Connect with us

এশিয়া

২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত, ইসরায়েল হারালো ২৫০ প্রাণ

Avatar of author

Published

on

ইসরায়েল হামলা
শনিবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধোয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রকেট হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে।শনিবার(৭ অক্টোবর)থেকে দফায় দফায় চালানো ওই রকেট হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আহত ইসরায়েলিদের মধ্যে ২৭০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে,ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আলজাজিরার একই প্রতিবেদনে বলা হয়,ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৭৯০ জন।

শনিবার(৭ অক্টোবর) সকালে  অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,গাজা সীমান্ত সংলগ্ন ২২টি এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সেনাদের লড়াই চলছে।

শনিবার হামাসের এই হামলা ইসরায়েলের কাছে অনেকটা অপ্রত্যাশিত ছিল। হামলায় বব্যাপক প্রাণহানীসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ি,রোববার সব স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন,‘আজ (শনিবার)যা ঘটেছে, ইসরায়েলে এমনটা আগে ঘটেনি। তবে আমি এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, এমনটা আর কখনোই ঘটবে না। যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে প্রতিহত করা হবে।’

অন্যদিকে, হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোওরি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন হামাস সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত,আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ি আল আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে তারা নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গাজায় অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। শুদু তাই নয়, গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের শহরগুলোতে সামরিক অভিযান দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে  ইসরায়েলের  অবৈধ বসতি বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রকেট হামলা চালায় হামাস। আর এর জবাবে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

Advertisement

এশিয়া

মৌসুমি বন্যায় নিহত ১৪, স্কুল বন্ধ ঘোষণা

Published

on

শ্রীলঙ্কায় মৌসুমি ঝড়ের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় গাছাপালা উপড়ে এবং ভূমিধসে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন পানি ডুবে মারা গেছেন। বন্যার কারণে ৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

রোববার (২ জুন) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর কলম্বোর কাছে  একই পরিবারের তিন সদস্য পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া ১‌১ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণসহ আরও কয়েকজন ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) বলছে, গেলো ২১ মে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে সাতটি জেলায় গাছ পড়ে আরও ৯ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে দেশটিতে আরও ভারী বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমসি।

Advertisement

কলম্বোর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমানের সব ফ্লাইট অন্য একটি ছোট বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্যায় বিমানবন্দরমুখী কয়েকটি প্রধান মহাসড়ক ও প্রস্থানের সড়ক তলিয়ে গেছে।

দেশটির বিশেষজ্ঞরা  বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘন ঘন বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই পদত্যাগ করবেন ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী

Published

on

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব খোলাসা করেছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হলে ইসরায়েলের দুই উগ্র ডানপন্থি মন্ত্রী ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার ও ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

রোববার (২ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বাইডেনের প্রস্তাবিত চুক্তির বিরোধী। শনিবার তারা জানিয়েছেন, হামাস নির্মূলের আগে এই চুক্তি মেনে নিলে তারা পদত্যাগ করবেন। এমনকি সরকার ভেঙে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।

তবে পাল্টা অবস্থান ইসরায়েলের বিরোধী জোটের। যুদ্ধ বিরোধী এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করলে বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং শাসন করার ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া বং সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।

Advertisement

বাইডেনের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে শুরু হবে। যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার জনবহুল এলাকা থেকে প্রত্যাহার করবে। চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তীতে সব জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী শত্রুতার অবসান এবং ব্যাপকভাবে গাজা পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই প্রস্তাবের পর শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অর্থমন্ত্রী মি. স্মোট্রিস জানান তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, হামাসকে ধ্বংস করা এবং সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে না এনে প্রস্তাবিত রূপরেখায় যদি নেতানিয়াহু রাজি হন তাহলে সরকারের এই প্রক্রিয়ার অংশ হবেন না তিনি।

প্রায় একই মনোভাব প্রকাশ করে বেন-গভির বলেন, এই চুক্তির অর্থ হলো যুদ্ধের সমাপ্তি এবং হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্য থেকে সরে আসা।

তিনি বলেন, এই চুক্তি মানে সন্ত্রাসবাদের বিজয়, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে ‘সরকার ভেঙে দেয়ার’ কথা বলেন।

নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোট সংসদে একটি ছোটখাটো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আছে। বেন-গভিরের ওটজমা ইয়েহুডিত (ইহুদি শক্তি) পার্টির ছয়টি আসন রয়েছে। আর স্মোট্রিসের ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টির রয়েছে মাত্র সাতটি আসন। তারা ক্ষমতায় থাকতে জোটবদ্ধ হিসেবে সংসদে রয়েছে।

Advertisement

অপরদিকে, ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী রাজনীতিবিদদের একজন ইয়ার ল্যাপিড। এই সংকটে তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তার সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার দল ইয়েশ আতিদ ২৪টি আসন নিয়ে সংসদে রয়েছে। রাজনীতিতে যাদের ভবিষ্যতও বেশ ভালো।

তিনি বলেছেন, ‘বেন-গভির এবং স্মোট্রিস সরকার ছেড়ে দিলে জিম্মি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহুর জন্য আমাদের সমর্থন আছে।’

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আফগানিস্তানে নৌকা ডুবে প্রাণ গেলো ২০ জনের

Published

on

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশে নৌকাডুবিতে শিশুসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ ২৫ যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশের এক নদীতে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নানগরহার প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান কুরাইশি বদলুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, মোমান্দ দারা জেলার বাসাউল এলাকার একটি নদীতে এ নৌকাডুবি ঘটে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দুর্ঘটনার সময় ৫ যাত্রী কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান। নৌকাডুবির কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

এদিকে, প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত