ’র চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. উমেশ কুমার ত্রিপাঠী বলেছেন, আমরা ২৭টি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে ২৫ জন নারী। আহত কয়েকজনকেও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা শুনেছি, একটি ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালীন পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে ইটাহ’র সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রাজেশ কুমার বলেছেন, হাথরাসের সিকান্দ্রা রাও থানার সীমানার মধ্যে একটি গ্রামে পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ জন নারী এবং তিনটি শিশু রয়েছে।’
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ঘটনা জানার পর, তার নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদন জানিয়েছেন।
এনএস/
আন্তর্জাতিক
ভারতে পদদলিত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) একটি প্রার্থনা সভা চলাকালীন পদদলিত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে। খবর- এনডিটিভি।
ইটাহ’র চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. উমেশ কুমার ত্রিপাঠী বলেছেন, আমরা ২৭টি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে ২৫ জন নারী। আহত কয়েকজনকেও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা শুনেছি, একটি ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালীন পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে ইটাহ’র সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রাজেশ কুমার বলেছেন, হাথরাসের সিকান্দ্রা রাও থানার সীমানার মধ্যে একটি গ্রামে পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ জন নারী এবং তিনটি শিশু রয়েছে।’
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এনএস/
- পর্যটন5 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম4 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড4 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ5 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া7 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি6 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর6 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়6 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!