বাংলাদেশ
চটেছেন পাপন, এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না
‘আমার ভুল হলে আপত্তি নাই, আমি ভুল বলতে পারি। একটা জিনিসি হঠাৎ করে দেখছি, আফগানিস্তান সিরিজ থেকে শুরু হয়েছে স্পিন উইকেট, স্পিন উইকেট, স্পিন উইকেট।বললেন নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, আমাদের একটা সময় ছিল স্পিনে আমরা মোটামুটি ভালো ছিলাম কারণ আমাদের পেস ভালো ছিল না। আমাদের পেস বোলার ছিল না এবং গত তিনটা বছর ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভাবছি কিভাবে পেস বান্ধব উইকেট বানানো যায়। খুব বেশি উন্নতি করেছি তা না তবে আমরা অনেক উন্নতি করেছি ঘরোয়া ক্রিকেটে। এতে মাঝে মাঝে সাফল্য এলেও অধিকাংশ সময় আসে ব্যর্থতা। যার সবশেষ নজির চট্টগ্রাম ও ঢাকা টেস্ট। দুটি টেস্টেই স্পিন উইকেট বানিয়েও ফল হয়েছে উল্টো। আর স্পিন নির্ভর দল বানিয়েও সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
সমর্থকদের পাশাপাশি বিষয়টা নিয়ে বিরক্ত খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশের ১৭ রানে হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর উইকেট ও দল নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি।
স্কোয়াডে ৫ জন পেসার থাকা সত্ত্বেও দুই টেস্টেই একজন পেসার নিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বা যে টুর্নামেন্টগুলা করলাম আমাদের পেসাররা ভালো বল করেছে। আমাদের এখন অনেক পেসার রয়েছে। এত পেসার থাকতে আমি পেসার খেলাবো না? ৫ জনকে নিয়ে এখানে অলরাউন্ডারের জায়গাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে একটা অলরাউন্ডার নেয়ার জায়গা বন্ধ করে দিয়ে ৫ জন পেসার নিলাম কিন্তু খেলাচ্ছি না। তাহলে নেই কেন আমরা। আপনি যদি দল নির্বাচন বলেন আমার এটা নিয়ে বলার কিছু নাই। ‘
দুই টেস্টেই লড়াই করে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষ তো দুর্বল উইন্ডিজ, যাদের অধিকাংশ সিনিয়র খেলোয়াড় সফরেই আসেননি। অনভিজ্ঞ একটা দলের বিপক্ষেও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের হাল ছেড়ে দেওয়া ভালোভাবে দেখছেন না বোর্ড সভাপতি, ‘খেলোয়াড়দের অ্যাপ্রোচ বলেন, স্ট্রাটেজি বলেন আমার কাছে মনে হয়, সবাই মনে করে, আপনারাও মনে করেন আপনারাও তো এত বছর ধরে খেলা দেখেন। যেটা ভাবেন যে এটা হওয়া উচিত এটাও হচ্ছে না। একটা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, বোলার, আমাদের বাংলাদেশের টপ যারা নাম করা বিশ্বমানের, তাদেরকে এখন বলে দিতে হবে টেস্টে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে? এগুলো তো বলে দেয়ার কথা না। ‘
সমস্যা তো ধরা গেল, এখন সমাধান খুঁজে বের করার পালা। এ ব্যাপারে পাপন বলেন, ‘সমাধান খুবই সহজ, সমাধান হবে। এইভাবে চলতে দেয়া যায় না। আমি আফগানিস্তানের পরে বেশি কিছু বলতে চাই নাই, কিন্তু আজকে আপনাদেরকে আমি বললাম হয় এটা পরিবর্তন করতে হবে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই হোক। সময় আসলে সব জানতে পারবেন। কিন্তু আমাকে আগে জানতে হবে এখানে কি ঘটছে। ওদের কি স্ট্যাটেজি ছিল, কি পরিকল্পনা করেছিল। এই জিনিসিগুলো আগে জানতে হবে। ‘
তিনি আরও বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম কালকে কি পরিকল্পনা হলো? আজকে কিভাবে ব্যাটিং করব আমরা? কেউ জানে না, নির্বাচকদের বললাম বলে জানি না। কারণ আমরা তো ওইখানে যেতে পারছি না। এই হলো অবস্থা। হয়েছেটা কি, সেটা তো জানতে হবে। জানি না অনেক কিছু্। জানার পরেই আপনাদেরকে জানাব।
এসআই/
অপরাধ
শ্যালিকাকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেপ্তার
রাজধানীর ভাষানটেকে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সুমনকে (৩১) ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ভুক্তভোগী তার বোনের বাসা থেকে নানির বাসায় ফেরার পথে দুলাভাই তাকে ধর্ষণ করে।
রোববার (২ জুন) ধর্ষক সুমনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী তার নানির সঙ্গে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। দুলাভাই মো. সুমন তাকে একা পেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। লোকলজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলতে পারত না।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার সুমন দুই বছর জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
পরে আদালত আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় বিচারকার্য শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান পূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
প্রসঙ্গত, আসামিকে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আই/এ
বাংলাদেশ
দেশের সার্বিক উন্নয়নে নদী ভাঙন রোধের বিকল্প নেই : জাহিদ ফারুক
নদীমাতৃক বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে নদী শাসন-প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরির মাধ্যমে ভাঙন রোধের কোন বিকল্প নেই। কারণ ভাঙন রোধ করতে না পারলে আমাদের কৃষি উৎপাদন ক্রমশ কমে যাবে। বললেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি
রোববার (২ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ ফারুক বলেন,নদীমাতৃক বাংলাদেশে ছোট-বড় ৪শ ৫ টি নদী আছে। কৃষি প্রধান এ এদেশের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের নদী গুলোকে শাসন করতে হবে। প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরী করে নদী গুলোর পাশে যে সব গ্রাম আছে শহর আছে সেগুলোকে রক্ষা করতে হবে।
পাশাপাশি ফুলছড়িবাসী তথা এ এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই সরেজমিন এ এলাকায় পরিদর্শনে এসেছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, হেলিকপ্টারে এলাকাটি পরিদর্শন করে তিনি বুঝতে পেরেছেন এখানে বাঁধ নির্মাণ খুব দরকার। এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা কার্যক্রম শেষে শীঘ্রই এখানে প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরী করা হবে।
উল্লেখ্য, এসময়ে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.আ. ল. ম. বজলুর রশীদ, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার কামাল হোসন প্রমুখ।
আই/এ
আইন-বিচার
গৃহবধূকে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের
কুড়িগ্রামে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দিনের পর দিন গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পরে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ধর্ষণসহ উল্লিখিত সব অভিযোগকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ধারের ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে পুলিশের বাধার কারণে থানায় মামলা করতে পারেননি ওই গৃহবধূ। স্থানীয় ইউপি সদস্য চিকিৎসার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নিয়েছেন। বিষপানের পর গৃহবধূ মারা গেছেন।
গত ৩১ মে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, বিষপানে “আত্মহত্যা”’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলা করতে না পারা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেওয়া–সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্তে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে পাঠাতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ঘটনার সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা হয়। তিনি জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০–এর আওতায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি জয়নালসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এএম/
- বলিউড3 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- ঢালিউড3 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
- বাংলাদেশ5 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড6 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড6 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- বলিউড6 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- আবহাওয়া5 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- ঢালিউড1 day ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি