Connect with us

বাংলাদেশ

আমির হামজার নাম আসার ব্যর্থতা কমিটির: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

Published

on

দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে আমির হামজার নাম আসাকে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ব্যর্থতা বলে স্বীকার করেছেন কমিটির আহ্বাক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

আজ বুধবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার স্বাধীনতা পুরস্কারের সাহিত্য বিভাগ থেকে আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন তালিকায় সাহিত্যে অন্য কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করি। ভুল হতে পারে, মানুষ হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নেই। তবে আমাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কমিটির দায়িত্ব পালনে নিশ্চয়ই ভুলক্রটি হয়েছে। নইলে এই ভুল হলো কেন? এটা যেমন আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা এবং তেমনি কমিটিরও ব্যর্থতা।  

তিনি বলেন, আমির হামজাকে নিয়ে অনেক ভুল তথ্য কমিটির কাছে জমা পড়েছিল। তারা অনেক ভুল তথ্য দিয়েছেন, সমস্ত সত্য গোপন করেছেন। কারা ভুল তথ্য দিয়েছেন খতিয়ে দেখব। কমিটির ফোরামে এটা আলোচনা হবে। আমাদের যেটা ভুল হয়েছে সেটা সংশোধন করেছি। আমরা কেউ চাইবো না বারবার ভুল করতে।

Advertisement

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। এতে সাহিত্যে অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পান আমির হামজা।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে।

 

এসআই/

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে ফের নির্বাচিত আফসানা বেগম

Published

on

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এবারের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আফসানা বেগম।

তিনি জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা মনির উদ্দিনের মেয়ে।

জানা যায়, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় আফসানার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাংলাদেশে তাদের আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। তার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের সিভিক মেয়র ছিলেন। তিনি ছিলেন জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা। আফসানা লেবার পার্টির লন্ডন রিজিয়ন শাখার সদস্য। দলটির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সহ সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আবাসন বিভাগে কর্মরত।

জয়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, পুনরায় নির্বাচিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, কট্টরপন্থার বিরোধিতা বা অভিবাসী অধিকারের পক্ষে কথা বলা হোক- আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সমস্যাই হোক না কেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসের জনগণের পক্ষে দাঁড়াব।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন আফসানা বেগম। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এমপি আফসানা বেগম।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ফুটবল টো ট্যাপে ঢাবি শিক্ষার্থীর বিশ্ব রেকর্ড

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল টো ট্যাপে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাগীব শাহরিয়ার। ফুটবলে টো ট্যাপ হচ্ছে, পা বা বুটের সম্মুখভাগ দিয়ে ফুটবলে ক্রমাগত টোকা দেওয়া। ঢাবি শিক্ষার্থী রাগীব মিনিটে মোট ২২০ বার টোকা দিয়েছেন। স্বীকৃতি পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাগীব। তার দেশের বাড়ি ঝালকাঠি। তিনি অনেকদিন ধরে ফুটবলের এই অনুশীলনটি করে আসছিলেন। অবশেষে স্বীকৃতি মেলায় দারুণ খুশি রাগীব। পাশাপাশি তার পরিবার ও এলাকাবাসীরাও আনন্দিত।

ফুটবল টো ট্যাপে বিশ্ব রেকর্ডে এর আগের অবস্থান ছিল ২১২ বার। এবার রাগীব তা ছাড়িয়ে গেছেন। তবে পুরো প্রক্রিয়া বেশ জটিল ছিল বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি। মূলত তার টো ট্যাপের ভিডিও ধারণ করা এবং তা গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে পাঠানো; সেখানে উপস্থিত প্রমাণাদি- সবকিছু মিলিয়ে এই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তা জটিল ছিল।

অবশেষে স্বীকৃতি মেলায় অবশ্য এখন হাসিমুখেই আছেন রাগীব, তার বন্ধুরা ও পরিবারের সদস্যরা।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইকেবানা’ উপহার পাঠালেন হলি আর্টিসানে বাবা হারানো মেয়ে

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ‘ইকেবানা’ উপহার পাঠিয়েছেন ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানি নাগরিক হিরোশি তানাকার মেয়ে আতসুকো তানাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবনে এই উপহার গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এই উপহার এবং আতসুকো তানাকার একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেন।

‘ইকেবানা’ হলো ফুল, পাতা, শাখা- প্রশাখার নান্দনিক ও শৈল্পিক উপস্থাপন। সৌন্দর্যের পাশাপাশি জাপানিজ এ শিল্পকলার পেছনে লুকিয়ে থাকে দার্শনিক ভাবধারা।

গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠিতে আতসুকো তানাকা লিখেছেন, এই উপহারটি (ইকেবানা) তার মা নিজের হাতে তৈরি করেছেন। এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রতীক।

উপহারের ফুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রশান্তি নিয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হোলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের, ১ জন ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত। তিন বাংলাদেশির একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। জঙ্গিদের গুলিতে সেদিন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছিলেন।

জাপানি নাগরিকের মধ্যে ৬ জনই ছিলেন ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্পের পরামর্শক। আতসুকো তানাকার বাবা হিরোশি তানাকা তাদেরই একজন।

এছাড়া পরবর্তীতে হোলি আর্টিসানে জিম্মিদের উদ্ধারে পরিচালিত কমান্ডো অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়।

আতসুকো তানাকা তার চিঠির শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং চলতি বছরের শুরুতে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

গেলো নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় প্রসঙ্গে আতসুকো বলেন, আপনার এই অর্জন আপনার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার ‘ভিশনের’ ওপর বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রমাণ।

Advertisement

গেলো ৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন উল্লেখ করেন তানাকা।

আতসুকো তানাকা ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে উল্লেখ  করেন।

আতসুকো বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) যে চিঠি পাঠিয়েছেন সে চিঠি আমার হৃদয়ের ক্ষত নিবারণের অনেক বড় উৎস।

আতসুকো তানাকা বলেন, তার মা একজন পেশাদার শিল্পী এবং তিনি নিজের হাতে এটি (ইকেবানা) বানিয়েছেন।

ফুলের এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রশান্তি দিবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রতীক (টোকেন)।

Advertisement

বাংলাদেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি কামনা করেন তানাকা।

আতসুকো বাংলাদেশে ‘শান্তি  শিক্ষা’ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাইকা বাংলাদেশ অফিসে এক সভায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশ কিভাবে পাঠ্য কারিকুলামে ‘শান্তি শিক্ষা’ সংযুক্ত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে।

কারিকুলামের এই শান্তি শিক্ষাকে সক্রিয় ভাবে প্রসারে মি. ইচিগুচি একটি শান্তি রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরামর্শ দেন বলে জানান আতসুকো তানাকা।

তানাকা বলেন, পুরস্কার বিজয়ী প্রবন্ধ ঢাকা মেট্রোতে প্রদর্শন করা হবে। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের শান্তির বিষয়ে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সমাজ সেবাতেও উৎসাহিত করবে।

তানাকা আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোতে প্রদর্শিত এই প্রবন্ধ তার বাবার মতো হোলি আর্টিসানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মাকে প্রশান্তি দিবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল চেষ্টায় সফলতা কামনা করে চিঠি শেষ করেন আতসুকো।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত