Connect with us

বিএনপি

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বাসায় ককটেল মেরেছে’

Avatar of author

Published

on

আফরোজা-আব্বাস

ক্ষমতাসীনদের গুন্ডারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বাসা লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী ও মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, সকালে একটি মোটরসাইকেলে কালো পোশাক পরা, মাথায় কালো হেলমেট পরা এক ব্যক্তি গেটের সামনে থেকে বাসায় ককটেল ছুড়ে মারে। এসময় বিকট শব্দ হয়। এর আগেও র‍্যাবের সদস্যরা তার বাসায় হামলা চালায়। পুলিশকে জানানো হলে, তারা দ্রুত আসলেও নাশকতাকারী কাউকে ধরার কোনো চেষ্টা করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ যুবলীগের ছেলেরা প্রেস-লেখা জ্যাকেট পরে ককটেল মেরেছে। এ সময় পুলিশ তাদের নিরাপদে ঘটনাস্থল ত্যাগে সহায়তা করে।

আব্বাসপত্নী আরও বলেন, এখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তারা মির্জা আব্বাসকে মেরে ফেলতে চায়। কারণ মির্জা আব্বাস মারা গেলে মতিঝিল, পল্টন এলাকা তাদের আওতায় থাকবে। কিন্তু আব্বাস তো জেলে। আজ আমার পরিবারের লোকজন বা বাসার স্টাফরা মারা যেতে পারত।

Advertisement

এমন নাশকতার ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানা কোর্ট মামলা নেয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের জীবনে নিরাপত্তা চাই। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার সকালে এক বিবৃতিতে জানান, একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং অপর একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। এ সময় পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মুহূর্তের মধ্যে বাসায় অবস্থান করা মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তা কর্মীরা দৌড়ে গেলে মোটরসাইকেলটি নিরাপদে চলে যায়। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা বাসার গেটের সামনে গিয়ে ৬ থেকে ৮ জন পুলিশকে বহন করা ৩ থেকে ৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করতে দেখেন।

উল্লেখ্য, বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস। তার অনুপস্থিতিতে তার বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

বিএনপি

শুধু রাজনীতি নয় পুরো দেশটাকেই ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল

Published

on

ফখরুল

শুধু রাজনীতিকেই নয় বরং পুরো দেশটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছেন। অন্যদিকে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকেও যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। সংসদ সদস্য আনারকে কলকাতায় নিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) দেশটাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে শোষণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি স্কুলের বইয়ের অবস্থা ভয়াবহ। কারণ এই বইয়ের মধ্যে মিথ্যা প্রচার করে চলেছে। ওখানে একজনের নাম ছাড়া আর কারও নাম নেই। এমনকি সেখানে তাদের যে নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, তারও নাম নেই। কর্নেল ওসমানীর নামও নেই। কারও নাম নেই। শুধু একনেতা একদেশ, ওই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এই করে করে তারা দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশকে শোষণ করছে, লুট করছে। বাংলাদেশের সব লোকের অধিকার হরণ করে নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ যে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে এটা একটা ঐতিহাসিক সত্য কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা মুছে ফেলতে চায়। জিয়া ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। জিয়ার আহ্বানেই দ্বিধাবিভক্ত জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা সরকার মুছে ফেলতে চায়। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনও অস্বীকার করি না। ৪৩ বছর পরেও জিয়াকে এ দেশের মানুষ ভোলেনি। যারা তার অবদানকে অস্বীকার করে তারা তো দেশের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে।’

Advertisement

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দলীয় সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচন হয়েছে। তিনটা নির্বাচনেই প্রহসন হয়েছে। রোববার নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ রকম বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাতে কোনো দলই নির্বাচনে আসে না। যে কারণে আজ নির্বাচন ব্যবস্থাটা ভেঙে পড়েছে। আজ এ সরকার শুধু রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, বরং পুরো দেশটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আমাদের নিজেদের সংগঠিত করার। আমরা চেষ্টা করছি, জেল খাটছি। বারবার জেলে যাচ্ছি কিন্তু আমরা এখনও চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে একজোটে নামতে হবে। কারণ এটা বিএনপির সমস্যা না, এটা বাংলাদেশের সমস্যা। এটা জাতির সমস্যা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সবজির দাম, চালের দাম অবিশ্বাস্য। আজ বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। কেন বেড়েছে? কারণ তারা চুরি করে করে এমন অবস্থা তৈরি করেছে যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। আমাদের এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমগ্র মানুষ যখন বেরিয়ে আসবে তখনই না বিপ্লব হবে।’

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

সত্য বললে এ দেশে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা দেয়া হয়: মির্জা ফখরুল

Published

on

মির্জা-ফখরুল

এখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলা যায় না। সত্য বললে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা দিয়ে দেয়া হয়। বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করলে হবে না। জেনেশুনে রাজনীতি করতে হবে। জিয়াউর রহমানকে বুঝতে হলে তার কাজের গভীরে যেতে হবে। এখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলা যায় না। সত্য বললে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা দিয়ে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান তো নিজে রাজনীতিতে আসেননি। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দেখে ৭৫ সালে সৈনিকেরা তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে যায় না।

বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, আমার মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি। এখন সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। এই সরকারকে পরাজিত করা সময়ের ব্যাপার।

Advertisement

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ পত্রিকা খুললে শুধু লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা। সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে। রিজার্ভের ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শেয়ার বাজারে রথি-মহারথিরা লুট করছে। তারা এতো বড় মানুষ তাদের পাশে যাওয়া যায় না। কেউ দরবেশ, কেউ মাফিয়া, কেউ হুজুর। আজকে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মাথাপিছু ঋণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শর্তে যে সব ঋণ নেয়া হচ্ছে, সুস্থ মানুষ ও দেশপ্রেম থাকলে এগুলো করতে পারতো না। তারা এই দেশের মানুষ না, বর্গি। লুট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। যখন দেখবে ক্ষমতায় আর থাকতে পারবে না, তখন বিদেশে চলে যাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনে হয় তারা কী যেন হয়ে গেছে। আজকে তাদের বাহিনীর প্রধান (বেনজীর আহমেদ) কোথায়? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- তিনি নাকি বেনজীর সম্পর্কে জানেন না। রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝা বইতে হবে। মাথাপিছু ঋণ এখন ১৫৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ বড় বড় প্রকল্পের নামে যেসব চুক্তি করা হয়েছে। তা কোনো দেশপ্রেমিক লোক করতে পারে না। আসলে এই সরকারের লোকজন তারা তো বর্গী। সেজন্যই সমস্ত টাকা লুট করে পাচার করছে। আজকে আমাদের দেশ রক্ষা করতে হলে জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি জানলে আশ্চর্য হতে হবে। তিনি দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

Advertisement

এ সময় তিনি বলেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সেজন্যই বলি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আপনারা গবেষণা করুন। থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করুন।

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর ভাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম, ডা. আবু নাসের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক ডা. গাজী মাজহারুল হক, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন, অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, ডা. মো. মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, অধ্যাপক ড. নাহারিন ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট নাদিম ভুইয়া, মিসেস শামিমা রহিম, দবির উদ্দিন তুষার, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিক।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

বেনজীরকে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ দিয়েছে এই সরকার : রিজভী

Published

on

রিজভী

দেশের মানুষকে জিম্মি করে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ দিয়েছে এই সরকার। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, বেনজীরকে সপরিবারে দেশত্যাগের সুযোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা।

রোববার (০২ জুন) প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘বেনজীর বিদেশে গেছেন কি না তা রহস্য ঘেরা। তিনি কোথায়, আটলান্টিকে তেলাপিয়া মাছ ধরছেন কি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা ভালো বলতে পারবেন। ভারতে ক্ষমতাসীন দলের এমপি খুন হয়েছেন তাও রহস্য ঘেরা।’

রিজভী বলেন, ‘শহীদ জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন তার যে সততা, রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা ছিল, তা ছিল অতুলনীয়। তিনি শুধু সাধারণ মানুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন বহু গুণে গুণান্বিত একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেন না। খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা দখল করে বঙ্গভবন থেকে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে দিয়েছিল, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তার ছবি বঙ্গভবনে টানিয়ে ছিলেন।’

শেখ হাসিনাকে চরম প্রতিহিংসা পরায়ন নেত্রী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘তিনি শহীদ জিয়ার নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নানা চক্রান্ত করে দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্রেই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। বাপের ব্যর্থতা ঢাকতে শেখ হাসিনা প্রতিদিন গুম খুন অব্যাহত রেখেছেন।’

Advertisement

রিজভীর অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মাথা ভারতের কাছে বিক্রি করে দেয়। ডামি সরকার টিকে থাকতে মোংলা পোর্ট পরিচালনার জন্য ভারতকে দিয়ে দিয়েছে। সরকার পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ডিমের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। এই অতিরিক্ত টাকায় বিদেশি লোন পরিশোধ করছে। কারণ বিদেশি লোন নিয়ে তা লুটপাট করেছে। জনগণের সরকার নয় বলে তারা খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়ায়। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও শুধু লুটপাট ও বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের সিন্ডিকেট দাম বাড়ায়।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের ভাবতে অবাক লাগে একজন সোনা চোরাকারবারি কীভাবে এমপি হন। তারপর তিনি পাশের দেশে গিয়ে খুন হন। এখন পর্যন্ত তার লাশটিও পাওয়া যায়নি। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষের পকেট কেটে অনাহারে রেখে আওয়ামী লীগ ফূর্তি করতে ভালোবাসে। ১৯৭৪ সালেও মানুষকে কলাপাতা চিবিয়ে খেতে দেখেছি৷ ওরা মানুষের হাহাকার ও খাদ্য নিয়ে রসিকতা করে। খবরের কাগজে পড়ছি কোনো রকমে টিকে থাকার জন্য মা তার সন্তানকেও বিক্রি করে দিচ্ছেন।’

এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহু দলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক। তিনি সেদিন যদি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা না দিতেন, তাহলে এত তাড়াতাড়ি দেশ স্বাধীন হতো কি না সন্দেহ ছিল। তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বানিয়েছিলেন।’

Advertisement

সেলিম ভুইঁয়া আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়ার আদর্শকে লালন করে এ দুঃশাসনের পতন ঘটানো হবে। সরকার হটাতে সামনে যে কর্মসূচি আসবে আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকারের পতন হবে। ২০২৪ সালেই এ সরকারের পতন ঘটবে।’

উপজলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ মুন্সির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আজহারুল ইসলাম শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম, এমরামুজ্জান বিপ্লব, সালা উদ্দিন শিশির, শেখ শামীম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি, বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বকুল, যুবদল নেতা ওমর ফারুক কায়সার, জাকির হোসেন প্রমুখ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত