Connect with us

জাতীয়

দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দেয়া যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

একে আবদুল মোমেন

বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ বন্ধ হওয়া উচিত। দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। কারণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে গেলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাহায্য লাগবে।
এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের দিনের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে— এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। যদি কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় আসেও, ওই সরকার বেশি দিন টিকবে না—এ বিষয়ে আমাদের নজির আছে। তবে রাজনৈতিক দল হলে অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।’

তিনি বললেন, তাদের দেশেও পর্যবেক্ষক অনুমোদন দেওয়া হয় না। তা হলে আমার দেশে নির্বাচন হবে, অন্যরা এসে কি ওকালতি করবে? আমাদের দৈন্য অবস্থা, আমরা অনেক দিন উপনিবেশে ছিলাম। তাই বিদেশিরা যদি বলেন— এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সাক্ষাতে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি— আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ হবে কি না। আমরা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু সরকার চাইলে হবে না, দেশের এমন একটা পরিবেশ, সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে সব দলের আন্তরিকতা প্রয়োজন।’

Advertisement

জাতীয়

গাজায় গণহত্যা নিয়ে ডয়েচে ভেলেকে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির আহ্বান

Published

on

গাজাতে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র  ডয়েচে ভেল বানিয়ে দিক। তার মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক এবং একইসাথে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক। আর যদি সেটা তারা করতে না পারে তাহলে আমরা ধরে নেবো বাংলাদেশকে নিয়ে ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে। বললেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনে সম্মেলন কক্ষে  এক কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিকট অতীতে ডয়েচে ভেলে মানবাধিকার নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে, যেখানে শ্রীলঙ্কা, যে দেশ কিছু দিন আগেও গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করেছে তার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করা হয়েছে। তিনি এটির সমালোচনা করবেন না। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের তিনি প্রশংসা করেন। তবে তিনি আহ্বান জানাবেন ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকার থাকে সেটার প্রমাণ তারা দিক।

তিনি বলেন, একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তার অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এ দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অবিশ্বাস্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার শক্ত নেতৃত্বে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা যখন বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছি, তখন এক ধরনের আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র সরকার লক্ষ্য করছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, তথ্য কমিশন বাংলাদেশ,ইউএস এইড, দি কার্টার সেন্টার কতৃক যৌথভাবে আয়োজিত এ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৫০ শতাংশ গ্রাহক ফিরে পেলেন বিদ্যুৎ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’র প্রভাবে সারাদেশে তিন কোটির বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রকৌশলী টিম রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে ৫০ শতাংশের মতো গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে। এখনো কাজ চলছে। বললেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ ও পরিচালন) দেবাশীষ চক্রবর্তী।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ ও পরিচালন) দেবাশীষ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে তিন কোটির বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। প্রকৌশলী টিম রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে ৫০ শতাংশের মতো গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে। এখনো কাজ চলছে। আগামীকাল কাজ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া গ্রাহকদের মধ্যে ৮০ শতাংশের ঘরে সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হবে।

এর আগে গতকাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার ৩০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে পোল নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ৩৯২টি, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ১ হাজার ৯৮২টি, তার ছিঁড়েছে ৬২ হাজার ৪৫৪টি স্থানে, ইন্সুলেটর ভেঙেছে ২১ হাজার ৮৪৮টি, মিটার নষ্ট হয়েছে ৪৬ হাজার ৩১৮টি। সার্বিকভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৭৯ কোটি ২ লাখ টাকা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ক্ষতি সাড়ে ৬ কোটি, মিললো ২৬ হরিণের মৃতদেহ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমাল দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা সুন্দরবনের উপর তাণ্ডব চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবকাঠামো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়া  ২৬টি হরিণের মৃতদেহ ও ১৭টি হরিণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শুশ্রূষার পর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৬টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষণ (সিএফ) মিহির কুমার দো এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের কটকা, কচিখালি, দুবলা, বুড়ি গোয়ালিনী, কোকিল মনি, নীলকমল, মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পসহ অবকাঠামোগত ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও সুন্দরবনের প্রধান গাছ সুন্দরীসহ অন্যান্য গাছের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এটি এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, দীর্ঘ সময় সুন্দরবনের বেশিরভাগ এলাকার জলমগ্ন থাকায় অসংখ্য বন্যপ্রাণীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বন্যপ্রাণীর জন্য খনন করা সুপেয়েও পানির পুকুর ভেসে গেছে। নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ওয়্যারলেস এখনো সচল হয়নি। তবে বনের আভ্যন্তরে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্টেশনে দায়িত্বরত ও কর্মকর্তা বনরক্ষীরা নিরাপদে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ কাজ চলছে।

মিহির কুমার দো বলেন, বন বিভাগের লোকজন সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় কয়েকটি হরিণকে ঝড়ের সময় ভেসে যেতে দেখেছে। দীর্ঘ সময়জুড়ে সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের প্রভাব থাকায় ভাটার সময়ও জোয়ারের পানি না কমায় সুন্দরবনের বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে পরবর্তী ঝড়-ঝঞ্ঝা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে এবং বন্যপ্রাণীর প্রাণহানি কমাতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অসংখ্য উঁচু মাটির কেল্লা নির্মাণসহ বাস্তবমুখী অনেক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Advertisement

অন্যদিকে মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে, বাগেরহাটের প্রায় ৩৫ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল। মৎস্য অধ্যুষিত রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় তুলনামূলক বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্যচাষিদের হিসাবে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত