জনদুর্ভোগ
মাদক সেবন ধূমপান কিছু করি না: টিটিই শফিকুল
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2022/05/08/resize-600x315x1x0image-21415-1652012799.jpg)
টিটিই শফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত বলে মন্তব্য করেন পাকশী রেল বিভাগের ডিসিও (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা) নাসির উদ্দিন। তার এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে শফিকুল বলেন, আমি মাদক সেবন তো দূরের কথা বিড়ি সিগারেট কিছু খাই না।
আজ রোববার (০৮ মে) দুপুরে রেলওয়ে চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা জানান তিনি।
পাকশী রেলের টিটিই শফিকুল ইসলাম হীনমন্যতায় ভোগেন বলে ডিসিও নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন। এর জবাবে তিনি বলেন, এটি ঠিক নয়। চাকরিতে তার সন্তুষ্টি আছে। তার প্রমাণ হিসেবে বলেন, চাকরির প্রথম দিনই ৭৮ হাজার ৪৩৬ টাকা রাজস্ব জমা দিতে পেরেছিলাম। আমার সহকর্মীরা জানেন, আল্লাহপাকও জানেন আমি মানসিক বিকারগ্রস্ত কি না!
শফিকুল বলেন, চাকরিজীবনে এটি আমার প্রথম সাময়িক বরখাস্তের ঘটনা। আমি যদি মাদকাসক্ত হতাম তাহলে এতদিন এভাবে সুনামের সঙ্গে চাকরি করতে পারতাম না।
তিনি মন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে লাথি দিয়ে বের করে দিতে চেয়েছিলেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন এমন প্রশ্নে টিটিই শফিকুল জানান, এমন কথা তিনি বলেননি। তিনি ভদ্র ভাষায় কথা বলেছেন। তারাও ভদ্র ভাষায় কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ওই তিন যাত্রী মন্ত্রীর লোক বলে পরিচয় দেননি। তবে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এসিও (উত্তর) নুরুল আলম তাকে জানিয়েছিলেন, ওই যাত্রীরা মন্ত্রীর আত্মীয়। নুরুল আলমের সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি তাদের টিকিট কাটতে বলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ট্রেন ঢাকায় পৌঁছানোর সময় ছিল সকাল ৭টা ১৫ মিনিট। কিন্তু ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে রাতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তখন তিনি নুরুল আলমের কাছে জানতে চান তাকে কী অপরাধে বরখাস্ত করা হলো? তখন নুরুল আলম তাকে জানিয়েছিলেন, তাদের কারণ জানানো হয়নি, কেবল সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টিই তারা জানতে পেরেছেন।
পাকশী রেলের টিটিই শফিকুল ইসলাম জানান, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অফিসিয়াল চিঠি পেলেই কাজে যোগ দেবেন।
রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলামকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম রোববার দুপুর ১২টায় এ আদেশ দেন। তিনি তার অফিস কক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিং চলাকালে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্তকাজ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গেলো (৫ মে) টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন ‘রেলপথ মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। টিকিট না কাটলেও তারা রেলের এসি কেবিনের সিট দখল করেন। এতে রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) তাদের জরিমানা করেন। পরে ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী ওই তিন যাত্রী তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয় বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ করেন।
এতে টিটিই শফিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতেই সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তাদেশ গেলো শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হয়।
মেঘ হাসান
জনদুর্ভোগ
বৃষ্টিতে ডুবলো সিলেট, ম্লান ঈদ আনন্দ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-261.jpg)
সিলেট নগরীতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে নগরীর উপশহর, সোবহানীঘাট, জামতলা, তালতলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা। চৌখিদেখী থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার প্রধান সড়কও পানির নিচে। অনেকের বাসাবাড়ি, দোকানপাটেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসীরা। ঈদের আনন্দ পরিণত হয়েছে বিষাদে।
সোমবার (১৭ জুন) ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ; টানা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুকনো জায়গা না পেয়ে অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না। পানির মধ্যে বেঁধে রেখেছেন গরু-ছাগল। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।
একইভাবে মেজরটিলা, কদমতলী, বিমানবন্দর সড়ক, উপশহর, সুবহানিঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে পানি প্রবেশ করায় নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
বাড়ছে তিস্তার পানি, চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-253.jpg)
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার মহসিন আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চরসিন্দুর্না গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানিতে আমার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমে বলেন, ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-248.jpg)
গাজীপুরে বকেয়া পরিশোধ ও লে-অফ প্রত্যাহার করে কারখানা চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শ্রমিকরা পুনরায় কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা দুপুরে দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামের কারখানাটিতে শ্রমিকদের চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও গত বছরের বাৎসরিক ছুটির টাকা ও ২ মাস ১৯ দিনের বেতন, ঈদ বোনাস ও লে-অফ প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করছে।
শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে কারখানাটির মালিক এমএনএইচ বুলুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। কারখানার একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক সংকট ও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানাটিতে লে-অফ রয়েছে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে ১০ মিনিটের মতো যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
এএম/
- বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- ক্রিকেট7 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- বাংলাদেশ7 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- বলিউড2 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!