Connect with us

বাংলাদেশ

ভাসানচরে আর রোহিঙ্গা পাঠাতে চায় না ইউএসএইড

Published

on

ভাসানচরে নতুন করে রোহিঙ্গা স্থানান্তর চায় না যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএইড। চিকিৎসা,যোগাযোগ ও কর্মসংস্থানসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পর হস্তান্তর করতে চায় সংস্থাটি।

আজ মঙ্গলবার (১০ মে) সচিবালয়ে মার্কিন সরকারের বেসামরিক এ সংস্থাটির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রামিং) ইসোবেল কোলম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় ইউএসএইডের ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে ভাসানচরের বিষয়ে কয়েকটি অবজারভেশন দিয়েছেন। এর মধ্যে জরুরি রোগীদের ভাষানচর থেকে চট্টগ্রাম অথবা নোয়াখালী পাঠানোর দুরবস্থা নিরসনে ভাসানচরে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার সাজেশন রয়েছে।

তিনি বলেন, ভাসানচরে এ মুহূর্তে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা আছে। সেখানে আমাদের ক্যাপাসিটি এক লাখ। সেখানে আরও রোহিঙ্গাদের নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কিন্তু ইউএসএইড বলছে ,নতুন করে ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গা নেয়ার পরিবেশ সেখানে তৈরি হয়নি। পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে। খাবার পানি, স্যালাইনিটির সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর লাইভলিহুডে গুরুত্ব দিতে হবে।

Advertisement

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাসানচরে এখনো জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কার্যক্রম শুরু করেনি। এ ব্যাপারে ইউএসএইডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যেন দ্রুত সেখানে ইউএনএইচসিআর, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম কার্যক্রম শুরু করে। অতিরিক্ত অর্থ সহায়তার বিষয়টিও বৈঠকে ওঠে এসেছে।

ডা. এনামুর বলেন, ভাসানচরে যে হাসপাতাল রয়েছে সেখানে অপারেশনের ব্যবস্থা এবং রোগী স্থানান্তরের ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে ইউএসএইড। বর্তমানে সেখানে একটি হাসপাতাল আছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সব রকমের ওষুধ আছে।

মেঘ হাসান

 

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

৯০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ বুধবার

Published

on

নির্বাচন কমিশন

তৃতীয় দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬) মধ্যরাতে । এ ধাপে ১০৯ উপজেলায় বুধবার (২৯) ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মোট ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও অবশিষ্ট ৯০ উপজেলার প্রার্থীরা বৈরী পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা পূর্ব থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকে। বুধবার তৃতীয় ধাপের ৯০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসাবে সোমবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে প্রার্থীরা কোন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ২৮ মে দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মে দিনগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ৯০ উপজেলায় তিনদিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে সোমবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং উক্ত টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিনদিন পর পর বা ক্ষেত্রমতো তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা দেবেন।

Advertisement

এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

১৯ উপজেলার ভোট স্থগিত:

তৃতীয় ধাপের ১০৯টি উপজেলার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (২৭) এক সংবাদ সম্মেলনে সচিব এই তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা ছিল। এ উপলেক্ষে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু, গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যেসব নির্বাচনি এলাকাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে, কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, এসব বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন মোট ১৯টি উপজেলার ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত করেছে।

যেসব উপজেলার ভোট স্থগিত:

Advertisement

ইসি সচিব বলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঁঠালিয়া ও বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কি না, এমন প্রশ্নে জাহাংগীর আলম বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতি ও সংশ্লিস্ট উপজেলার বাস্তব চিত্র পেলে তারপর বলতে পারব। এসব উপজেলায় ভোট করার জন্য কি একেবারে অনুপযোগী, এমন প্রশ্নে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অনুপযোগী না।

প্রথমত, সেখানে এখনও বৃষ্টি আছে। আর পানি জমে আছে। এই বৃষ্টির পানি যদি একদিনের মধ্যে না কমে যায়, তাহলে সেখানে ভোটার উপস্থিতি ও ভোটের মালামাল পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে যাবে বলে মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের জানিয়েছেন। তারাই সুপারিশ করেছেন, এসব ভোট পিছিয়ে দেয়ার জন্য। আপাতত আমরা ভোট স্থগিত করেছি। পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাব।

পাঁচ থানার ওসি প্রত্যাহার-কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ এবং আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ ছাড়া, পটুয়াখালী জেলার দুমকী থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হটলাইনে কল পেয়ে ৯৪ স্থানে পানি অপসারণ করলো ডিএনসিসি

Published

on

হটলাইনে কলের সূত্র ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীর ৯৪টি স্থানে জমে থাকা পানি অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া

সোমবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে অতি ভারী বর্ষণে ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন করে মোট ১০০জন সদস্য কাজ করছেন। এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬-তে প্রাপ্ত কলের সূত্র ধরে ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।

Advertisement

ডিএনসিসি মেয়র গণমাধ্যমে বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এত ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকার প্রধান সড়কগুলোর কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসির পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পাশাপাশি কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। হটলাইন নম্বরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এবার মেট্রোরেল চলাচলে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলের উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার উভয় অংশে সচল রাখা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘এখন উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। শাহবাগ-সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ভায়াডাক্টের ওপর ঝড়ে গাছের ডাল এবং মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সোলার প্যানেল পড়ায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালুর চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির জন্য কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। কর্মব্যস্ত শহরে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত