Connect with us

সিলেট

সাড়ে ৩ বছরে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা

Published

on

সিলেটে সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে খায়রুল আলম সুমন (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

গত ১০ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই ব্যক্তির নামে মামলা করেছেন নির্যাতিত শিশুটির বাবা।

মামলার তন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অন্নপূর্ণা তালুকদার ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

গত ৯ মার্চ দুপুরে শিশুটি খায়রুল আলম সুমনের বাসায় গিয়ে তার মেয়ের সাথে খেলা করছিল। এসময় সুমন শিশুটিকে মজা দেয়ার লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটি তখন কান্নাকাটি করলে সুমন তখন এ বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখান। শিশুটিকে গোসল করানোর সময় তার মা বিষয়টি খেয়াল করেন। তখন শিশুটি তার মাকে সব খুলে বলে। পরে শিশুটিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)-তে ভর্তি করা হয়।

মামলার অভিযুক্ত আসামি পলাতক, তবে তাকে ধরার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

মুনিয়া

Advertisement

জাতীয়

‘সব ধরনের জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে’

Published

on

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এরই মধ্যে দেশে সব ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহর পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত স্টুডিও এপার্টম্যান্ট উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দেশ-বিদেশে ট্রেনিং দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগ-উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন।

তিনি বলেন, পুলিশের সব মেধা-শ্রম মানুষের কল্যাণে ব্যয় হবে। আমরা দেশের মানুষদের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত।

এসময় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাদাম চাষ বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

Published

on

বাদাম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর চরসহ চাষের উপযোগী মাটিতে অন্যতম লাভজনক ফসল চিনা বাদাম চাষাবাদ হচ্ছে। রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ইউনিয়ন সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্য বছর গুলোর তুলনায় এ বছর অধিক জমিতে বাদাম চাষ করতে দেখা গেছে। বিস্তীর্ণ কুশিয়ারা নদীর চর ও তীরবর্তী  এলাকায় বাদামের  সবুজ পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন এসব এলাকার কৃষকরা।

এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বাদামের মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী স্থানীয় কৃষি অফিস।

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে কুশিয়ারা নদীর চরে উপযোগী মাটিতে এবার ১০ বিঘা জমিতে  বাদাম চাষ করেছি, বোনা থেকে নিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা, ৬০ থেকে ৭০ মন ফলন হবে।

একই ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের কৃষক মশাহীদ আলী বলেন, গতবছর ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভবান হয়েছি, এবছর প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে, ১৫০ থেকে ১৬০ মন বাদাম উৎপাদন হবে।

পাইলগাঁও ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের কৃষক ফয়জুর রহমান শাহীন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সরকারি প্রণোদনায় প্রথমবার দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, প্রায় ১৮ হাজার টাকা  খরচ হয়েছে, ১২ থেকে ১৪ মন উৎপাদন হবে। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী হরিণা কান্দি গ্রামের শতাধিক কৃষকেরা সরকারি প্রণোদনা ও নিজ উদ্যোগে চলতি বছর প্রায় ৩৮ হেক্টর অনাবাদি জমিতে বাদাম চাষ করেছন।

Advertisement

এলাকার এসব কৃষকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী আমাদের শতশত একর অনাবাদি জমি রয়েছে, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সরকারি সহযোগিতায় এবছর আমরা অনাবাদি গুলো চাষের আওতায় নিয়ে এসেছি।

হরিণা কান্দি গ্রামের কৃষক দুলেন দাশ বলেন, আমরা গতবছর কয়েক জন কৃষক মিলে ২০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভবান হয়ে এবছর আমাদের গ্রামের শতাধিক নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩৮ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, আমরা বাদামের সঠিক বাজারদর পাওয়ার প্রত্যাশা করি। রৌয়াইল গ্রামের কৃষক আজির উদ্দিন বলেন, এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে সামনে আরও বেশি করে আবাদ করবো। চাহিদা বেশি থাকায় কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সবজির পাশাপাশি বাদাম চাষে কৃষকদের  দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় অনাবাদি পতিত জমি রয়েছে, এসব জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রধান মন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জায়গা যেন খালি না থাকে, এসব জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে  আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনাবাদি জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়   উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায়  কৃষকদের বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিতে লাভজনক ফসল চিনা বাদাম, ভূট্রা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু সহ মৌসুমি সবজি চাষাবাদ হচ্ছে।

 

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

আধিপত্য বিস্তার : সংঘর্ষে ৩ ভাইসহ ৫ জন নিহত

Published

on

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্বের বিরোধর জের।  তারপর কথা কাটাকাটি-ঝগড়া। শুরু সংঘর্ষ। পরে তা ছড়িয়ে পরে দুই গ্রামের মধ্যে। এ ঘটনায় প্রাণ হরালেন তিন ভাইসহ পাঁচজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান। এ ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০) লিলু মিয়া (৪০) তার ভাই জিলু মিয়া (৪২) ও আনু মিয়া। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলায় মন্দরী ইউনিয়নের আগোয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার সঙ্গে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী বদির মিয়ার মধ্যে পুর্বের বিরোধর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুইজনের সমর্থক অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির ও স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও শতাধিক মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে লিলু নামের আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরবর্তীতে সিলেটে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় লিলুর ভাই জিলু মিয়া ও আনু মিয়ার ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দুই দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের বসতঘরও ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন গ্রামের সামর্থ্যবান পুরুষরা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত